1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ই.ইউ. পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা গাজা এবং মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে বৈঠকে

অরুণ শঙ্কর চৌধুরী২৬ জানুয়ারি ২০০৯

বস্তুতঃ ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যপ্রাচ্য নীতিরই পুনর্মূল্যায়ন এবং নবনির্ধারণ হচ্ছে এই বৈঠকে, দৃশ্যতঃ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক-ভাল্টার স্টাইনমায়ারের সৃষ্ট একটি ‘‘এ্যাকশন প্ল্যান’’-এর ভিত্তিতে৷

ব্রাসেলসে আসেলবর্ন (বসে), সোলানা এবং স্টাইনমায়ারছবি: picture-alliance / dpa

তবে রবিবার ব্রাসেলসে ই.ইউ. পররাষ্ট্রমন্ত্রীবর্গের বৈঠকে যে বিষয়টি প্রাধান্য পেল, সেটি হল প্যালেস্তিনীয়দের অভ্যন্তরীণ বিরোধ অবসানের দাবী৷ ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড মিলিব্যান্ড বললেন, প্যালেস্তিনীয় জনগণের পুনর্মিলন, এবং পশ্চিম জর্ডান ও গাজা স্ট্রিপের জন্য একটি একক কন্ঠ বিশেষভাবে প্রয়োজন৷ প্যালেস্তিনীয় সমাজে এই বিভাজন দূর করতে না পারলে গাজা স্ট্রিপ এবং শান্তি প্রক্রিয়ায় প্রগতি করা বিশেষ কঠিন হবে, বললেন সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল বিলড৷ তাঁর মতে, ইউরোপীয়রা হামাসের সঙ্গে কথা বলছে কিনা, সেটা বড় কথা নয় – প্যালেস্তিনীয়দের এখন পরষ্পরের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন৷ লাক্সেমবুর্গের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাঁ এ্যাসেলবর্ন আরো এক ধাপ এগিয়ে প্যালেস্তিনীয়দের একটি ঐক্যমত্যের সরকার দাবী করেছেন৷

স্টাইনমায়ারের ‘‘এ্যাকশন প্ল্যান’’

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার সূচনা থেকেই মিশর সীমান্ত দিয়ে গাজায় অস্ত্র পাচার রোধের প্রসঙ্গটিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন, এবং এক্ষেত্রে মিশরকে জার্মান সাহায্যের প্রস্তাবও দিয়েছেন৷ গতকাল তাঁর অপর একটি দাবী ছিল, যথাশীঘ্র সম্ভব গাজার অবরোধের সমাপ্তি, অর্থাৎ সীমান্ত পারাপার কেন্দ্রগুলি খোলা, যা’তে গাজার জনগণকে খাদ্য এবং অপরাপর সামগ্রী সরবরাহ করা যায়৷

ব্রাসেলসে আমন্ত্রিত মিশরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল ঘাইট অবশ্য এই বৈঠক থেকে বিশেষ কিছু প্রত্যাশা করেন না বলেই সাংবাদিকদের সমীপে মন্তব্য করেছিলেন৷ তবে তুরষ্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাবাচান ইউরোপীয়দের মতোই প্যালেস্তিনীয় সম্প্রীতি কামনা করেন৷

আজ সোমবারেও গাজার পরিস্থিতি নিয়ে ব্রাসেলসে আলাপ-আলোচনা চলবে – সেক্ষেত্রে পুনর্নির্মাণ সাহায্য থেকে শান্তি প্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা, কোনো প্রসঙ্গই বাদ যাবে না৷ দৃশ্যতঃ তাঁর ইউরোপীয় সতীর্থরা জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টাইনমায়ারের ‘‘এ্যাকশন প্ল্যান’’-কে মধ্যপ্রাচ্য সংক্রান্ত ইউরোপীয় নীতির ভিত্তি করবেন৷

স্টাইনমায়ারের কর্মসূচীর মূল লক্ষ্য হল পশ্চিম জর্ডান এবং গাজা মিলিয়ে একটি স্বাধীন, গণতান্ত্রিক, একীকৃত এবং সক্ষম প্যালেস্তিনীয় রাষ্ট্র সৃষ্টি, যা ইস্রায়েলের পাশাপাশি শান্তি এবং নিরাপত্তায় সহাবস্থান করতে পারবে৷

আজ সোমবারেই ই.ইউ. পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা স্টাইনমায়ারের এই এ্যাকশন প্ল্যান গ্রহণ করবেন বলে প্রকাশ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ