1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
ব্যবসা-বাণিজ্যবাংলাদেশ

ইউএসএআইডির অর্থায়ন বন্ধে দিশেহারা কর্মী, সুবিধাভোগীরা

মাহমুদ মেনন খান
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

গেল সপ্তাহের মঙ্গলবার সকাল ৯টা নাগাদ মোহাম্মদ নাসিরুজ্জামান যখন রোনাল্ড রেগান ভবনে পৌঁছান। তিনি জানতেন না একটু পরেই তার জন্য কী অপেক্ষা করছে।

ইউএসএআইডিতে মার্কিন সরকারের সহায়তা বন্ধের প্রতিবাদে অ্যামেরিকায় বিক্ষোভ
১৯৬১ সালে যাত্রা শুরু করে ৬৪ বছর ধরে ইউএসএআইডি বিশ্বের দেশে দেশে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে আসছেছবি: Tom Williams/IMAGO

 ওয়াশিংটন ডিসির ১৩০০ পেনসিলভেনিয়া অ্যাভিনিউতে অভিজাত অফিসপাড়ার এই সেন্টারের অ্যানেক্স ভবনে তার অফিস৷

এটি ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট বা ইউএসএআইডির সদর দফতর৷ গত ছয় বছর ধরে সেখানে একটি কিউবিকলসে বসে কাজ করে আসছিলেন জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সিনিয়র কনসালট্যান্ট নাসিরুজ্জামান৷

বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টানা ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা তার এই আন্তর্জাতিক সেবামূলক সংস্থাটির সাথে৷ ইউএসএআইডি তাকে দিয়েছে অনেক কিছু৷ আর তিনিও মনেপ্রাণে ভালোবেসে কাজ করে আসছিলেন সংস্থাটির সাথে৷ কিন্তু সেদিন সকালে কেড়ে নেওয়া হলো সব কিছু৷ তার ভাষায় ‘এ যেন সুনামির মতো এসে সব ভাসিয়ে নিয়ে গেলো৷'

প্রথম ধাক্কাটি পান যখন প্রবেশ পথে স্ক্যানার তার আইডিকার্ডটি রিজেক্ট করে৷ কারিগরি ত্রুটি ভেবে যখন অন্য কারো সাহায্য নেওয়ার অপেক্ষা করছিলেন ততক্ষণে আরও অনেকেই অফিসে পৌঁছে যান৷ এবং তারাও দেখতে পান তাদের কার্ডও কাজ করছে না৷ একপাশে সরে গিয়ে অফিসের যে কম্পিউটারটি ব্যবহার করে আসছিলেন নাসিরুজ্জামান সেটি খোলার চেষ্টা করে দেখলেন সেটিও কাজ করছে না৷ একজন জানালেন, ইমেইলে তিনি একটি টারমিনেশন লেটার পেয়েছেন৷ ততক্ষণে কারোরই বুঝার বাকি থাকলো না যে মূলত কারোরই আর চাকরি নেই৷ নাসিরুজ্জামানের টারমিনেশন লেটারটি তার ব্যক্তিগত ইমেইলে আসে সেদিন দুপুর নাগাদ৷

‘‘কেউ কেউ কান্না জুড়ে দিলো, সকলের মুখেই হতাশা আর সকলেই মর্মাহত, এই ছিলো সেই সকালের চিত্র,'' বললেন নাসিরুজ্জামান৷

‘‘আমি না হয় অবসরে যাওয়ার কাছাকাছি, কিন্তু যারা চাকরি হারালো তাদের কারো কারো ক্যারিয়ারের শুরু, কেউ মধ্য ক্যারিয়ারে, কেউ হয়তো আরও কিছু বছর কাজ করতে পারতেন৷ কিন্তু সকলেই সকাল বেলা এসে জানলেন তাদের চাকরি নেই৷ আগের রাতেও কেউ কিছু জানতে পারেন নি৷ একজনতো ছিলেন, যিনি মাত্র একদিন আগে বিল গেটস ফাউন্ডেশন থেকে চাকরি ছেড়ে ইউএসএআইডিতে যোগ দিয়েছিলেন৷ সোমবার যোগ দিয়ে মঙ্গলবারই তিনি জানলেন তার চাকরি নেই৷ আর কেবল চাকরি নেই তা-ই নয়, এরা কেউ পাবেন না সামান্য বেনিফিটটুকুও, হেলথ ইন্সুরেন্স বন্ধ৷ কারণ তাদের প্রায় সকলেরই ‘কন্ট্রাকচুয়াল জব'৷ এ যেনো সকলের জীবনে এক সুনামির আঘাত৷''

সুনামি যে কেবল সদরদফতরে আঘাত হেনেছে তা নয়৷ সকলেরই জানা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে এরই মধ্যে বিশ্বের ৯০টি দেশে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইউএসএআইডির সকল কার্যক্রম৷

টেলিফোনে কথা হচ্ছিলো বাংলাদেশের সিসিমপুরের একজন ঊর্ধ্বতনের সাথে৷ মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সিসিম স্ট্রিটের একটি স্থানীয় কার্যক্রম হলেও দেশে শিশুদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় সিসিমপুরের প্রায় সকল প্রকল্পই পরিচালিত হয় দাতা সংস্থা ইউএসএআইডির অর্থায়নে৷ নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি জানালেন, তাদের আপাতত বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ আর প্রকল্পগুলো আর কখনোই চালু হবে কি না সে বিষয়ে তারা অনিশ্চিত৷

এ ব্যাপারটিতে নাসিরুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফের চালু হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই তিনি দেখতে পান না৷ আরও জানালেন, মূলত বিশ্বের ৯০টি দেশের সকল প্রকল্পের সকল অর্থায়নই ফ্রিজড করা হয়েছে৷ কোনো প্রকল্পের অর্থ যদি যে কোনো দেশে পাঠানো হয়ে গিয়েও থাকে, সে অর্থ তারা আর খরচ করতে পারবে না৷ নির্বাহী আদেশের পর আর যাতে একটি পেনিও খরচ না হয়, সেটিই নিশ্চিত করা হয়েছে৷ এমনকি সদর দফতরেও এরই মধ্যে বরাদ্দ ও সরবরাহকৃত সকল অর্থই ফেরত দিতে বলা হয়েছে৷  

আরও জানালেন, আগের সপ্তাহে তাদের কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতনদের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিলো যে ২০২৬ সাল পর্যন্ত প্রয়োজনীয় অর্থবরাদ্দ তাদের হাতে রয়েছে৷ অতএব সেই সময় পর্যন্ত তাদের কারো কোনো সমস্যা হবে না৷ কিন্তু মঙ্গলবার সকালে তারা সকলেই দেখলেন সে আশ্বাস মিথ্যা প্রমাণিত৷

সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউএসএআইডির কর্মীদের ঢালাওভাবে ‘চরমপন্থি পাগল' (রেডিক্যাল লুনাটিকস) বলে উল্লেখ করেছেন৷ ‘‘সংস্থাটি পরিচালিত হয়ে আসছে একগাদা চরমপন্থি পাগলের হাতে, এবং আমরা তাদের থেকে বেরিয়ে আসছি,'' বলেন ট্রাম্প৷

বিষয়টি যেনো নিতেই পারছেন না মোহাম্মদ নাসিরুজ্জামান৷ বললেন, একেতো চাকরি হারা৷ তায় এমন সব কটু কথা বলা হচ্ছে আমাদের বিষয়ে যে মেনে নেওয়ার মতো নয়৷ বিশ্বের ৫০টি দেশে ঘুরেছেন এই ইউএসএআইডি কর্মী৷ তিনি বলেন, ‘‘কোনো দেশে এমনি ঘুরতে যাওয়া আর ইউএসএআইডির কাজ নিয়ে যাওয়ার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে৷ আমরা যেতাম সেই সব স্থানেই যেখানে সুবিধাবঞ্চিত অসহায়দের বসবাস৷ ফলে এসব বিদেশ যাত্রা এবং প্রকল্প এলাকাগুলো পরিদর্শন অতটা সহজ কাজ ছিলো না৷ মানুষের অসহায়ত্ব দেখে এসে তবেই আমরা তাদের জন্য সহায়তার পরিকল্পনা করতাম৷ সুতরাং আমাদের ‘পাগল' বলাটা মোটেই সমীচিন নয়৷''

ট্রাম্প প্রশাসন শুরু থেকেই বলে আসছে যুক্তরাষ্ট্র বহির্বিশ্বে তার সহায়তা কার্যক্রমে একটা শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে চায় এবং একই সঙ্গে এই খাতে সরকারের ব্যয়ও কমিয়ে আনবে৷

কিন্তু এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে কতটুকু কী প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে সেটাই এখন হয়ে উঠেছে মুখ্য আলোচনার বিষয়৷ বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা খাতে এর প্রভাব খুব মারাত্মক আকারেই পড়বে বলে মত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷  

১৯৬১ সালে যাত্রা শুরু করে ৬৪ বছর ধরে ইউএসএআইডি বিশ্বের দেশে দেশে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে আসছে৷ তার কর্মসূচিগুলোর মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা ছাড়াও শিক্ষা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দুর্যোগ সহায়তা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নও রয়েছে৷ বিশেষ করে এইচআইভি/এইডস, ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা, ইবোলা ভাইরাসের মতো মরণঘাতি রোগ প্রতিরোধে একটা বড় ভূমিকা পালন করে আসছে৷ এছাড়াও রয়েছে শিশুস্বাস্থ্য, মাতৃসেবা, পুষ্টি ও নিরাপদ পানি সরবরাহে বড় বড় কর্মসূচি৷ যার সবগুলোই এখন নতুন করে সংকটে পড়েছে৷

আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধ কর্মসূচিতে সরাসরি কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে নাসিরুজ্জামানের৷ তিনি বলেন, এই রোগ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে৷ কিন্তু তার জন্য প্রতিটি রোগীর নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হয়৷ যা সরবরাহই করা হয় ইউএসএআইডি কর্মসূচির মধ্য দিয়ে৷ ওই রোগীদের এখন কী হবে? এতে এইচআইভি/এইডস আবারও মারাত্মক রূপ নিতে পারে বলেই ধারণা এই বিশেষজ্ঞের৷

জাম্বিয়া, নাইজেরিয়া, হাইতি, মোজাম্বিকের মতো দেশগুলোতে এর চরম প্রভাব পড়তে পারে বলেও জানান তিনি৷ এরই মধ্যে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ সংক্রান্ত যেসব প্রতিবেদন বেরিয়েছে তাতেও সংকটটি একইভাবে দেখানো হচ্ছে৷ বিশেষ করে শিশুদের এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে এমনটা মনে করছেন অনেকেই৷

‘‘একটি শিশু জন্ম নেওয়ার পর তার ডায়াগনস্টিক টেস্ট করা হয়৷ আর তাতে যদি এইচআইভি পজিটিভ ধরা পড়ে তাকে রেট্রোভাইরালস দিয়ে চিকিৎসা করা হয়৷ কিন্তু আপনি কিভাবেই সে চিকিৎসা করবেন যদি রেট্রোভাইরালসই না থাকে৷ কিংবা কিভাবেই জানবেন যদি ওই টেস্ট করার কিটসটাই না পাওয়া যায়,'' একটি সংবাদে এভাবেই একজন ইউএসএআইডি কর্মীকে উদ্ধৃত করা হয়েছে৷

অপর এক প্রতিবেদনে এইচআইভি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ হেলথ গ্যাপ'র নির্বাহী পরিচালক এশিয়া রাসেলকে উদ্ধৃত করা হয়েছে৷ তিনি বলেছেন, ‘‘ট্রাম্প প্রশাসন কোটি কোটি মানুষের জীবন নিয়ে খেলায় মেতেছে৷''

ম্যালেরিয়া প্রতিরোধেও ইউএসএআইডির বড় ভূমিকা রয়েছে দশকের পর দশক ধরে৷ নাইজেরিয়া, তানজেনিয়া, উগান্ডার মতো দেশগুলোয় এই রোগের হার প্রকট ৷ সহায়তা কর্মসূচি বন্ধ হওয়ায় যা আবার মহামারি হয়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে৷

বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে কেনিয়া, কঙ্গো, ইথিওপিয়া, জর্ডান, ভারতের মতো আরো কয়েক ডজন দেশে কর্মসূচি রয়েছে ইউএসএআইডির৷ একটি হিসাব দেখাচ্ছে বিশ্বের প্রায় ৪০০ কোটি মানুষই বিশুদ্ধ নিরাপদ পানি থেকে বঞ্চিত৷ এ সংকট মোকাবেলায় ইউএসএআইডি একটা বড় ভূমিকা পালন করে আসছে৷ সেই নিরাপদ পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে নতুন সিদ্ধান্তের কারণে৷ যা অনেক মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে, মানুষ হয়ে পড়বে বাস্তুচুত৷

কেনিয়ায় নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে মোহাম্মদ নাসিরুজ্জামান বলেন, ‘‘আমি এমন একটি গ্রাম দেখে এসেছি যেখানে সামান্য খাবার পানি সংগ্রহে ৬ কিলোমিটার পথ হেঁটে যেতে হয় নারীদের৷ আবার পানি নিয়ে ৬ কিলোমিটার হেঁটে ফিরতে হয়৷ একেতো এসব অঞ্চলে নলকূপ বসানো কষ্টসাধ্য৷ আর তা ব্যয়বহুলও৷ যা ইউএসএআইডি করে আসছে৷ এখন ফান্ডিং বন্ধ হলে এসব অঞ্চলের লাখো মানুষ নিরাপদ পানির অভাবে পড়বে৷ যা তাদের জীবনে ডেকে আনবে বড় দুর্ভোগ৷''

স্বাস্থ্য সহায়তা ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যে মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে আসছে ইউএসএআইডি, সেটা হুমকির মুখে৷ বিশেষ করে শিশুশিক্ষা শিশুদের জীবন গড়ার বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে এই সংস্থার অর্থায়নে৷

বাংলাদেশে সিসিমপুরের মতো অত্যন্ত জনপ্রিয় কর্মসূচি আজ বন্ধের পথে৷ যা কেবল কয়েকজন কর্মীর চাকরিচ্যুতির বিষয় নয়, সার্বিকভাবে শিশুর বিকাশেও প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন সেখানকার কর্মকর্তারা৷

ইউক্রেনের ১৪টি অঞ্চলের স্কুল ও হাসপাতালগুলো ব্যাকআপ হিটিং সিস্টেম চালু ছিলো যা আর থাকবে না৷ অব্যহত রুশ হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই ব্যবস্থা অতীব জরুরি সত্ত্বেও তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে৷

কলম্বিয়ায় ইউএসএআইডির অর্থায়নে মাদকবিরোধী কর্মসূচি, খাদ্যসহায়তা কর্মসূচি আর বনাঞ্চল উজার বিরোধী কর্মসূচি চলতো৷ কলোম্বিয়া ও ভেনেজুয়েলা সীমান্তে মাদক পাচারের ভয়াবহতা আবার বেড়ে যাবে এই সিদ্ধান্তে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা৷

আফগানিস্তানে ১ লাখ ৪৫ হাজার বিপন্ন নারীর জন্য নিরাপদ আবাসন, মানসিক স্বাস্থ্য কর্মসূচি, স্বাস্থ্যসেবা ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে৷ আর সে সিদ্ধান্ত এমনই সময় এলো যখন দেশটিতে তালিবান শাসক নারীদের ওপর আরও অত্যাচারি আরও আগ্রাসী ভূমিকায় অবতীর্ণ৷

ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব ভলান্টারি এজেন্সিজ এর একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে শিক্ষা কর্মসূচি, স্বাস্থ্যসেবা ও নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এই সিদ্ধান্তে৷

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম গেব্রেউস বলেছেন, এইসব দেশে ইউএসএআইডির কার্যক্রম বন্ধে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনবে৷

মেডিসিনস স্যান ফ্রন্টিয়ার্স (এমএসএফ), গ্লোবাল ফান্ড ফর ফাইট এইডস, টিউবারকিউলোসিস অ্যান্ড ম্যালেরিয়ার পক্ষ থেকেও একই ধরনের হুসিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে৷ তারা বলেছে, বিশ্বের যেসব অঞ্চলে সংঘাত, দারিদ্র্য ও দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিরাজমান সেখানে এর প্রভাব হবে মারাত্মক৷

আর নাসিরুজ্জামানের প্রশ্ন, খোদ যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরেও এর প্রভাব কি কম হবে? এই যে মানুষগুলো হঠাৎ চাকরিচ্যুত হলেন, তাদের এখন কি হবে?

বললেন এক নারী সহকর্মীর কথা৷ একমাসে আগে তিনি মা হয়েছেন৷ মাতৃত্বকালীন ছুটির মাঝেই জানতে পারলেন তার চাকরি নেই৷ সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিমাও বাতিল৷ ‘‘আমার বাচ্চাটির এখন কী হবে?'' সেই আকুতি করে লেখা টেক্সট মেসেজ এসেছে আমার কাছে, বলেন নাসিরুজ্জামান৷

‘‘আর অন্যের কথা কি বলবো, আমার নিজেরই তো এখন স্বাস্থ্য বিমা নেই৷ সত্তরোর্ধ্ব বয়সে আজ অসুস্থ হয়ে পড়লে আমার চিকিৎসাইতো হয়ে পড়বে অনিশ্চিত,'' বলেন ইউএসএআইডির তিন দশকের এই নিবেদিতপ্রাণ কর্মী৷

মাহমুদ মেনন খান সহকারী অধ্যাপক, ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি
স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ