1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইংরেজি বিনা জাতিসংঘ অচল

১৪ মে ২০১৩

জাতিসংঘে স্বীকৃত ভাষা আপাতত ৬টি৷ ইংরিজি ছাড়াও ফরাসি, স্প্যানিশ, রুশ, চীনা ও আরবি ভাষায় চলে জাতিসংঘের কাজকর্ম৷ কিন্তু বাস্তবে ইংরিজি ও ফরাসিরই গুরুত্ব বেশি৷ তা সত্ত্বেও চলছে পরিবর্তনের উদ্যোগ৷

Fremdsprache © djama #33578344
ছবি: Fotolia/djama

কোনো প্রতিষ্ঠানে কাগজে-কলমে যে রীতি-নীতি চালু থাকুক নে কেন, বাস্তবে দেখা যায় অন্য এক চিত্র৷ জাতিসংঘও তার ব্যতিক্রম নয়৷

মিশরের এককালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুতরস বুতরস গালি যখন জাতিসংঘের মহাসচিবের পদের জন্য প্রার্থী হয়েছিলেন, তখন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জিম্বাবওয়ের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বার্নার্ড চিডজেরো৷ ব্রিটেন সহ ইংরাজিভাষী কমনওয়েলথ দেশগুলি জিম্বাবওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে সমর্থন করছিল৷ গালি ও চিডজেরো-র সম্পর্ক ছিল মধুর৷ নির্বাচনের ঠিক আগে দুজনের দেখা হতে চিডজেরো হঠাৎ ফরাসি ভাষায় কথা বলতে শুরু করেন৷ গালি মৃদু হেসে রসিকতা করে বলেন, ‘‘বার্নার্ড, ফ্রান্সের সমর্থন চাইলে শুধু ফরাসি বললে চলবে না, ইংরিজিও বলতে হবে ফরাসি অ্যাকসেন্টে৷''

বাস্তবে ইংরিজি ও ফরাসিরই গুরুত্ব বেশি (ফাইল ফটো)ছবি: picture alliance/dpa

কথাটা ভুল নয়৷ জাতিসংঘের শীর্ষ পদে পৌঁছতে চাইলে কম পক্ষে কাজ চালানোর মতো ফরাসি জ্ঞান থাকতেই হবে – এটাই অলিখিত নিয়ম৷ তা না হলে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য ফ্রান্স বেঁকে বসবে৷ ঘটনা হলো, তালিকায় ৬টি ভাষা থাকলেও ইংরিজি ও ফরাসির রমরমাই বেশি৷ সম্প্রতি উন্নয়নশীল দেশগুলির গোষ্ঠী জি-সেভেন্টিসেভেন সেই পরিস্থিতি বদলাতে চাইছে৷ তারা বাকি ভাষাগুলির ব্যবহারও বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করছে৷ জাতিসংঘের বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে শুরু করে অন্যান্য কাজকর্মেও তার প্রতিফলন দেখতে চায় এই গোষ্ঠী৷

সংবাদ সংস্থা আইপিএস সরাসরি জাতিসংঘের কাছে এ বিষয়ে নানা প্রশ্ন রেখেছিল৷ বর্তমান ও প্রাক্তন মহাসচিবদের ভাষাজ্ঞান সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে জাতিসংঘ জানিয়েছে, বর্তমান মহাসচিব বান কি-মুন মাতৃভাষা কোরীয় ছাড়াও ইংরিজি, ফরাসি ও চীনা ভাষা বলতে পারেন৷ অর্থাৎ বুতরস বুতরস গালি-ই একমাত্র মহাসচিব ছিলেন না, যিনি তিনটি ভাষা খুব ভালো করে বলতে পারতেন৷ তিনি আরবি, ইংরিজি ও ফরাসি বলতে পারতেন৷ আবার পেরু-র মানুষ হাবিয়ের পেরেস দ্য কুয়েলার স্প্যানিশ ছাড়াও ইংরাজি ও ফরাসি বলতে পারতেন৷

বাংলা যাতে জাতিসংঘের ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায়, সেই লক্ষ্যে গত কয়েক বছর আগেই একটা উদ্যোগ শুরু হয়েছিল৷ তবে এই মুহূর্তে জাতিসংঘের কাঠামোয় কোনো পরিবর্তনেরই লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যসংখ্যা বাড়ানোর বিষয়টিও আপাতত বিশ বাঁও জলে৷

এসবি/ডিজি (আইপিএস)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ