1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইইউ-র ভেতরে অবাধ চলাচল

সাব্রিনা পাবস্ট/আরবি১২ জুন ২০১৩

জার্মানিতে কাজ করা৷ বেলজিয়ামে বাস করা৷ ইটালিতে পড়াশোনা করা৷ এই হলো ইউরোপীয় ইউনিয়নে অবাধ যাতায়াতের মূলতত্ত্ব৷ কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি কেমন?

ছবি: Fotolia/Light Impression

ইইউ-এর সদস্য দেশগুলির নাগরিকরা এক দেশ থেকে আরেক দেশে বিনা বাধায় যেতে পারেন, পড়াশোনা করতে পারেন, চাকরি করতে পারেন, বসবাসও করতে পারেন৷ এজন্য বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন হয় না৷ পরিচিতিপত্রই যথেষ্ট৷

কোনো দেশে বেকারত্ব বেশি, কোনো দেশে কর্মখালি

ইইউভুক্ত কয়েকটি দেশে বেকারত্বের হার অত্যন্ত উঁচু৷ কোনো কোনো দেশে আবার অসংখ্য কর্মখালি পড়ে আছে৷ তাই যারা অন্য দেশে গিয়ে চাকরি করতে চান, তাদের জন্য সব কিছু সহজ করা উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা৷

ছবি: Fotolia/m.schuckart

যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় ‘উইন-উইন' পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে৷ অর্থাৎ একদিকে সদস্য রাষ্ট্রগুলির সামগ্রিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, অন্যদিকে চাকরি পেয়ে লাভবান হন বেকাররাও৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইন অনুযায়ী সদস্য রাষ্ট্রগুলির নাগরিকদের এই ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে৷ এমনকি চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও সদস্য দেশগুলির নাগরিকরা আরেক সদস্য দেশে থাকতে পারেন, যতদিন পর্যন্ত তাদের সামাজিক ভাতার ওপর নির্ভরশীল হতে না হয়৷ অতিথি দেশের নাগরিকদের মতই চাকরি ক্ষেত্রে সব রকমের সুযোগ-সুবিধা তাঁরা পান৷

চাকরির বাজারে ভারসাম্য

অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা ওইসিডি-র বিশেষজ্ঞ টমাস লিবিক চাকরির বাজারে আন্তর্জাতিক অভিবাসন ও তার ফলাফল নিয়ে গবেষণা করছেন৷ তাঁর মতে, ‘‘অবাধ যাতায়াতের অধিকার ইউরোপের অভ্যন্তরীণ চাকরির বাজারে ভারসাম্য রক্ষা করে৷''

ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে সব দেশে বেকারত্বের চাপ বেশি, সে সব দেশ থেকে আগ্রহীরা ইইউ-ভুক্ত অন্যান্য দেশে চাকরি করতে পারেন৷ এটা হলো থিওরি৷ কিন্তু বাস্তব অবস্থাটা ভিন্নরকম৷

ওইসিডি-র বিশেষজ্ঞ টমাস লিবিকছবি: picture-alliance/dpa

‘‘ইইউ-এর মাত্র ৫ শতাংশ নাগরিক অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রে কাজ করেন৷'' বলেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নাদিয়া হিয়র্শ৷

এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলির মধ্যে বৈষম্যও রয়েছে৷ যেমন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দুর্বল দেশ বুলগেরিয়া ও রুমেনিয়ার নাগরিকরা ইইউভুক্ত অন্যান্য দেশ চাকরি করতে চাইলে কাজের অনুমতি নিতে হয়৷ অবশ্য ২০১৪ সালের পয়লা জানুয়ারি থেকে এই শেষ বাধাটাও দূর করা হবে৷

বিদেশি বিদ্বেষ চাকরির বাজারেও

বিদেশি বিদ্বেষ চাকরির বাজারেও লক্ষ্য করা যায়৷ কয়েক দশক ধরে ইইউভুক্ত দেশগুলির ভেতরে চাকরির বাজারে সীমানা না থাকলেও নেতিবাচক বদ্ধমূল ধারণাটা কিন্তু রয়েই গেছে৷ বাজার ব্যবস্থাটা যখন এক, তখন তো বলা যায় না, জার্মান ও ড্যানিশরা স্পেন ও গ্রিসের তরুণ ও শিক্ষিত কর্মীদের দখল করে নিচ্ছে৷

ইইউ-র অভ্যন্তরে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাতায়াতের সুযোগ সুবিধার ফলে কিছুটা হালকা হয় দুর্বল দেশের কর্মবাজার৷ সেখানকার বেকার ব্যক্তিরা জার্মানি বা নেদারল্যান্ডসে চাকরি নিয়ে গেলে একদিকে যেমন দেশটির ওপর চাপ কমে, অন্যদিকে চাকরি ক্ষেত্রে তাঁরা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারেন৷ পরে স্বদেশে ফিরে এলে সেই অভিজ্ঞতা তাঁরা কাজে লাগাতে পারেন৷

স্পেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নাদিয়া হিয়র্শ৷ছবি: picture-alliance/dpa

সম্প্রতি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে জার্মানির সঙ্গে স্পেনের একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছে৷ এই চুক্তির বলে আগামী চার বছরের মধ্যে ৫,০০০ স্প্যানিশ তরুণ-তরুণী জার্মানিতে প্রশিক্ষণ ও কাজের সুযোগ পাবেন৷ বর্তমানে স্পেনে বেকারত্বের হার ৫৬ শতাংশের মত৷ এদিক দিয়ে ইইউ-এর দেশগুলির মধ্যে গ্রিসের পরেই স্পেনের স্থান৷

এ প্রসঙ্গে জার্মান শ্রমমন্ত্রী উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন বলেন, ‘‘জার্মানিতে ৩৩,০০০ শিক্ষানবিশের পদ খালি রয়েছে৷ তাই তরুণ স্প্যানিশদের সাদরে অভ্যর্থনা জানানো হবে এখানে৷''

ভাষা সমস্যা

অবশ্য এক্ষেত্রে একটি বড় বাধা হলো ভাষা সমস্যা৷ চাকরিদাতা দেশের ভাষায় দখল না থাকলে বিরাট প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয় অন্য দেশ থেকে আসা কর্মজীবীদের৷ তাই সংকটাপন্ন দেশগুলির উচিত বিদেশি ভাষা শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া৷

ইইউ-এর পার্লামেন্টের নাদিয়া হিয়র্শ মনে করেন, ‘‘এক্ষেত্রে ভাষা সমস্যা ছাড়াও আমলাতান্ত্রিক কিছু জটিলতা রয়েছে৷ যেমন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আসা অভিবাসীদের অবসর বা বেকার ভাতা নেওয়ার প্রশ্ন উঠলে৷ এক্ষেত্রে চাকরিদাতা দেশের ওপরই প্রথমে দায়িত্ব বর্তায়৷ পরে স্বদেশকে নিতে হয় এই দায়িত্ব৷ বিষয়টি স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন৷''

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভেতরে সহজে যাতায়াতের আইনকানুন শুধু পর্যটক ও চাকরিজীবীদের সুবিধাই করে দেয়নি৷ সম্প্রতি ইইউ থেকে পাশ করা একটি আইনে পোষা জীবজন্তু নিয়েও সীমানা ছাড়িয়ে যাতায়াত করা সহজ হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ