ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট বৃহস্পতিবার এর পক্ষে কথা বলেছেন। ২০৩০-এর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরো দেশকে জায়গা দিতে হলে ইইউ-র সম্প্রসারণ প্রয়োজন। এখন যে কাঠামো আছে তার সংস্কার প্রয়োজন। ২০৩০ সালের মধ্যে সেই সংস্কার শেষ করা উচিত। তাহলেই আরো নতুন দেশকে ইইউ-তে জায়গা দেওয়া যাবে। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল।
স্লোভেনিয়ার লেক সাইডে ইউরোপীয় কাউন্সিলের স্ট্র্যাটেজিক বৈঠক শুরু হয়েছে। সেখানে বলকানের নেতারা যোগ দিয়েছেন। তাদের সঙ্গে এক বৈঠকেই একথা বলেছেন মিশেল। তার কথায়, ''দুই পক্ষকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ইইউ-কে আরো প্রশস্থ করতে হবে। এবং তার জন্য নিজেদের সংস্কার প্রয়োজন। সময়ের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে একাজ করা দরকার। এতে বোঝা যাবে, আমরা বিষয়টি নিয়ে সিরিয়াস।''
কে ছিনিয়ে নেবে ইউরোভিশন ২০১৮?
১৯৫৬ সাল থেকে ইউরোপীয়ান ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন আয়োজন করে আসছে গানের প্রতিযোগিতা ‘ইউরোভিশন’৷ খেলাধুলার বাইরে সবচে’ বেশি দেখা টিভি অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ইউরোভিশন৷ প্রতিযোগিতাটিতে এবারের ‘ফেবারিট’ কারা? দেখুন ছবিঘরে৷
ছবি: Andres Putting
মিকোলাস ইয়োসেফ (চেক প্রজাতন্ত্র)
চেক প্রজাতন্ত্রের মিকোলাস ইয়োসেফ-এর গাওয়া ‘লাই টু মি’ ইলেক্ট্রো-হিপ-হপ গানটি এবারের ইউরোভিশনের সেরা দশে জায়গা করে নিয়েছে৷ প্রথমবারের মতো চেক রিপাবলিক এ প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ডে আসতে পেরেছে৷ তাই জিতে গেলে অবাক হবেন না৷
ছবি: Andres Putting
রিয়ান ওগসনোসি (আয়ারল্যাণ্ড)
এই গানটির ভিডিওতে ডাবলিনের রাস্তায় দুই যুবককে নাচতে দেখা যায়৷ সৌম্য ও হালকা, ধীরলয়ের এই গানটি আয়ারল্যান্ডের ৩৩০ গানের মধ্যে থেকে বাছাই করা হয়েছে ইউরোভিশন প্রতিযোগিতার জন্য৷ এর মধ্য দিয়ে আয়ারল্যান্ড ৯০ দশকে তাদের ঐতিহ্যবাহী জনপ্রিয় গানের ধারায় ফিরে যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে৷
ছবি: Reuters/P. Nunes
সেনেক (বেলজিয়াম)
প্রতি বছরই বেলজিয়াম নতুন নতুন চমক দেয়৷ এ বছরও বেলজিয়ামের গান ‘ম্যাটার অফ টাইম’ নিয়ে ইউরোভিশন প্রতিযোগিতায় হাজির হয়ে সেনেক৷ এই গানটি নিয়ে প্রথমে তেমন কিছু মনে না হলেও, পরে শুনতে গিয়ে হঠাৎ ভলো লেগে যেতে পারে৷ এক কথায় বলা যেতে পারে দারুণ গান!
ছবি: Andres Putting
মিশায়েল শুলট (জার্মানি)
মৃত প্রেয়সীকে স্মরণ করে গাওয়া মিশায়েল শুলটের ‘ইউ লেট মি ওয়াক অ্যালোন’ গানটির কথা অসম্ভব শক্তিশালী৷ তাই গানটি শোনার সময় চোখে সত্যিকার অর্থেই পানি চলে আসে৷ তাছাড়া এই গানের মধ্যে এমন একটি বার্তা আছে, যা প্রত্যেকে মনন থেকেঅনুধাবন করতে পারবে৷ মিশায়েল শুলট একজন পেশাদার এবং তাঁর কাজের সমালোচনা করা সত্যিই কঠিন৷
ছবি: Andres Putting
এডাব্লিউএস (হাঙ্গেরি)
জার্মানির ভাকেন শহরে অনুষ্ঠিত হেভি মেটাল মিউজিক ফেস্টিভ্যালে রোজকার অতিথি হাঙ্গেরিয়ান ব্যান্ড এডাব্লিউএস৷ পাঁচজনের এই দলটি দর্শক ও শ্রোতাদের মধ্যে তাঁদের উঁচু গলার রক সংগীত দিয়ে রীতিমত বোমা ফাটায়৷ এমনই সেই আওয়াজ যে, অনুষ্ঠান শেষে আপনি কিছুক্ষণ কানেও শুনবেন না, চোখেও দেখবেন না৷ তবে গানটির ভিডিওতে রয়েছে আনন্দময় মিউজিক, বাচ্চাদের খেলাধুলা আর হাসিহাসি মুখ৷
ছবি: Imago
নেত্তো (ইসরায়েল)
নেত্তো সেই শিল্পী যিনি শব্দ বা নিছক গর্জন দিয়েও গান করতে পারেন৷ একটা গানে কোঁত দেওযা থেকে শুরু করে নাকের ব্যবহার পর্যন্ত করেছেন তিনি৷ সবকিছু যেন উদার করে দিয়েছেন গানে৷ গানের শুরুর টোনে কিছুটা ধাক্কা খেতে হলেও, পরে ধীরে ধীরে গানটি সুরেলা লাগে৷ নেত্তোর গান ‘টয়’ একটি দৃঢ়চেতা নারীর গান, যাঁর কখনও কখনও বিকল্প কিছু দরকার হয়৷ ‘টয়’ গানের একটি দুর্দান্ত লাইন হচ্ছে – ‘আই আম নট ইউর টয়, ইউ স্টুপিড বয়’৷
ছবি: Andres Putting
আলেকজান্ডার রিবাক (নরওয়ে)
‘দ্যাটস হাউ টু রাইট আ সং’ – টাইটেলই বলে দেয় গানের সারমর্ম৷ দারুণ পপ মিউজিকের সাথে গানটি এ বছরের গ্রীষ্মকালীন গান হিসেবে জনপ্রিয়তা পেতেই পারে৷ গানটি শোনার সময় চুপচাপ বসে থাকা কঠিন৷ হ্যাঁ, শরীর নেচে উঠবেই৷ ভালো বেহালা বাদক রিবাক ২০০৯ সালের বিজয়ী ছিলেন৷ এ বছর ইসরায়েলের নেত্তোর সাথে তাঁর জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করা হচ্ছে৷
ছবি: Andres Putting
7 ছবি1 | 7
মিশেলের বক্তব্য, ইইউ-তে আরো অনেক রাষ্ট্র যাতে যোগ দিতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু আপনা থেকে তা হবে না। তার জন্য ইইউ-র সংস্কার প্রয়োজন। ২০৩০ তারই লক্ষ্যমাত্রা। তার মতে বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধের পরে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেছে। কে কোন দিকে দাঁড়িয়ে। অন্যদিকে ইউরোপীয় দেশগুলির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করাও ইইউ-র দায়িত্ব। সে কারণেই এক সম্প্রসারণ জরুরি।
আগামী অক্টোবরে স্পেনের গ্রানাডায় ইইউ-র নেতারা আরেকটি বৈঠকে বসবে বলে জানিয়েছেন মিশেল। সেখানে ইইউ-র পক্ষে এখন আর কতগুলি দেশকে নিজেদের ব্লকে ঢোকানো সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বস্তুত, বলকান দেশগুলি ইইউ-তে ঢোকার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। কিন্তু ইইউ-তে যোগ দিতে গেলে প্রতিটি দেশের সবুজ সংকেত প্রয়োজন হয়।
ইউক্রেন যুদ্ধের পর একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেছে। কোন দেশ কার সঙ্গে আছে। রাশিয়ার বলকান প্রতিবেশী সার্বিয়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-র ঘোষণা করা নিষেধাজ্ঞা মানেনি। তবে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে তারা জেলেনস্কির দেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। এদিনের বৈঠকে এই সমস্ত আলোচনাই সামনে এসেছে।