ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃবর্গ কাটালুনিয়া সংকটে মধ্যস্থতা করতে অস্বীকার করেছেন৷ তাঁদের মতে, মাদ্রিদ আর বার্সেলোনাকে এই সংকটের সমাধান করতে হবে৷
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষবৈঠক চলাকালীন ইউরোপীয় পরিষদের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টুস্ক সাংবাদিকদের বলেন যে, ইউরোপীয় নেতৃবর্গ কাতালান সংকট নিয়ে আলোচনা করবেন না৷
‘‘আমাদের সকলেরই নিজস্ব আবেগ-অনুভূতি, মতামত ও মূল্যায়ন আছে, কিন্তু সরকারিভাবে বলতে গেলে, ইইউ-এর হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগ নেই,'' টুস্ক বলেন৷ তিনি আরো বলেন, ‘‘সদস্যদেশগুলি এ বিষয়ে স্পষ্ট যে, কোনো ধরণের মধ্যস্থতার জন্য কোনো সুযোগ বা সম্ভাবনা নেই৷''
বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রয়াসের অন্ত ঘটানোর জন্য স্পেন সরকার কাতালান প্রেসিডেন্ট কার্লেস পুইদেমনকে যে চরমপত্র দিয়েছিলেন, তার সর্বশেষ মেয়াদ বৃহস্পতিবার সকালে শেষ হয়৷ কিন্তু পুইদেমন পুনরায় প্রধানমন্ত্রী মারিয়োনো রাখয়-কে লিখিত একটি পত্রে শুধুমাত্র সরকারিভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করার হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘‘রাষ্ট্রীয় সরকার যদি সংলাপ রোধ ও নিপীড়ন চালিয়ে যান, তাহলে কাটালুনিয়ার সংসদ প্রয়োজনে সরকারিভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা সম্পর্কে ভোট অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেবে৷''
রাখয় ও ১৫৫ নম্বর সূত্র
রাখয় ১৯৭৮ সালের সংবিধানের ১৫৫ নং সূত্রটি প্রয়োগ করার পরিকল্পনা করছেন৷ এই সূত্র অনুযায়ী, কোনো প্রদেশ আইন ভঙ্গ করলে, কেন্দ্র তার নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে৷ পরিকল্পনা অনুযায়ী, শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার একটি বিশেষ অধিবেশনে সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপগুলির তালিকা তৈরি করা হবে ও সেই তালিকা সেনেট বা সংসদের উচ্চকক্ষে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে৷
যেসব পদক্ষেপের কথা ভাবা হচ্ছে, দৃশ্যত তার মধ্যে থাকবে (১) পুইদেমনকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ, (২) শিক্ষাব্যবস্থার উপর প্রাদেশিক সরকারের নিয়ন্ত্রণ বাতিল, (৩) প্রদেশিক সংসদ ভেঙে দেওয়া ও নতুন নির্বাচন আহ্বান এবং (৪) সরকারি গণমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া, কেননা, এই পাবলিক মিডিয়া কাটালুনিয়ার স্বাধীনতাপন্থি শাসকজোটের মুখপত্র হিসেবে কাজ করছে বলে কেন্দ্রের ধারণা৷
পুইদেমন এযাবৎ শুধু মাদ্রিদ সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ও আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার ডাক দিয়েছেন৷ কিন্তু ব্রেক্সিট আলাপ-আলোচনায় যখন বিশেষ কোনো প্রগতি অর্জিত হচ্ছে না, ঠিক সেই মুহূর্তে খুব কম ইইউ নেতাই আরো জটিলতা সৃষ্টি করতে চান৷ এক প্রবীণ ইইউ কূটনীতিক রয়টার্সকে বলেছেন, ‘‘বার্সেলোনাকে সমর্থন করে বিশেষ কিছু লাভ নেই, কিন্তু মাদ্রিদকে চটালে অনেক ক্ষতি৷''
স্কটল্যান্ড থেকে ফ্ল্যান্ডার্স থেকে কোসোভো – কাটালুনিয়া এক অশুভ দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারে বলে ব্রাসেলসের আশঙ্কা৷
সাংবিধানিক সমাধান
‘‘আমরা স্পেন সরকারের অবস্থান সমর্থন করি,'' জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ব্রাসেলসে মন্তব্য করেছেন৷ পরে তিনি আরো বলেন যে, ‘‘স্পেনীয় সংবিধানের ভিত্তিতে'' সংকটের সমাধান হবে বলে তাঁর আশা৷
‘‘এটা স্পেনের একটা অভ্যন্তরীণ বিষয়,'' নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে সাংবাদিকদের বলেছেন৷ ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ অনুরূপ মনোভাব প্রকাশ করেছেন৷ মাক্রোঁ শীর্ষবৈঠকের অবকাশে রাখয়ের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন৷ ‘‘পরিস্থিতির সমাধানের জন্য (মাক্রোঁর) রাখয়ের উপর পূর্ণ আস্থা আছে,'' এক ফরাসি কূটনীতিক রয়টার্সকে বলেন৷ মাক্রোঁ সংবাদমাধ্যমকে বলেন যে, শীর্ষবৈঠক থেকে মাদ্রিদের সঙ্গে ‘‘পূর্ণ ঐক্যের বার্তা'' ব্যক্ত হবে৷
স্পেনের পর ইউরোপে আরও বিভাজনের আশঙ্কা?
স্পেনের কাটালুনিয়া রাজ্যের স্বাধীনতার গণভোট নিয়ে বিতর্কের মাঝে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য কিছু অঞ্চলেও বিচ্ছিন্নতার প্রয়াস উৎসাহ পাচ্ছে৷ এই সব অঞ্চলে কাটালুনিয়ার স্বাধীনতার প্রতি ব্যাপক সমর্থন দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/EPA/G. Stuart
ব্রেক্সিটের পর স্কটল্যান্ডের ভবিষ্যৎ
২০১৪ সালেই এক গণভোটে স্কটল্যান্ডের ৫৫ শতাংশ ভোটার ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতার বিপক্ষে রায় দিয়েছিলেন৷ কিন্তু ব্রেক্সিট-পরবর্তী যুগে তাদের মতামত আবার যাচাই করতে চায় স্কটল্যান্ডের জাতীয় পার্টি৷ ইইউ-র সঙ্গে ব্রিটেনের বিচ্ছেদ সংক্রান্ত চুক্তি চূড়ান্ত হলে, এমনকি কোনো বোঝাপড়া না হলেও স্কটল্যান্ডে স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট আয়োজন করতে চায় এসএনপি দল৷
ছবি: picture-alliance/dpa/EPA/G. Stuart
বেলজিয়াম থেকে ফ্লেমিশ অঞ্চলের বিদায়?
১৮৩০ সালে ফ্রান্স ও জার্মানির মাঝে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বেলজিয়াম সৃষ্টি হয়েছিল৷ ফরাসি-ভাষাভাষী দক্ষিণাঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এবার স্বাধীনতার চেষ্টা চালাচ্ছে উত্তরের ফ্লেমিশভাষী সমৃদ্ধ অঞ্চল৷ বেলজিয়ামের জোট সরকারের সবচেয়ে বড় দল হিসেবে জাতীয়তাবাদী এনভিএ গোষ্ঠী ২০১৯ সালের নির্বাচনে সাফল্য বাড়িয়ে স্বাধীন ফ্লেমিশ রাষ্ট্রের স্বপ্ন কার্যকর করতে চায়৷
ছবি: Reuters
স্পেনের বাস্ক অঞ্চলের সংগ্রাম
১৯৬৯ সাল থেকে স্বাধীন বাস্ক রাষ্ট্রের জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘এটা’৷ চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই এই গোষ্ঠী অস্ত্র ত্যাগ করেছে৷ শান্তিপূর্ণ পথে ফ্রান্স ও স্পেনে বাস্ক সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র গড়তে চায় ‘সর্টু’ নামের এক রাজনৈতিক দল৷ কাটালুনিয়ার স্বাধীনতাকামীদের প্রতি স্পেনের বাস্ক অঞ্চলে বিক্ষোভ দেখা গেছে৷
ছবি: AP
নিউ ক্যালিডোনিয়ার বিদায় আসন্ন?
প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণে ফ্রান্সের শাসন থেকে মুক্তি পেতে পারে নিউ ক্যালিডোনিয়া৷ আগামী নভেম্বর মাসে সেখানে এই প্রশ্নে গণভোট আয়োজিত হচ্ছে৷ ১৮৫৩ সাল থেকে ফ্রান্সের অধীনে থাকার পর ২৮০,০০০ জনসংখ্যার এই দ্বীপমালা স্বাধীন রাষ্ট্র হয়ে উঠতে পারে৷ ১৯৯৮ সাল থেকেই নিউ ক্যালিডোনিয়া স্বায়ত্তশাসনের আরও অধিকার ভোগ করছে৷
ভূমধ্যসাগরে ফ্রান্সের কর্সিকা দ্বীপের জনসংখ্যা প্রায় ৩৩০,০০০৷ সেখানকার জাতীয় লিবারেশন ফ্রন্ট ২০১৪ সালের জুন মাসে স্বাধীনতার লক্ষ্যে সশস্ত্র সংগ্রাম ত্যাগ করেছে বটে, কিন্তু রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় স্বাধীনতা অর্জনের স্বপ্ন ত্যাগ করেনি৷ স্বায়ত্তশাসনের বেশ কিছু অধিকার সত্ত্বেও তারা তাদের লক্ষ্যে অটল রয়েছে৷
ছবি: DW/E. Bryant
ডেনমার্কের ফেরো দ্বীপ
আটলান্টিক মহাসাগরে ফেরো দ্বীপপূঞ্জে মাত্র ৪৮,০০০ মানুষের বাস৷ সেখানকার ভোটাররা ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে এক গণভোটে ডেনমার্ক থেকে স্বাধীনতার প্রশ্নে তাঁদের রায় জানাবেন৷ ১৯৪৮ সাল থেকে ফেরো দ্বীপ স্বায়ত্তশাসনের অধিকার পেয়েছে৷ শুধু পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষার বিষয় দু’টি ডেনমার্কের হাতে রয়েছে৷
ছবি: picture alliance/augenklick/GES
স্বাধীনতা নয়, স্বায়ত্তশাসন চায় ইটালির উত্তরাঞ্চল
আরও স্বায়ত্তশাসনের প্রশ্নে লম্বার্ডি ও ভেনেতো রাজ্য আগামী ২২শে অক্টোবর এক গণভোটের আয়োজন করেছে৷ সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে রায় দিয়েছে৷ উত্তরের সমৃদ্ধ এই অঞ্চল গোটা দেশের অর্থনীতির প্রায় এক-তৃতীয়াংশের দাবিদার৷ ফলে কাটালুনিয়ার মতো এই অঞ্চলও কর বাবদ অর্থের আরও বড় অংশ নিজেদের কাছে রাখতে চায়৷
ছবি: picture alliance/Arco Images
7 ছবি1 | 7
স্বাধীনতা সহজ নয়
স্পেন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ব্যাপারে কাটালুনিয়ায় ৭৫ লক্ষ বাসিন্দা দ্বিধাবিভক্ত৷
বামপন্থি ইআরসি দলের মুখপাত্র জোয়ান তার্দা মাদ্রিদে সাংসদদের বলেছেন যে, কাতালান সরকার নির্বাচনের ডাক দেবেন না৷
কাটালুনিয়ার ‘লা ভ্যানগুয়ার্দিয়া' হলো স্পেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম দৈনিক৷ ‘‘গণ আত্মহত্যায় কোনো গৌরব নেই; একজন সেই সিদ্ধান্ত নিলে ও অন্যান্য সকলে তার ভুক্তভোগী হলে, গৌরব আরো কম,'' পত্রিকাটি একটি সম্পাদকীয়তে মন্তব্য করেছে৷
রাশিয়ার দৃষ্টিতে
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনও বলেছেন যে, কাতালান সংকট হলো স্পেনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার৷
অপরদিকে তিনি পশ্চিমের ‘দ্বিবিধ মানদণ্ডের' সমালোচনা করেছেন, কেননা, পশ্চিম কোসোভোর বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনকে সমর্থন করেছে, অথচ অপরাপর বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনকে সমর্থন করতে রাজি নয়৷ বলতে কি, ইইউ-এর যে পাঁচটি দেশ আজও কোসোভোর স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয়নি, স্পেন তাদের মধ্যে অন্যতম৷ বাকিরা, অর্থাৎ ইইউ-এর সদস্য হতে আ্গ্রহী পশ্চিম বলকানের দেশগুলি স্বদেশে আঞ্চলিক স্বশাসনের দাবিতে উস্কানি দিতে নারাজ৷
এসি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি, এপি)
ইউরোপে যত জঙ্গি হামলা
মাদ্রিদ, ফ্রাংকফুর্ট, লন্ডন, প্যারিস, ব্রাসেলস, নিস, বার্সেলোনা – একের পর এক ভয়াবহ হামলার শিকার ইউরোপ৷ বড় শহরগুলিতে সন্ত্রাসের হুমকি নিয়ে বাড়ছে দুশ্চিন্তাও৷ গত ১৩ বছরে ইউরোপে বিভিন্ন হামলার তথ্য নিয়ে এই ছবিঘর৷
ছবি: REUTERS/Stringer
১৮ আগস্ট, ২০১৭
স্পেনে হামলার এক দিন পরেই ফিনল্যান্ডের টুর্কু শহরে ছুরি চালিয়ে ২ জনকে হত্যা করে এক আততায়ী৷ তার ছুরির আঘাতে কমপক্ষে আরও ৬ জন আহত হয়েছে৷ পুলিশ তার পায়ে গুলি করে তাকে গ্রেফতার করেছে৷ গোটা দেশে সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Riihimaki
১৭ আগস্ট, ২০১৭
প্রথমে বার্সেলোনা, তারপর উপকূলবর্তী কামব্রিলস ও আলকানার শহর৷ পর পর তিনটি সন্ত্রাসী হামলার মুখে স্পেনের কাটালুনিয়া রাজ্য৷ বার্সেলোনা শহরে হামলার দায় স্বীকার করেছে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস৷ এতে নিহত হন ১৩ জন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/O. Duran
১৯ জুন, ২০১৭
যুক্তরাজ্যের লন্ডনের একটি মসজিদের বাইরে মুসল্লিদের ওপর গাড়ি চালিয়ে দেয় এক ব্রিটিশ নাগরিক৷ এ ঘটনায় নিহত হন একজন, গুরুতর আহত হন অনেকেই৷ হামলাকারী অভিবাসীবিরোধী এবং মুসলিমবিদ্বেষী হিসেবে পরিচিত ছিলেন৷
ছবি: Reuters/Y. Mok
৩ জুন, ২০১৭
লন্ডন ব্রিজে ঘুরতে আসা পথচারীদের ওপর গাড়ি তুলে দেয় তিন ইসলামি জঙ্গি৷ তাতেই থেমে থাকেনি তারা৷ গাড়ি হামলার পর কাছেই বোরো মার্কেটে ছুরি নিয়ে হামলা চালিয়ে ৮ জনকে খুন করে জঙ্গিরা৷
ছবি: Reuters/S. Wermuth
২২ মে, ২০১৭
ঘটনাস্থল যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার৷ নর্থ ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার অ্যরেনায় আরিয়ানা গ্রান্ডের কনসার্টে আত্মঘাতি হামলায় নিহত হন ২২ জন৷
ছবি: Reuters/D. Hogan
৭ এপ্রিল, ২০১৭
একটি ট্রাক হাইজ্যাক করে সুইডেনের স্টকহোমের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মধ্যে চালিয়ে দেয় হামলাকারী৷ এতে মারা যান চার পথচারী৷
ছবি: Reuters/A. Wiklund
২২ মার্চ, ২০১৭
এই ঘটনায় একটি ভাড়া করা এসইউভি গাড়ি লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার ব্রিজে পথচারিদের ওপর তুলে দেয় হামলাকারী৷ এ ঘটনায় চারজন মারা যান৷ এরপর গাড়ি থেকে নেমে এক পুলিশ অফিসারকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে হামলাকারী৷
ছবি: DW/A. Frymann Rouch
১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬
হামলার অস্ত্র হাইজ্যাক করা ট্রাক৷ এবার ঘটনাস্থল জার্মানির বার্লিন৷ বার্লিনের ক্রিসমাস মার্কেটে ভিড়ের মধ্যে চালানো এ হামলায় নিহত হন ১২ জন৷
ছবি: picture alliance / NurPhoto
১৪ জুলাই, ২০১৬
ফ্রান্সের পর্যটননগরী নিসে চলছিল বাস্তিল দিবস উদযাপনের আয়োজন৷ ফলে ভিড়ও ছিল অস্বাভাবিক৷ আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ট্রাক হামলা চালিয়ে ৮৬ জনকে হত্যা করে হামলাকারী৷
ছবি: picture-alliance/dpa/I. Langsdon
২২ মার্চ, ২০১৬
বেলজিয়ামের ব্রাসেলস বিমানবন্দর ও সাবওয়েতে আত্মঘাতি হামলায় ৩২ জন নিহত হন, আহত হন শতাধিক৷ ইউরোপের অন্যান্য শহরে হামলায় এই হামলাকারীরাই জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/bsnyder
নভেম্বর ১৩, ২০১৫
ফ্রান্সের প্যারিসে বাতাক্লঁ কনসার্ট হল ও আরো কয়েকটি এলাকায় একযোগে হামলা চালায়৷ নিহত হন ১৩০ জন৷ হামলাকারীরা জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের অনুসারী ছিল৷
ছবি: Reuters
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
ডেনমার্কের কোপেনহেগেন৷ এক বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন চলচ্চিত্র নির্মাতা ফিন ন্যোরগর্ট৷ এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যও আহত হন৷ একদিন পর একই হামলাকারী (যাকে চিহ্নিত করা হয়েছে ওমর আল-হোসাইন নামে) একটি সিনাগগে হামলা চালিয়ে এক নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করে৷ পরে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় হামলাকারী৷
ছবি: Reuters/H. Hanschke
৭-৯ জানুয়ারি, ২০১৫
ফ্রান্সের প্যারিসে ব্যাঙ্গাত্মক পত্রিকা শার্লি এব্দোর কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ১৭ জনকে হত্যা করা হয়৷ জঙ্গি গোষ্ঠী আল-কায়েদা এই ঘটনার দায় স্বীকার করে৷ শার্লি এবদোয় মুসলিমদের মহানবী হযরত মোহাম্মদকে নিয়ে ব্যাঙ্গ করার প্রতিশোধ বলে উল্লেখ করা হয় ঘটনাটিকে৷
ছবি: picture-alliance/Pixsell/S. Strukic
২৪ মে, ২০১৪
বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে এক ইহুদি জাদুঘরে কালাশনিকভ রাইফেল নিয়ে হামলা চালিয়ে চার জনকে হত্যা করে হামলাকারী৷ অভিযুক্ত ব্যক্তি সিরিয়ায় আইএস-এর হয়ে যুদ্ধ করেছে বলে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে৷
ছবি: Reuters/Y. Boudlal
২২ মে, ২০১৩
আল-কায়েদার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত দুই জঙ্গি লন্ডনের রাস্তায় লি রিগবি নামের এক ব্রিটিশ সৈন্যকে তাড়া করে এবং কুপিয়ে হত্যা করে৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
মার্চ, ২০১২
আল-কায়েদার সাথে সংশ্লিষ্ট এক বন্দুকধারী ফ্রান্সের টুলুস শহরে তিন ইহুদি স্কুলছাত্র, এক ইহুদি রাবাই এবং তিন প্যারাট্রুপারকে হত্যা করে৷
ছবি: REUTERS
২২ জুলাই, ২০১১
আন্ডার্স বেরিং ব্রেইভিক নামের এক মুসলিমবিদ্বেষী হামলাকারী, নরওয়ের অসলোতে বোমা হামলা চালায়৷ এরপর নরওয়ের উটোয়া দ্বীপের এক যুব ক্যাম্পে গুলি চালিয়ে ৭৭ জনকে হত্যা করে৷
ছবি: dapd
২ নভেম্বর, ২০১১
শার্লি এব্দোর অফিসে হামলার ঘটনা৷ মুসলিমদের মহানবী হযরত মোহাম্মদের কার্টুন চিত্র প্রকাশ করায় আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় ম্যাগাজিনটির অফিসে৷ তবে এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি৷
ছবি: picture-alliance/abaca
২ মার্চ, ২০১১
জার্মানির ফ্রাংকফুর্ট বিমানবন্দরে ইসলামি জঙ্গি আরিদ উকা গুলি চালিয়ে দুই মার্কিন বৈমানিককে হত্যা করে৷ হামলাকারী আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের কর্মকান্ড নিয়ে একটি ভুয়া ভিডিও দেখে এ হামলায় উদ্বুদ্ধ হয়েছে বলে তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে৷
ছবি: AP
৭ জুলাই, ২০০৫
লন্ডনে আল-কায়েদার সাথে জড়িত চার আত্মঘাতি জঙ্গি তিনটি সাবওয়ে ট্রেন এবং একটি বাসে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়৷ এই ঘটনায় ৫২ জন যাত্রী নিহত হন৷
ছবি: AP
১১ মার্চ, ২০০৪
স্পেনের মাদ্রিদে চারটি ট্রেনে অফিসগামী যাত্রীদের ওপর বোমা হামলা চালানো হয়৷ মোট নিহত হন ১৯১ জন যাত্রী৷