1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইইউ-র শরণার্থী নীতিতে পরিবর্তন ঘটল না

ব্যার্ন্ড রিগার্ট/এসি২৪ এপ্রিল ২০১৫

ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্র – তথা সরকারপ্রধানেরা ভূমধ্যসাগরে শরণার্থী সংকট সংক্রান্ত শীর্ষ বৈঠকে কিছু প্রাথমিক পদক্ষেপ নিয়েছেন বটে, কিন্তু কাজ এখনও অনেক বাকি, বলে মনে করেন ব্যার্ন্ড রিগার্ট৷

Symbolbild - Flüchtlingsboot Mittelmeer
ছবি: Marco Di Lauro/Getty Images

মাল্টা-য় শোকসভা, ব্রাসেলসের শীর্ষবৈঠকে সরকারি নেতারা এক মিনিটের নীরবতা পালন করলেন শত শত উদ্বাস্তুদের স্মরণে, যারা বিগত কয়েক দিনে লিবিয়ার উপকূলে প্রাণ হারিয়েছেন৷ আফ্রিকার দেশগুলি যা করছে না, ইইউ অন্তত কিছুটা দায়িত্ব স্বীকার করে কিছু একটা করার চেষ্টা করছে৷

ইটালি ও মাল্টা-র সীমান্তকে আরো ভালোভাবে সুরক্ষিত করার জন্য ‘‘ফ্রন্টেক্স''-কে তিনগুণ বেশি অর্থ প্রদান করা হচ্ছে - যাতে ফ্রন্টেক্স-এর কর্মীরা আরো বেশি উদ্বাস্তুকে সলিলসমাধি থেকে উদ্ধার করতে পারেন৷ ব্রাসেলসের অপ্রত্যাশিতরকম দীর্ঘ অধিবেশনে সেটাই ছিল একমাত্র বাস্তব সিদ্ধান্ত৷

মুখরক্ষা

ইইউ সদস্যদেশগুলির একক স্বার্থে ফারাক বিপুল৷ শুধু জনমতের চাপে পড়েই ইইউ-র হর্তাকর্তারা চলতি ‘‘ট্রাইটন'' অভিযানটির বরাদ্দ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন, নয়তো অমানবিকতার দায়ে পড়তে হতো৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল-কেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মানবাধিকারের বুনিয়াদি মূল্যবোধের ব্যাপারে চিন্তিত দেখা গেল৷ জার্মানি, বেলজিয়াম, ব্রিটেন এবং অপরাপর দেশ আরো বেশি জাহাজ ও কর্মী পাঠাবে, যাতে অন্তত বড় ধরনের বিপর্যয় রোখা সম্ভব হয়৷

ব্যার্ন্ড রিগার্ট

কিন্তু ‘‘ট্রাইটন''-এর সনদ বাড়ানো হয়নি৷ অপরদিকে ফ্রন্টেক্স ইটালীয় নৌবাহিনীর সহায়তায় বাস্তবিক সব শরণার্থীকে উদ্ধার করতে পারবে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়৷ শরণার্থীদের উদ্ধারের চেয়ে ইইউ-র মুখরক্ষাটাই সম্ভবত বড় কথা৷ ট্রাইটনের জন্য ইইউ প্রতিমাসে ৩০ লাখ ইউরোর পরিবর্তে এবার ৯০ লাখ ইউরো দেবে, ইটালির শেষ হতে চলা ‘‘মারে নস্ত্রুম'' অভিযানের যে বাজেট ছিল৷ সেক্ষেত্রেও আসল কথা হল, গতবছরের হেমন্তে ‘‘মারে নস্ত্রুম'' অভিযান বন্ধ করা হয় অর্থাভাবে নয়, বরং ইটালির ডান-ঘেঁষা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আঞ্জেলিনো আলফানো উদ্ধারকৃত শরণার্থীদের আর ইটালিতে আসতে দিতে চাননি বলে৷

মূল সমস্যার কোনো সমাধান হল না

সেটি হল: উদ্বাস্তু, রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী এবং অর্থনৈতিক শরণার্থীদের কোথায় পাঠানো যায়? ইইউ-র বিভিন্ন দেশের মধ্যে ভাগ করে নেওয়ার কোনো ফর্মুলা খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ তথাকথিত ডাবলিন নীতি বলে, উদ্বাস্তুরা যে দেশে সর্বাগ্রে পদার্পণ করবেন, সেই দেশকেই তাদের দেখাশোনা করতে হবে – এই ডাবলিন নীতি সংস্কার করার ব্যাপারে আজও চিন্তাভাবনা চলেছে৷ ওদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন ও অন্যান্যদের মনোভাব অনমনীয়: উদ্বাস্তুদের সাগর থেকে উদ্ধার করার জন্য ব্রিটিশ জাহাজ পাঠাতে ক্যামেরনের আপত্তি নেই – কিন্তু তাদের একজনকেও ব্রিটেনে আসতে দিতে আপত্তি৷

কাজেই ইইউ এখন ভাবছে বিমান হানার মাধ্যমে মানুষ পাচারকারীদের বোটগুলো ধ্বংস করা যায় কিনা, যেহেতু লিবিয়ায় সেনা পাঠানোর কথা ভাবা যায় না৷ উদ্বাস্তু সংক্রান্ত পরের শীর্ষবৈঠক বসবে মাল্টায়: সেখানে আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সেই সব দেশকে যোগদানের আমন্ত্রণ জানানো হবে, যে সব দেশ হয়ে উদ্বাস্তুরা ইউরোপে আসার চেষ্টা করে থাকে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ