1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইইউ-এর উদ্বাস্তু নীতি

ব্যার্ন্ড রিগার্ট/এসি১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সিরিয়া ও অন্যান্য দেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন অভিমুখে উদ্বাস্তুর স্রোতের পরিপ্রেক্ষিতে ইইউ দেশগুলির মধ্যে অধিকতর সংহতি ও সহযোগিতার প্রয়োজন দেখেন ডয়চে ভেলের ব্যার্ন্ড রিগার্ট৷

Symbolbild - Flüchtlinge
ছবি: picture-alliance/AP Photo/P. Giannakouris

ব্রাসেলসে মঙ্গলবার ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক৷ ইউরোপীয় পরিষদের বর্তমান সভাপতি দেশ লুক্সেমবুর্গ অতিকষ্টে জোড়াতালি দিয়ে আপোশের ব্যবস্থা করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছেঁড়াখোঁড়া উদ্বাস্তু নীতিকে বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছেন বটে, তবে উদ্বাস্তু সংকটের কোনো যৌথ, সহযোগিতামূলক সমাধানের ধারে-কাছে আসতে পারেননি মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীবর্গ৷ যে সব উদ্বাস্তুরা ইতিমধ্যেই ইউরোপে এসে পৌঁছেছেন, তাদের একটি বিশেষ সূত্র অনুযায়ী ইইউ-এর বিভিন্ন দেশের মধ্যে ভাগবাঁটোয়ারা করে দেওয়ার প্রসঙ্গটিও আগামী মাস অবধি শিকেয় তুলে রাখা হয়েছে – কেননা ব্রিটেন তথা পূর্ব ইউরোপের একাধিক দেশ ঐ ব্যাপারে নড়ে বসতেও রাজি নয়৷

‘‘রাজনৈতিক ঐকমত্য'' দিয়ে আমাদের কোনো কাজ হবে না'', বলেছেন জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস ডেমেজিয়ের৷ছবি: picture-alliance/AP Photo

কাজেই শুধুমাত্র একটি ‘‘রাজনৈতিক ঐকমত্য'' অর্জিত হয়েছে, যা আসলে অর্থহীন গালভরা বাগাড়ম্বর, উদ্বাস্তুদের বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে যার কোনো সম্পর্ক নেই৷ ‘‘ও' দিয়ে আমাদের কোনো কাজ হবে না'', বলেছেন জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস ডেমেজিয়ের৷ অস্ট্রিয়া-জার্মান সীমান্তে আবার নিয়ন্ত্রণ চালু করে তিনি ইউরোপীয় সহযোগীদের উপর যে চাপ সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন, তা-তে দৃশ্যত কোনো কাজ হয়নি৷ ইইউ দেশগুলির একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ উদ্বাস্তুদের বণ্টন করার সপক্ষে হলেও, যে সব দেশ এ যাবৎ খুব কম উদ্বাস্তু নিয়েছে, তারা পূর্বাপর বাধ্যতামূলক কোটা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার বিরোধী৷

ডয়চে ভেলের ব্যার্ন্ড রিগার্ট

সমাধানের কোনো চিহ্ন নেই

প্রচেষ্টা ছিল, গ্রিস, ইটালি অথবা হাঙ্গেরি থেকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার উদ্বাস্তুকে আগামী দু'বছরের মধ্যে অপরাপর দেশের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া৷ কিন্তু তথাকথিত বলকান রুটে যে হাজার হাজার উদ্বাস্তু জার্মানি অবধি এসে পৌঁছাচ্ছে, তাদের পরিস্থিতি যাবতীয় সদাশয় পরিকল্পনা সত্ত্বেও আগের মতোই নাটকীয় থেকে যাচ্ছে৷ লক্ষ লক্ষ মানুষের আবাসের যে কী ব্যবস্থা করা হবে, ব্রাসেলস সে প্রশ্নের কোনো জবাব দেয়নি৷

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা বারংবার দাবি তুলে আসছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহির্সীমান্তগুলিকে আরো ভালোভাবে সুরক্ষিত করতে হবে৷ তারও অর্থ দাঁড়ায়: আরো কম উদ্বাস্তু ও রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের ইইউ-তে ঢুকতে দেওয়া হবে৷ কিন্তু গ্রিস কিংবা ইটালির উপকূলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সামুদ্রিক সীমানাকে সুরক্ষিত করা খুব সহজ কাজ হবে না৷

কাজেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের সর্বাধুনিক সম্মেলনের পরও সেই একই তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে যাচ্ছে যে, ইউরোপের উদ্বাস্তু নীতিতে বাস্তব কোনো প্রগতি অর্জিত হয়নি৷ ইউরোপীয় পরিষদের লুক্সেমবুর্গীয় সভাপতি জঁ আসেলবর্ন যেমন বলেছেন: ইউরোপ যদি এবার একত্রিত না হয়, তা হলে ইউরোপ আবার বিভক্ত হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ