মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো এত খারাপ আচরণ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আর কেউ করে না৷ মার্কিন টেলিভিশন সিবিএসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন তিনি৷
বিজ্ঞাপন
‘‘বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমাদের চেয়ে বেশি সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন গঠিত হয়েছিল এবং তারা সেটা করেছে,'' বলেন ট্রাম্প৷
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নতুন রূপ দেয়ার চেষ্টা করছেন৷ কিন্তু তা করতে গিয়ে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সম্পর্কে অবনতি ঘটেছে৷ চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি দূর করতে ট্রাম্প প্রশাসন চীনা পণ্যের উপর শুল্ক আরোপ করেছে৷ পালটা ব্যবস্থা হিসেবে চীনও মার্কিন পণ্যের উপর শুল্ক আরোপ করেছে৷
চীনের মতো ইইউ থেকে গাড়ি আমদানিরওপরও শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র৷ তবে গত জুলাইতে ট্রাম্প ও ইইউ প্রেসিডেন্ট জঁ ক্লোদ ইয়ুংকারের মধ্যে বৈঠকের পর সেই পরিকল্পনা সাময়িক স্থগিত করে ট্রাম্প প্রশাসন৷ এছাড়া ঐ দুই নেতার বৈঠকে দুই অঞ্চলের মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনা কমানোর সিদ্ধান্ত হয় এবং সেই লক্ষ্যে এখন আলোচনা চলছে৷ আলোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো দেশ একে অপরের পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করবেনা বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে৷
ইইউ-অ্যামেরিকা বাণিজ্য
সম্প্রতি অ্যামেরিকার সঙ্গে ক্যানাডায় শীর্ষ সম্মেলনে জি-সেভেন নেতৃত্বের বাণিজ্য ভারসাম্য নিয়ে বেশ একচোট লড়াই হয়ে গেল৷ ছবিঘরে দেখে আসা যাক কেমন আসলে অ্যামেরিকা ও ইইউ-এর বাণিজ্য৷
ছবি: Imago/Hoch Zwei Stock/Angerer
এক ট্রিলিয়নেরও বেশি বাণিজ্য
অ্যামেরিকার সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক অঞ্চলগুলোর তালিকায় রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ অ্যামেরিকার মোট রপ্তানির ৫ ভাগের একভাগ হয় ইইউতে৷ আবার ইইউ থেকেও মোট রপ্তানির ৫ ভাগের একভাগ হয় অ্যামেরিকায়৷ ২০১৭ সালে অ্যামেরিকা ও ইইউ-এর বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৬৯ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার৷ এর মধ্যে ইইউ আমদানি করেছিল ২৫৬ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য বা সেবা৷ এর বিপরীতে অ্যামেরিকার আমদানি ছিল ৩৭৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ইউরো৷
ছবি: Imago/Hoch Zwei Stock/Angerer
ইইউ-এর বাণিজ্য উদ্বৃত্ত
অ্যামেরিকা ও ইইউভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে মূলত মেশিনারি, গাড়ি, কেমিক্যাল যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য শিল্পজাত পণ্য বাণিজ্য হয়৷ ২০১৭ সালে দুই দেশের বাণিজ্যের মোট ৮৯ শতাংশই এসব পণ্যের লেনদেনের মধ্য দিয়ে হয়েছে৷ খাদ্য এবং পানীয়সহ তিনটি রপ্তানি খাতে ইইউ-এর অ্যামেরিকার সাথে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে৷ তবে অ্যামেরিকা জ্বালানি এবং কাঁচামাল রপ্তানিতে ইইউ-এর তুলনায় এগিয়ে রয়েছে৷
ছবি: Reuters
রপ্তানির শীর্ষে গাড়ি ও যন্ত্রপাতি
অ্যামেরিকাতে ১৬৭ বিলিয়ন ইউরোর যন্ত্রপাতি ও মেশিনারি বিক্রি করে, যা এ অঞ্চলের মোট রপ্তানির ৪৪ দশমিক ৪০ শতাংশ৷ বিপরীতে ১১১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের যন্ত্রপাতি ও পরিবহন যোগাযোগ যন্ত্রপাতি ইইউতে রপ্তানি করে অ্যামেরিকা, যা দেশটি থেকে ইইউতে রপ্তানির ক্ষেত্রে শীর্ষ স্থান দখল করে আছে৷ আর ইইউ-এর মোট আমদানি ব্যয়ের এটি সাড়ে ৪৩ শতাংশ৷
ছবি: picture-alliance/U. Baumgarten
ক্ষুদ্র একটি অংশ!
এ বছরের মে মাসে অ্যামেরিকার বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে ট্রাম্প প্রশাসন ইইউ থেকে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ বাড়তি করারোপ করেছে৷ অথচ ইউরোপ থেকে অ্যামেরিকায় ২০১৭ সালে মাত্র ৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ইউরোর ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানি করেছিল৷
ছবি: Reuters/Y. Herman
প্রতিশোধমূলক করারোপ
ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিপরীতে ইউরোপীয় ইউনিয়নও কর বাড়ানোর জন্য অ্যামেরিকা থেকে আমদানি করা হয় এমন কিছু পণ্যের তালিকা করেছে৷ এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে চিনাবাদাম থেকে তৈরি মাখন, বোরবন হুইস্কি, হার্লে ডেভিডসন মোটরসাইকেল, জিন্স এবং কমলার রস৷ এসব আমদানি পণ্যের মোট মূল্য ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ইউরো বলে জানিয়েছেন ইইউ কর্মকর্তারা৷
ছবি: Shaun Dunphy / CC BY-SA 2.0
সেবা আমদানি-রপ্তানি
ইইউ ২১৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন ইউরোর সেবা আমদানি এবং ২১৮ বিলিয়ন ইউরোর পণ্য রপ্তানি করে৷ এসব সেবার আওতায় রয়েছে দক্ষ ব্যবস্থাপনা সেবা, ইন্টেকলেকচুয়েল প্রোপার্টি, পর্যটন এবং শিক্ষা৷ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আন্তঃলেনদেনের মাধ্যমে অ্যামেরিকা-ইইউ-এর মোট বাণিজ্যের এক তৃতীয়াংশ হয়ে থাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
6 ছবি1 | 6
যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের সঙ্গে বৈরী আচরণ করছে কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে সিবিএস সাংবাদিক লেসলি স্টালকে ট্রাম্প বলেন, ‘‘আপনি জানেন, বৈরিতা কাকে বলে? তারা আমাদের সঙ্গে যেটা করছে৷ আমরা বৈরী নই৷''
সাক্ষাৎকারে ন্যাটো নিয়েও কথা বলেন ট্রাম্প৷ জোটের অংশীদাররা পর্যাপ্ত চাঁদা দেয় না বলে অতীতে সমালোচনা করেছেন তিনি৷ তবে এখন জোটসঙ্গীরা চাঁদা বাড়ানোর অঙ্গীকার করায় খুশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ ‘‘এখন আমি ন্যাটো পছন্দ করি৷ ন্যাটো ঠিক আছে৷ কিন্তু আপনি জানেন? ইউরোপকে বাঁচাতে এতদিন আমাদের ন্যাটোর প্রায় পুরো খরচ দেয়াটা ঠিক হয়নি৷ তার ওপর তারা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমাদের চেয়ে বেশি সুবিধা নিচ্ছে৷ এভাবে আর চলবে না৷ এটা তারা বুঝতে পারছে,'' বলেন ট্রাম্প৷
পদত্যাগ আর বরখাস্তে বিপর্যস্ত ট্রাম্প প্রশাসন
২০১৭ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে নিজের প্রশাসনকে সুস্থির করতে পারছেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ ১৪ মাসেই হোয়াইট হাউস ও মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে এতবার রদবদল এর আগে দেখা যায়নি৷
ছবি: Reuters/C. Barria
নিকি হ্যালি (পদত্যাগ)
এ বছরের শেষে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব ছাড়বেন বলে ২০১৮ সালের ৯ অক্টোবর ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসনের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী নিকি হ্যালি৷ ট্রাম্পের বিদেশ নীতির জোরালো সমর্থক ছিলেন তিনি৷ জেরুসালেম ইস্যু, ইরান পরমাণু চুক্তিসহ নানা ইস্যু সফলভাবে সামলেছেন তিনি৷ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সাউথ ক্যারোলাইনার সাবেক এই রিপাবলিকান গভর্নর ট্রাম্পের কঠোর সমালোচক ছিলেন৷
ছবি: picture-alliance/G.Melendez
ডন ম্যাকগান (পদত্যাগে বাধ্য)
হোয়াইট হাউসের পরামর্শক ম্যাকগানকে না জানিয়েই ২০১৮ সালের ২৯ আগস্ট এক টুইটের মাধ্যমে তাঁর পদ খালি হওয়ার ঘোষণা দেন ট্রাম্প৷ মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের তদন্তে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ যে কয়জন কর্মকর্তা স্বেচ্ছায় সহায়তা করছিলেন, ম্যাকগান ছিলেন তাঁদের অন্যতম৷
ছবি: Getty Images/D. Angerer
স্কট পুইট (পদত্যাগ)
এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন এজেন্সির প্রশাসকের পদ থেকে ২০১৮ সালের ৫ জুলাই পদত্যাগের ঘোষণা দেন পুইট৷ জলবায়ু নিয়ে ট্রাম্পের ভিন্ন চিন্তার অন্যতম সমর্থক ছিলেন তিনি৷ ট্রাম্পের সাথে বেশ ভালো সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও বেশ কিছু সিদ্ধান্তে তাঁর ‘নৈতিক’ অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
রেক্স ডব্লিউ টিলারসন (বরখাস্ত)
২০১৮ সালের ১৩ মার্চ ট্রাম্পের এক টুইট দেখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিলারসন জানতে পারেন, তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে৷ এক বছরের কিছু বেশি সময় এই পদে ছিলেন তিনি৷ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সিদ্ধান্তহীনতা, ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ- এমন নানা কারণে রাজনীতি বিশ্লেষকরা তাঁকে আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর খেতাবও দিয়েছেন৷ তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেয়া হয় সিআইএ’র ডিরেক্টর মাইক পম্পেওকে৷
ছবি: picture-alliance /AP Photo/J. Gambrell
হোপ হিকস (পদত্যাগ)
২০১৮ সালের ২৯ মার্চ পদত্যাগের ঘোষণা দেন ট্রাম্পের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের একজন, হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ বিভাগের পরিচালক হিকস৷ ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার পর এই পদে তিনি ছিলেন চতুর্থ ব্যক্তি৷ নির্বাচনি প্রচারের সময় ট্রাম্পের প্রেস সচিবের দায়িত্বও পালন করেন তিনি৷
ছবি: Reuters/C. Barria
ডেভিড জে শুলকিন (বরখাস্ত)
২০১৮ সালের ২৮ মার্চ হোয়াইট হাউসের ভেটেরান অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি ডেভিড শুলকিনকে বরখাস্ত করেন ট্রাম্প৷ সরকারি সফরে ইউরোপ গিয়ে বিনামূল্যে উইম্বলডন টেনিস টুর্নামেন্টের টিকিট গ্রহণ এবং সরকারি অর্থ ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে৷ মার্কিন নৌবাহিনীর রিয়ার অ্যাডমিরাল ডা. রনি জ্যাকসনকে দেয়া হয় নতুন দায়িত্ব৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Reuter
এইচ আর ম্যাকমাস্টার (পদত্যাগ)
দীর্ঘদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, ম্যাকমাস্টারকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে দেখতে চান না ট্রাম্প৷ ২২ মার্চ স্বেচ্ছায় এ পদ থেকে সরে দাঁড়ান ম্যাকমাস্টার৷ তাঁর পদত্যাগের সাথে সাথেই টুইটে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও ফক্স নিউজের বিশ্লেষক জন বোল্টনকে নিয়োগের ঘোষণা দেন ট্রাম্প৷
ছবি: picture-alliance/Newscom
অ্যান্ড্রু ম্যাককেবে (বরখাস্ত)
মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের তদন্ত নিয়ে ট্রাম্পের সাথে বিরোধে জড়ান ম্যাককেবে৷ এমনকি তাঁর নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে টুইটও করেন ট্রাম্প৷ অবসরে যাওয়ার আবেদন জানিয়ে বিচার মন্ত্রণালয়ে তাঁর আপিল খারিজ হওয়ার পরপরই ২০১৮ সালের ১৬ মার্চ ম্যাককেবেকে বরখাস্ত করে হোয়াইট হাউস৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Brandon
স্টিভ ব্যানন (বরখাস্ত)
হোয়াইট হাউসের চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট স্টিভ ব্যাননকে ট্রাম্পের সবচেয়ে কাছের মানুষ বলেই বিবেচনা করা হতো৷ ফলে ২০১৭ সালের ১৮ আগস্ট তাঁকে বরখাস্তের ঘোষণা সবার জন্যই ছিল অবাক ঘটনা৷ ক্ষমতায় এসে ট্রাম্প ডানপন্থি জাতীয়তাবাদী ব্যাননের জন্যেই এই পদটি সৃষ্টি করেছিলেন৷ পরবর্তীতে হোয়াইট হাউজের অন্য পরামর্শক, শীর্ষ কর্মকর্তা ম্যাক মাস্টার এবং জেনারেল কেলি ছাড়াও ট্রাম্প পরিবারের সাথেও দ্বন্দ্বে জড়ান ব্যানন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/B. Anderson
অ্যান্থনি স্কারামুচি (বরখাস্ত)
হোয়াইট হাউসের ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময় দায়িত্ব পালন করা যোগাযোগ পরিচালকের নাম অ্যান্থনি স্কারামুচি৷ ১০ দিনেরও কম দায়িত্ব পালন করে ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই বরখাস্ত হন তিনি৷ এক সাংবাদিককে টেলিফোনে সহকর্মীদের সম্পর্কে অশ্লীল ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি৷ এরপরই তাঁকে বরখাস্ত করা হয়৷
ছবি: Getty Images/M. Wilson
ওয়াল্টার এম. শাওব জুনিয়র (পদত্যাগ)
ট্রাম্পের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে বরাবরই আপত্তি ছিল গভর্নমেন্ট এথিক্স ডিপার্টমেন্টের পরিচালক ওয়াল্টার শাওবের৷ এরই জের ধরে গেল জুলাইতে পদত্যাগ করেন৷ তিনি প্রায়ই ট্রাম্প প্রশাসনকে ‘হাস্যকর পুঁজিবাজার’ বলে ডাকতেন৷
রিন্স প্রাইবাস (পদত্যাগে বাধ্য)
যোগাযোগ বিভাগের পরিচালক অ্যান্টনি স্কারামুচির সঙ্গে প্রকাশ্যে ঝগড়া করে চাকরি হারিয়েছেন হোয়াইট হাউসের সাবেক চিফ অফ স্টাফ রিন্স প্রাইবাস৷ মাত্র ছয় মাসে তাঁর উইকেট পতন হয়৷ প্রাইবাস সেই সব ডানপন্থি কর্মকর্তাদের একজন, যাঁরা স্কারামুচির নিয়োগের বিরোধিতা করেছিলেন৷
ছবি: Reuters/M. Segar
শন স্পাইসার
এবারও সেই স্কারামুচিই বিবাদের কারণ৷ প্রেসিডেন্ট ভবনের সাবেক প্রেস সচিব শন স্পাইসার বিবাদে জড়িয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ও প্রেসের সঙ্গেও৷ পদত্যাগের আগে স্কারামুচির নিয়োগের চরম বিরোধিতা করেছিলেন স্পাইসার৷
ছবি: Reuters/K.Lamarque
মাইকেল ডুবকে (পদত্যাগ)
স্কারামুচির আগে মাইকেল ডুবকে ছিলেন হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ বিভাগের প্রধান৷ গেল মে মাসে তাঁকে সরিয়ে দেয়া হয়, কারণ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার জড়িত থাকার অভিযোগটি ঠিকমতো সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/S. Walsh
জেমস কোমি (বরখাস্ত)
হিলারি ক্লিনটনের ই-মেল কেলেঙ্কারির তদন্ত ‘ঠিকমতো করতে পারেননি’ এই অভিযোগে এফবিআই-এর এই পরিচালককে অব্যাহতি দেন ট্রাম্প৷ নিন্দুকেরা অবশ্য বলেন যে, ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারণার সঙ্গে ‘রাশিয়ার সম্পর্ক’ তদন্তের মুখে পড়ার শঙ্কায় তাঁকে বহিষ্কার করা হয়৷
ছবি: Reuters
মাইকেল ফ্লিন (পদত্যাগে বাধ্য)
গেল ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন পদত্যাগে বাধ্য হন৷ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ট্রাম্প দায়িত্ব নেবার আগেই রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ‘আলাপ’ করা এবং এ বিষয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে ভুল তথ্য দেয়া৷