ইইউ বাজেট আলোচনা ব্যর্থ
২৪ নভেম্বর ২০১২![European Union leaders leave after a family photo during an European Union leaders summit in Brussels November 23, 2012. (L-R) Germany's Chancellor Angela Merkel, European Commission President Jose Manuel Barroso, Latvia's Prime Minister Valdis Dombrovskis, France's President Francois Hollande, Netherlands' Prime Minister Mark Rutte and Britain's Prime Minister David Cameron. REUTERS/Francois Lenoir (BELGIUM - Tags: POLITICS BUSINESS) // Eingestellt von wa](https://static.dw.com/image/16400025_800.webp)
২৭টি দেশের জোট ইইউ'তে একটি অদৃশ্য বিভাজনরেখা হল এই বাজেট, কেননা কিছু দেশ ইইউ'র তহবিলে যে পরিমাণ অনুদান দেয়, সে তুলনায় ভরতুকি পায় না, যেমন ব্রিটেন অথবা জার্মানি৷ আর কিছু দেশ, যেমন পোল্যান্ড, ইইউ'র কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ভরতুকি পেয়ে থাকে৷ কিন্তু ইইউ'তে আর্থিক সংকট এবং ঋণ সংকট দেখা দেবার পর নেট দাতা দেশগুলি সতর্ক হয়ে গেছে৷ অপরদিকে ইইউ'র সামগ্রিক বাজেট এক ট্রিলিয়ন ইউরোর মাত্রা ছাড়িয়েছে৷
ক্যামেরন বলছেন, যেখানে তিনি তাঁর স্বদেশবাসীদের কৃচ্ছ্রসাধনের উপদেশ দিচ্ছেন, সেখানে তাঁর পক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজেটবৃদ্ধিতে সম্মত হওয়াটা সম্ভব নয়৷ অপরদিকে ক্যামেরন ভালো করেই জানেন, বাজেটে একমাত্র দেশ হিসেবে ভেটো প্রয়োগ করলে, ব্রিটেন ইউরোপীয় জোটে এবং সেই জোট থেকে আরো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে৷ দৃশ্যত, অতোবড়ো একটা পদক্ষেপের জন্য ব্রিটেনও আপাতত তৈরী নয়৷ ব্রিটেনের বাণিজ্যের একটা বড় অংশ আবার এই ইইউ দেশগুলির সঙ্গেই৷
ক্যামেরন কিন্তু জানেন এবং এবারও আলাপ-আলোচনা শেষ হবার পর বলেছেন, ইইউ'র ট্যাঁকশাল থেকে নগদ নেওয়া-দেওয়ার ব্যাপারে ব্রিটেন একা নয়৷ জার্মানি, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, ফিনল্যান্ড এবং ডেনমার্কও ইইউ'র বাজেটের উপর আরো কড়া নিয়ন্ত্রণের সপক্ষে৷ বিশেষ করে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল যে আলাপ-আলোচনায় ক্যামেরনের পক্ষ নেন, সেটা ব্রিটিশ মিডিয়া এবং জনগণের দৃষ্টিকোণ থেকে একটা বড় কূটনৈতিক জয়৷ ইইউ'র কূটনীতিকরাও স্বীকার করেছেন যে, ক্যামেরন তাঁর হাতের তাসগুলো ভালোভাবেই খেলেছেন, যার ফলে তাঁকে শেষমেষ খলনায়কের ভূমিকা নিতে হয়নি৷ ব্রিটেনের গার্ডিয়ান পত্রিকা লিখেছে, অন্যান্য ইইউ দেশের মধ্যে বিভেদ ক্যামেরনকে সাহায্য করেছে৷
এখন কিন্তু সেই অন্যান্য ইউরোপীয় নেতাদের ব্রাসেলসের ব্যর্থতাকে কৌশলগত পশ্চাদপসারণ ইত্যাদি বলে মুখরোচক করে তুলতে হবে, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল যেমন ইতিমধ্যেই করেছেন৷ ফরাসি প্রধানমন্ত্রী ফ্রঁসোয়া ওলঁদও বলেছেন, তিনি ‘‘ব্যর্থতা'' কথাটাকে মুখে নিতে চান না, কেননা ওটা সত্যি নয়৷ আর স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাখয় বলেছেন, আলাপ-আলোচনাটা হল একটা আর্ট৷
ব্রাসেলসে এখন সেই আর্টের প্রদর্শনী চলবে৷
এসি / এএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ)