1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এর্দোয়ানের নতুন ‘অভিযোগ’

১৭ মার্চ ২০১৭

বৃহস্পতিবার তুরস্কে এক জনসমাবেশে প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান এই অভিযোগ করেন৷ এছাড়া ইউরোপ আবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগের সময়ে ফিরে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷

Türkei Erdogan Rede im Bestepe Zentrum in Ankara
ছবি: picture-alliance/abaca/AA/M. Ali Ozcan

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে তুরস্কের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তেজনাকে এর্দোয়ান ইউরোপের খ্রিষ্টান বাহিনী ও মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামি শাসকদের মধ্যে মধ্যযুগে সংঘটিত ধর্মীয় যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করার চেষ্টা করেছেন৷ জনসভায় উপস্থিতদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘ভাইয়েরা আমার, ক্রস আর অর্ধচন্দ্রের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে৷ এছাড়া আর অন্য কোনো ব্যাখ্যা থাকতে পারে না৷''

জার্মানি ও নেদারল্যান্ডসে তুরস্কের মন্ত্রী সহ রাজনৈতিক নেতাদের প্রচারণা চালাতে বাধা দেয়ায় দেশটির সঙ্গে ইইউর উত্তেজনা চলছে৷ এর প্রতিক্রিয়ায় তুরস্ক ও ইইউর মধ্যে স্বাক্ষরিত হওয়া শরণার্থী চুক্তি বাতিলেরও হুমকি দিয়েছেন তুরস্কের শীর্ষ নেতারা৷

এপ্রিলের ১৬ তারিখ তুরস্কে অনুষ্ঠেয় গণভোট নিয়ে জার্মানি ও নেদারল্যান্ডসে বসবাসরত লক্ষ লক্ষ তুর্কি ভোটারদের মধ্যে প্রচারণা চালাতে আগ্রহী তুরস্ক৷ ঐ গণভোটের মাধ্যমে তুর্কি প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বহুগুন বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে৷

এদিকে, ইউরোপিয়ান কোর্ট অফ জাস্টিসের সাম্প্রতিক এক রায়ের উল্লেখ করে এর্দোয়ান বলেন, ঐ রায়ের মধ্য দিয়ে ইউরোপ ‘ধর্মযুদ্ধ' শুরু করেছে৷ রায়ে কোম্পানিগুলো তাদের কর্মীদের (কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে) হেডস্কার্ফসহ দৃশ্যমান সব ধর্মীয় প্রতীক পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে বলে জানানো হয়৷

এর আগে এক সাক্ষাৎকারে এর্দোয়ান জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসীদের মদদ দেয়ার' অভিযোগ এনেছিলেন৷ ‘‘মিসেস ম্যার্কেল, আপনি আপনাদের দেশে সন্ত্রাসীদের লুকিয়ে রাখছেন কেন? কেন আপনি কিছু করছেন না?'' বলেন তিনি৷ সম্ভাব্য সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে আংকারা যে ৪,৫০০ ফাইল পাঠিয়েছে, ম্যার্কেল সে বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে অস্বীকার করছেন, বলে এর্দোয়ানের অভিযোগ৷

তবে ম্যার্কেল এসব বিষয়ে কথা চালিয়ে যেতে আগ্রহী নন৷ শুক্রবার জার্মানির আঞ্চলিক এক পত্রিকায় প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘আমি এ ধরনের উত্তেজনামূলক মন্তব্য বিনিময় চালিয়ে যেতে আগ্রহী নই৷''

ম্যার্কেল বলেন, তুরস্কের রাজনৈতিক নেতারা জার্মানিতে প্রচারণা চালাতে পারবেন যদি আগে থেকেই জানানো হয় সেখানে কারা উপস্থিত থাকবেন এবং কী উদ্দেশ্যে এই আয়োজন৷ আর বিদেশি নেতাদের জার্মানির আইন ও নীতি মেনে চলতে হবে বলেও জানান তিনি৷

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ