ইঁদুর মারার ফাঁদ - জার্মানির যাদুঘরে
৭ জানুয়ারি ২০১১জার্মানির পশ্চিমের রাজ্য হেসে৷ সেখানকারই একটি শহর বাড কোয়েনিশ৷ সেখানে বাস করেন ৬১ বছর বয়সি কার্ল লুডভিগ ক্রাফ্ট নামের এক ভদ্রলোক৷ তিনিই শহরের হাইমাট যাদুঘরের প্রধান৷ এই মিউজিয়ামেই হরেক রকমের ইঁদুর মারার ফাঁদ৷
আসলে ক্রাফ্ট'এর শখ হলো বিভিন্ন ধরনের ইঁদুর মারার ফাঁদ সংগ্রহ করা৷ তাই তাঁর কাছে এতদিনে জমা হয়েছে অনেক রকম ফাঁদ৷ এছাড়া মানুষ যখন শোনে ক্রাফ্ট'এর শখের কথা তখন অনেকে তাঁকে বিভিন্ন ফাঁদ উপহার হিসেবে দেয়৷ এভাবেই দিনের পর দিন জমা হয়েছে নানান ফাঁদ৷ সেগুলোরই সংগ্রহশালা হচ্ছে এই জাদুঘর৷
চীন, কিউবা, রাশিয়া, মিশর সহ সারা বিশ্বের অনেক দেশেরই ফাঁদের সন্ধান মিলবে এই জাদুঘরে৷
ক্রাফ্ট বলেন, তাঁর জাদুঘরে এমন কিছু ফাঁদ আছে যেগুলো দেখলে মনে হয় মানুষ সত্যিই কত নির্দয়! তবে আরাম দিয়ে ইঁদুর মারা যায় এমন ফাঁদও আছে তাঁর কাছে, বলেন ক্রাফ্ট৷
হাইমাট জাদুঘরে একটি ফাঁদ আছে, যেটা দেখতে ফরাসি গিলোটিন বা শিরশ্ছেদ করার যন্ত্রের মতো৷ অবশ্য তাতে মাথা কাটার জন্য ধারালো ব্লেড নয়, ব্যবহার করা হয় কাঠের টুকরো৷
তবে আরেকটি ফাঁদের কথা বললেন ক্রাফ্ট, যেটা গিলোটিনের মতো এত নিষ্ঠুর নয়৷ ইটালির সিসিলিতে এই ফাঁদ ব্যবহার করা হয়৷ এই প্রক্রিয়ায় একটি বোর্ডে আঠা লাগানো থাকে৷ ইঁদুর সেখানে গিয়ে একবার আটকে গেলেই হলো৷ ব্যস, আর ছুটে বেরিয়ে আশার কোনো সম্ভাবনা নেই৷ নিজেকে ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে করতে একসময় ক্লান্ত হয়ে দম বন্ধ হয়ে মারা যায় ইঁদুর৷
ক্রাফ্ট'এর জাদুঘরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার একটি ফাঁদও দেখতে পারবেন দর্শকরা৷ এটির আকার বেশ বড়৷ অনেকগুলো ইঁদুর একসঙ্গে মারার জন্য এটি বানানো হয়েছিল৷ এই ফাঁদে ইঁদুর ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে দরজা বন্ধ হয়ে যায়৷ এরপর তার সামনে থাকে একটি ধাতব গ্রিল৷ যেটা বেয়ে ওঠার পর ইঁদুর সোজা গিয়ে পড়ে একটি পানি ভরা এক পাত্রে৷ তারপর সব শেষ৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক