তেল নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে চরম নিষেধাজ্ঞা আরোপে এখনো অপারগ ইউরোপীয় ইউনিয়ন। হতাশা প্রকাশ করলেন জেলেনস্কি।
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ষষ্ঠ নিষেধাজ্ঞা জারির পরিকল্পনা করেছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কিন্তু ২৭টি দেশের ব্লকে দুই-একটি দেশের আপত্তির কারণে এখনো পর্যন্ত সেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা যায়নি। এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। দৈনিক ভিডিওবার্তায় জেলেনস্কি বলেছেন, ''সর্বসম্মতিতে পৌঁছাতে আর কত সপ্তাহ সময় নেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন? ইইউ-র অনেক দেশের কাছেই আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু যারা এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে, তারা কোথা থেকে এত শক্তি পাচ্ছে?''
কার্টুনিস্টদের দৃষ্টিতে ইউক্রেন যুদ্ধ ও পুটিন
ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব সারা বিশ্বেই পড়েছে৷ বিভিন্ন দেশের কার্টুনিস্টরা এই যুদ্ধ নিয়েই বেশ কিছু কার্টুন এঁকেছেন এবং তা নিয়ে প্রদর্শনীও হয়েছে জার্মানির ডর্টমুন্ড শহরে৷ দেখুন ছবিঘরে...
মাদার ওয়ার
ইটালির কার্টুনিস্ট পাওলো লাম্বার্ডি ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তার কার্টুনটির নাম দিয়েছেন ‘মাদার ওয়ার’৷ সেখানে ইউক্রেনে হামলা শুরু করা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনকে দেখানো হয়েছে যমদূত গ্রিম রিপারের কোলে৷ পুটিনকে ফিডারে দুধ খাওয়াচ্ছেন মৃত্যুদূত৷ চার পাশে মাছি এমনভাবে উড়ছে যেন পুটিন হয় মরে গেছেন, নয়তো অচিরেই মরবেন!
দ্য নেভিগেটর
ডাচ কার্টুনিস্ট জিয়ার্ড রয়ার্ডসের কার্টুনেও পুটিন ভিলেন৷ এখানে রুশ প্রেসিডেন্টকে দেখানো হয়েছে অদ্ভুত এক বাহন রূপে৷ একমাত্র যাত্রী শয়তানকে পাশে নিয়ে বাহনটি চালাচ্ছেন যমদূত গ্রিম রিপার৷ চলন্ত যানে বসে পত্রিকা পড়ছেন শয়তান৷ পত্রিকার নাম ‘রোড টু থার্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ার’৷ ইঙ্গিতটা খুব স্পষ্ট – বিশ্বকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন যুদ্ধবাজ পুটিন৷
অস্ত্রের রূপান্তর
উজবেকিস্তানের মাখমুদ এশনকুলভের ইউক্রেন যুদ্ধ দেখে মনে হয়েছে মানুষ সৃষ্টির আদিকাল থেকে অনেক এগিয়েছে ঠিকই, তবে সেই অগ্রগতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মানবজাতির বড় একটা অংশের মধ্যে যুদ্ধপ্রীতিও বেড়েছে৷ তাই তার কার্টুনে বানর নিরস্ত্র, নিয়ান্দারথালের হাতে মুগুর, তারপর মানুষের হাতে আধুনিক অস্ত্র৷ মানুষের অগ্রগতি আর অস্ত্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি যেন সমার্থক!
অস্ত্রের নাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, পাসওয়ার্ড ফেক.নিউজ
কিউবার মিগুয়েল মোরালেস এ যুগের যুদ্ধে প্রপাগান্ডার গুরুত্ব কতটা তা ফুটিয়ে তুলেছেন৷ তার মতে, যুদ্ধের সবচেয়ে বড় অস্ত্রাগারের নাম প্রপাগান্ডা আর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অস্ত্র এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, অর্থাৎ টুইটার, ফেসবুক আর ইন্সটাগ্রাম৷ ঘরে বসে শুধু এই তিন অস্ত্রের বোতামে টিপুন, ব্যস যুদ্ধে অনেক এগিয়ে যাবেন৷ চলমান যুদ্ধেও যে প্রপাগান্ডার লড়াই চলছে কার্টুনের মাধ্যমে তা-ই জানাতে চেয়েছেন কিউবান শিল্পী৷
চির ক্ষুধার্ত রাশিয়া
ইউক্রেনের মতো লিথুয়ানিয়াও এক সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল৷ এখন ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া৷ লিথুয়ানিয়ার কার্টুনিস্ট কাজিস কেস্তুতিস সিয়াউলিতিসের তাই ভয়- ভবিষ্যতে না তার দেশের দিকেও হাত বাড়ায় রাশিয়া৷ সিয়াউলিতিসের চোখে তাই রাশিয়া এমন এক মাছ যার ক্ষুধা মরে কঙ্কাল হয়ে যাওয়ার পরও মিটবে না, কঙ্কালও হাঁ করে গিলতে থাকবে একের পর এক দেশ৷
যুদ্ধকে ‘না’
যুদ্ধ একটা দেশকে কী ভয়ানক খারাপ অবস্থায় ফেলতে পারে তা আফগানিস্তারের কার্টুনিস্ট শহিদ আতিকুল্লার চেয়ে বেশি ক’জন বুঝবেন!তিনি তাই নরওয়েজিয়ান শিল্পী এডওয়ার্ড মুঞ্চ- এর ১৯৮৩ সালে আঁকা আইকনিক ছবি ‘দ্য স্ক্রিম’ ধার করে সৃষ্টি করেছেন যুদ্ধবিরোধী বার্তা দেয়া এক ক্যারিকেচার৷ ক্যারিকেচারে ব্যবহার করেছেন বোমায় বিধ্বস্ত ইউক্রেনের কোনো এক শহরের ছবি৷
যুদ্ধ করো না, ভালোবাসো
রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর থেকেই বিশ্ব জুড়ে চলছে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ৷ কিন্তু পুটিন যুদ্ধ থামাননি৷ তুরস্কের মেনেকসে চাম তার কার্টুনে তুলে ধরেছেন শান্তির বাণী৷ ‘নো ওয়ার’ শীর্ষক কার্টুনে তাই গ্রিম রিপার কাঁটা দিয়ে গল্ফ খেলছেন আর চার পাশ থেকে শান্তিকামী মানুষরা তুলছেন ‘যুদ্ধ করো না, ভালোবাসো’ স্লোগান৷
ন্যাটোর প্রেমে
ইউক্রেন যুদ্ধের বড় কারণ ইউক্রেনের ন্যাটোর সদস্য হওয়ার সম্ভাবনা৷ পুটিন সে কথাই বলছেন বারবার৷ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আমেরের কার্টুনেও তাই ইউক্রেন ন্যাটোর প্রেমে পড়া এক কিশোরী, সেই কিশোরী প্রেমভরা দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে ন্যাটোর দিকে, কিন্তু তাকে উল্টো দিকে টানছে রাশিয়া৷
পুটিন যেমন
আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ করার কোনো উদ্যোগই কাজে আসছে না৷ নিজের অবস্থানে ভ্লাদিমির পুটিন অনড়৷ তাই পুটিনের বহুল আলোচিত টেবিলে শুধু পুটিনকে বসিয়েই তার একরোখা মানসিকতা ফুটিয়ে তুলেছেন জার্মানির আগোস্টিনো টালে৷ দীর্ঘ টেবিলের এক প্রান্তে পুটিন অন্য প্রান্তে আয়নায় তারই প্রতিচ্ছবি৷ আগোস্টিনো আসলে মনে করেন, পুটিন শুধু নিজের দিকটাই দেখেন, অন্য কারো কথা তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়৷
ড. অক্টোপুটিন
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যত নিষেধাজ্ঞাই আরোপ করা হোক না কেন, মাকাওয়ের কার্টুনিস্ট রডরিগো মনে করেন চলমান যুদ্ধে পুটিনই এখনো সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছেন৷ তার সুবিধাজনক অবস্থায় থাকার প্রধান কারণ ইউরোপের বেশ কিছু দেশের রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের ওপর নির্ভরশীলতা৷
10 ছবি1 | 10
উল্লেখ্য, হাঙ্গেরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাবিত ষষ্ঠ নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজটি মানতে রাজি হচ্ছে না। এই প্যাকেজে স্থির হয়েছে, রাশিয়ার থেকে সমস্ত তেল আমদানি বন্ধ করে দেওয়া হবে। রাশিয়ার অন্যতম বড় ব্যবসা তেল। সেই তেলের আমদানি বন্ধ করে দিলে রাশিয়া আরো অর্থনৈতিক সংকটে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু হাঙ্গেরি এই প্রস্তাবে এখনো সম্মত হয়নি। হাঙ্গেরি ব্যাপকভাবে রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের উপর নির্ভরশীল। সে কারণেই তারা সম্মত হচ্ছে না বলে মনে করা হচ্ছে। কূটনীতিকদের একাংশের বক্তব্য, হাঙ্গেরির বর্তমান শাসকের সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের যোগাযোগ আছে। সেটিও হাঙ্গেরির এই অবস্থানের অন্যতম কারণ।
ইউক্রেনে রাশিয়ার বিধ্বস্ত ট্যাংক নিয়ে প্রদর্শনী
ইউক্রেনে হামলা করতে গিয়ে বেশ কিছু সামরিক যান হারিয়েছে রাশিয়া৷ বিধ্বস্ত কিছু ট্যাংক নিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির রাজধানীতে আয়োজন করা হয়েছে একটি প্রদর্শনী৷
ছবি: GLEB GARANICH/REUTERS
কিয়েভের কেন্দ্রে প্রদর্শনী
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর দেশটির রাজধানী কিয়েভে হামলার ঘটনা ঘটলেও বর্তমানে সেখানে আর নতুন হামলার কথা শোনা যাচ্ছে না৷ বরং রাজধানীর কেন্দ্রে এক প্রদর্শনী চলছে, যেখানে রাশিয়ার বিধ্বস্ত বিভিন্ন ট্যাংকসহ সামরিক যান জনসাধারণের দেখার জন্য রাখা হয়েছে৷ ছবিতে এক শিশু একটি ট্যাংক দেখছে৷
ছবি: GLEB GARANICH/REUTERS
রাস্তার পাশে বিধ্বস্ত ট্যাংক
কিয়েভের রাস্তার পাশে পড়ে থাকা এক বিধ্বস্ত রুশ ট্যাংকের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে একদল তরুণ৷
ছবি: GLEB GARANICH/REUTERS
বিধ্বস্ত ট্যাংকের সামনে শিশু
কিয়েভের কেন্দ্রে প্রদর্শিত একটি বিধ্বস্ত ট্যাংকের সামনে ছবির জন্য পোজ দিচ্ছে এক শিশু৷
ছবি: GLEB GARANICH/REUTERS
খুঁটিয়ে দেখা
কিয়েভে প্রদর্শিত একটি রুশ ট্যাংক খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছেন একদল ইউক্রেনীয়৷
ছবি: GLEB GARANICH/REUTERS
স্বাভাবিক পরিস্থিতি
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের ছবিগুলোতে প্রদর্শনীর স্থানে বেশ স্বাভাবিক পরিস্থিতি দেখা গেছে৷ ছবিতে বিধ্বস্ত ট্যাংকের পাশ দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছেন এক ব্যক্তি৷
ছবি: GLEB GARANICH/REUTERS
যুদ্ধের পরিস্থিতি নিয়ে নানা বক্তব্য
ইউক্রেন যুদ্ধের পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমগুলোতে নানা খবর পাওয়া যাচ্ছে৷ সেখানকার প্রকৃত অবস্থা বোঝা এখনো কঠিন৷ দেশটির উপর রাশিয়ার হামলার তিন মাস পর প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আগামী কয়েক দিনে আরো জোরালো রুশ হামলার আশঙ্কা করছেন৷
ছবি: GLEB GARANICH/REUTERS
6 ছবি1 | 6
অ্যামেরিকা-ইউক্রেন বৈঠক
রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র তাদের জানিয়েছে, অ্যামেরিকার সামরিক এবং কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রশাসনের দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। ওয়াশিংটন কিয়েভকে জানিয়েছে, রাশিয়ার সীমান্তের ভিতরে ঢুকে আক্রমণ চালানো বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। তাতে যুদ্ধের বিপদ আরো বাড়বে।
বস্তুত, এর আগে রাশিয়া অভিযোগ করেছিল, ইউক্রেনের সেনা তাদের সীমান্তের ভিতরে ঢুকে আক্রমণ চালাচ্ছে। রাশিয়া চার সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে কার্যত গোটা ইউক্রেন জুড়ে ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে। তারই জবাবে ইউক্রেনের সেনা রাশিয়ার ভিতরে আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনা করেছিল বলে সূত্র জানিয়েছে। সে কারণে, বন্ধু রাষ্ট্রগুলির কাছে সেই ধরনের অস্ত্র চেয়েছিল ইউক্রেন। কিন্তু অ্যামেরিকা ইউক্রেনকে জানিয়েছে, রাশিয়ার ভিতরে আক্রমণ চালালে যুদ্ধ পরিস্থিতি আরো আশঙ্কাজনক হবে। রাশিয়া আরো ভয়াবহ পদক্ষেপ নিতে পারে। ফলে আপাতত সেই ভাবনা থেকে বিরত থাকাই উচিত।
রাশিয়াও জানিয়েছে, ইউক্রেনকে পশ্চিমা দেশগুলি যে ধরনের অস্ত্র সরবরাহ করছে, তাতে রাশিয়ার বিপদ বাড়ছে। রাশিয়ার সার্বভৌম ভূখণ্ডে আঘাত হানলে রাশিয়া ছেড়ে কথা বলবে না।
রুশ রাষ্ট্রদূতকে লাল রং দিয়ে হামলা, ক্ষমা দাবি
01:10
রয়টার্স জানিয়েছে, নামপ্রকাশ করা যাবে না এই শর্তে অ্যামেরিকার তিন কর্মকর্তা তাদের সঙ্গে এবিষয়ে কথা বলেছে।
রাশিয়া-অ্যামেরিকা দ্বন্দ্ব
সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন জানিয়েছিলেন, তাদের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলি যদি তুলে নেওয়া হয়, তাহলে রাশিয়া ইউক্রেন থেকে খাদ্যসামগ্রী বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেবে। কিন্তু পুটিনের এই প্রস্তাব নস্যাৎ করে দিয়েছে অ্যামেরিকা। মার্কিন কূটনীতিকদের বক্তব্য, নিষেধাজ্ঞার জন্য বিশ্বজুড়ে খাদ্যসংকট তৈরি হয়নি। সংকট তৈরি হয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে। যার সম্পূর্ণ দায় রাশিয়ার। ফলে তাদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে খাবারের সরবরাহ আটকে রেখে দিয়েছে। কৃষ্ণসাগরে তারা কার্যত অবরোধ তৈরি করেছে। ইউক্রেনের বন্দরগুলিতেও অবরোধ তৈরি করা হয়েছে। সেই অবরোধ তুললেই বিশ্বজুড়ে খাদ্যসংকট কমবে।
এর আগে ইটালির প্রধানমন্ত্রীকে ফোনে পুটিন নিষেধাজ্ঞা তোলার বিষয়ে জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, পশ্চিম যদি রাশিয়ার উপর থেকে কড়া নিষেধাজ্ঞাগুলি তুলে নেয়, তাহলে রাশিয়াও খাদ্যসংকট কমানোর জন্য পদক্ষেপ নেবে।