পাইলট আবিদ সুলতান ‘মারাত্মক মানসিক চাপ ও উদ্বেগে' ছিলেন৷ বিমান অবতরণের বিষয়ে বেশ কিছু ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি৷ এসব কারণেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয় বলে নেপাল সরকারের এক তদন্ত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
নেপালের ইংরেজি দি কাঠমান্ডু পোস্ট তদন্ত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানায়, পাইলট আবিদ বিমানটি আবতরণের আগে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে ভুল তথ্যও দিয়েছিলেন৷ ঢাকা থেকে আসা প্রায় এক ঘণ্টার এ ফ্লাইটটিতে তিনি ধূমপান করছিলেন বলেও দাবি করা হয়৷
ঢাকা থেকে ৬৭ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু নিয়ে রওনা হয়ে গত ১২ মার্চ দুপুরে কাঠমান্ডুতে অবতরণের সময় দুর্ঘটনায় পড়ে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস-২১১৷ আরোহীদের মধ্যে ৫১ জনের মৃত্যু হয়, যাঁদের ২৭ জনই ছিলেন বাংলাদেশি৷ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে নেপাল সরকার৷
ভুল তথ্য প্রদান
তদন্ত প্রতিবেদনেটির বরাত দিয়ে কাঠমান্ডু পোস্ট জানায়, বিমানটি চলাকালে অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন পাইলট আবিদ, যা কর্তৃপক্ষের আগেই নজরে আসা উচিত ছিল৷ বিমান আবতরণের ছয় মিনিট আগে পাইলট আবিদ ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে বিমানটির ‘ল্যান্ডিং গিয়ার' নামানো ও তা ‘লক করা' আছে বলে নিশ্চিত করেছিলেন৷ কিন্তু সহকারি পাইলট পৃথুলা রশিদ যখন বিমানটির চূড়ান্ত অবতরণের আগে যান্ত্রিক বিষয়াদিগুলো মিলিয়ে দেখছিলেন, তখন দেখতে পান ল্যান্ডিং গিয়ার নামানো নয়৷ তার মিনিটখানেক পরেই ড্যাশ-৮ কিউ৪০০ মডেলের উড়োজাহাজটি রানওয়ের একপাশে বিধ্বস্ত হয়৷
ককপিটে ধূমপান
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানটি চালানোর সময় ধূমপান করছিলেন পাইলট আবিদ৷ প্রায় ৫,৫০০ ঘন্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা থাকা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সাবেক পাইলট আবিদ সুলতান তাঁর ধূমপানের অভ্যাসের বিষয়টি আগে কখনো প্রকাশ করেননি বলেও তদন্ত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়৷
বাংলাদেশ এবং নেপালে শোকের ছায়া
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশ এবং নেপাল দুই দেশেই শোকের আঁধার৷ খবরের শিরোনামে, সর্বস্তরের আলোচনায় শুধু ত্রিভুবন বিমানবন্দরে কিছু জীবনের করুণ পরিণতি নিয়ে আলোচনা৷
ছবি: Reuters/N. Chitrakar
কেন এই দুর্ঘটনা?
বিষয়টি এখনো রহস্যাবৃত৷ ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের আগে পাইলটের সঙ্গে বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণকক্ষের কথিত কথোপকথনের একটি অডিও ইউটিউবে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে অনেকেই মনে করছেন, কোনদিক দিয়ে রানওয়েতে নামা নিরাপদ এ নিয়ে পাইলটের মনে বিভ্রান্তি দেখা দেয়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে৷
ছবি: Reuters/N. Chitrakar
নেপালে তদন্ত
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য ইতিমধ্যে নেপালে তদন্ত শুরু হয়েছে৷ বিমানের ব্ল্যাকবক্স উদ্ধারের পরই্ তদন্ত শুরুর এ উদ্যোগ নেয়া হলো৷ তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য ইউএস-বাংলার সিইও ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে কাঠমান্ডু পৌঁছেছেন৷
ছবি: Reuters/N. Chitrakar
বিমানবন্দরের ছয় কর্মকর্তা বদলি
সোমবার দুর্ঘটনার সময় কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে যে ছয় কর্মকর্তা ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেককেই বদলি করা হয়েছে৷ বিমান কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছে, শুধু ভয়াবহ দুর্ঘটনা প্রত্যক্ষ করার ধাক্কা সামলানোর সুযোগ দিতেই বদলি করা হয়েছে তাঁদের৷
ছবি: Reuters/N. Chitrakar
শোক
বাংলাদেশ এবং নেপাল নামের দু’টি দেশের মাঝের আটশতাধিক কিলোমিটারের দূরত্ব যেন ঘুচিয়ে দিয়েছে এই দুর্ঘটনা৷ দু’দেশেই এখন শোকের ছায়া৷ স্বজন হারানোর বেদনা আর আহতদের চিন্তায় অশ্রু ঝরছে দু’দেশেই৷ ওপরের ছবিতে স্বজনের জন্য নেপালি এক তরুণীর কান্না৷
ছবি: Reuters/N. Chitrakar
প্রিয়জন হারানোর বেদনা
দুর্ঘটনার পর কাঠমান্ডুর হাসপাতালগুলোতে নিয়ে আসা আহতদের মাঝে চেনামুখ খুঁজতে ছুটে যান অনেকে৷ অনেকেই ফিরে যান স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে৷
ছবি: Reuters/E. Joshi
আহতদের চিকিৎসা
আহত এবং মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি এখনো কাটেনি৷ সোমবার প্রায় সংবাদমাধ্যমই ৫০ জনের মৃত্যুর খবর প্রচার করে৷ তবে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি অসিত বরণ সরকার জানিয়েছেন, ফ্লাইট বিএস২১১ এর ৭১ আরোহীর মধ্যে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, বাকি ২২ জন এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷
ছবি: Reuters/N. Chitrakar
২৬ জন বাংলাদেশি নিহত
বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি৷ চারজন ক্রু এবং ২২ যাত্রী৷ এছাড়া আহত ১০ বাংলাদেশিকে কাঠমান্ডুর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে৷
ছবি: Reuters/N. Chitrakar
কাঠমান্ডুর আকাশ
দূরে বিমান পুড়ছে আর ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে কাঠমান্ডুর আকাশ৷
ছবি: Reuters/Nitin Keyal
মৃতদেহ ব্যবস্থাপনা
কাঠমান্ডুতে খোলা হয়েছে ‘ডেডবডি ম্যানেজমেন্ট কো-অর্ডনিনেশন ডেস্ক’৷ এই ডেস্কে কর্মরতদের দায়িত্ব দুর্ঘটনায় নিহতদের লাশ সংরক্ষণ এবং তা স্বজনদের হাতে তুলে দেয়া৷
ছবি: Reuters/N. Chitrakar
জীবন থেমে থাকে না
একদিকে শোক, তবে অন্যদিকে ঠিকই জীবন বয়ে চলেছে আপন নিয়মে৷ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ভেঙে চুরমার, পুড়ে যাওয়া বিমানটির পাশ দিয়েই আকাশে উড়ছে নতুন নতুন বিমান৷
ছবি: Reuters/N. Chitrakar
10 ছবি1 | 10
ককপিটের ভয়েস: আবিদের অস্বাভাবিক আচরণ
ককপিটের ভয়েস রেকর্ডারের তথ্য বিশ্লেষণ করে তদন্তকারী দলটি জানায়, পাইলট আবিদ মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন৷ তাঁকে ক্লান্ত মনে হয়েছে এবং তিনি অনিদ্রাজনিত অবসাদগ্রস্ততায় ভুগছিলেন৷ এ সময় তিনি কাঁদছিলেন বলেও জানিয়েছে তদন্তকারী দলটি৷ তদন্ত প্রতিবেদনটির উদ্বৃতি দিয়ে কাঠমান্ডু পোস্ট জানায়, বিমানটি পরিচালনার সময় পাইলট আবিদ উদ্বিগ্ন ছিলেন এবং বিমান পরিচালনার সময় তাঁর মধ্যে প্রয়োজনীয় সচেতনতার অভাব ছিল৷
প্রায় একঘণ্টার এ ভয়েস রেকর্ড বিশ্লেষণ করে তদন্তকারী দলটি জানায়, পাইলট আবিদ তাঁর সহকারী পাইলটের সাথে অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন৷ এক পর্যায়ে তিনি বিমানটির নিরাপদে অবতরণের বিষয়ে কোনো পরোয়া করেন না বলেও জানিয়ে দেন অশ্লীল ভাষায়৷ তবে তিনি কাকে উদ্দেশ্য করে এ ধরনের আচরণ করছিলেন, এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি বলে তদন্তকারী দলটি জানিয়েছে৷ যদিও সে সময় আবিদের সাথে ককপিটে ছিলেন সহকারী পাইলট পৃথুলা রশিদ৷
তদন্ত প্রতিবেদনটি জানায়, এক ঘণ্টার ওই বিমানযাত্রায় পাইলট আবিদ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে কর্মরত তাঁর আরেক নারী সহকর্মীর বিষয়ে বিরক্তি প্রকাশ করছিলেন ও অশ্লীল কথাবার্তা বলছিলেন৷ ভয়েস রেকর্ডারের তথ্য অনুযায়ী, সহকারী পাইলট পৃথুলা এ সময় নীরবে পাইলট আবিদের কথা শুনছিলেন৷ তদন্ত প্রতিবেদনটি বলছে, দুর্ঘটনার আগের দিন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন আবিদ, যদিও এ বিষয়ে তিনি কোনো লিখিত আবেদন করেননি৷
শতাধিকবার ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের অভিজ্ঞতা যাঁর রয়েছে, সেই আবিদ সুলতানের পরিচালনায় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানটি কিভাবে বিধ্বস্ত হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল আগেই৷
বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে যে পাইলটের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের (এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলরুম) যোগাযোগ স্বাভাবিক ছিল না, সে বিষয়টি নেপালি তদন্ত কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনেও উঠে এসেছিল৷
২০১৫ সালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে যোগদান করেন আবিদ৷ তার আগে তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন৷ ১৯৯৩ সালে সেখানে কর্মরত অবস্থায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী কর্তৃপক্ষ মানসিক সমস্যা থাকার কারণে ফ্লাইট পরিচালনা থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেয়৷ পরে ২০০২ সালে ডাক্তারি পরীক্ষায় তাঁকে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য যোগ্য ষোষণা করা হয়৷ নেপাল সরকারের করা তদন্ত প্রতিবেদনটি আরো জানায়, নিয়োগ দেয়ার আগে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ আবিদের ডাক্তারি পরীক্ষার রেকর্ডগুলো বিবেচনায় নেয়নি৷ এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এর জেনারেল ম্যানেজার কামরুল ইসলাম কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি বলেও জানিয়েছে কাঠমান্ডু পোস্ট৷
তবে তদন্ত প্রতিবেদনটি বলছে, ২০০২ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ডাক্তারি পরীক্ষায় পাইলট আবিদের মানসিক রোগের কোনো লক্ষণ ধরা পড়েনি৷
বাংলাদেশের বিমানের ভয়াবহ দুর্ঘটনা
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত হয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান৷ ৭১ জন আরোহী ছিল বিমানটিতে৷ তার মধ্যে অন্তত ৫০ জান মারা গেছে৷
ছবি: picture-alliance/Zuma Press/Xinhua
যারা ছিলেন বিমানে
ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস ২১১ বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ৫২ মিনিটে ঢাকার শাহজালাল থেকে রওনা হয়৷চার জন কেভিন ক্রু-সহ মোট ৭১ জন আরোহী ছিল ইউএস-বাংলার বোম্বার্ডিয়ার কিউ৪০০ বিমানটিতে৷ ৬৭ জন যাত্রীর মধ্যে ৩৩ জন ছিলেন নেপালের, ৩২ জন বাংলাদেশের আর একজন করে চীন এবং মালয়েশিয়ার৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Mathema
রহস্যজনক দুর্ঘটনা
নেপাল সময় বেলা ২টা ১৮ মিনিটে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাভাবিক অবতরণের উদ্যোগই নিয়েছিলেন বৈমানিক৷ কিন্তু অবতরণের অনুমতি পাওয়ার পরই তিনি উত্তর দিকে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন৷ আকাশে দু’বার পাক খেতে দেখা যায় বিমানটিকে৷ তারপর কন্ট্রোলরুমের আপত্তি সত্ত্বেও তড়িঘড়ি অবতরণের উদ্যোগ নেন পাইলট৷ বিমানবন্দরের প্রাচীরে ধাক্কা দিয়ে বিমান নেমে পড়ে মাটিতে আর সঙ্গে সঙ্গেই আগুন জ্বলতে শুরু করে৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Mathema
প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ
মার্কিন নাগরিক অ্যামান্ডা সামার্স কর্মসূত্রে এখন নেপালেই থাকেন৷ সোমবার ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হওয়ার আগে তিনি পরিষ্কার দেখেছেন ইউএস-বাংলার যাত্রীবাহী বিমানটিকে৷ বার্তাসংস্থা এপিকে তিনি বলেছেন, ‘‘বিমানটি এত নীচ দিয়ে উড়ছিল যে, আমার মনে হয়েছিল এক্ষুণি বুঝি পাহাড়ে গিয়ে ধাক্কা খাবে৷ তারপর হঠাৎই প্রথমে একবার এবং তারপর আরেকবার বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই৷’’
ছবি: picture-alliance/Zuma Press/Xinhua
মোট কতজন নিহত?
৭১ জন আরোহীর মধ্যে বিভিন্ন বার্তা সংস্থা ৫০ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে৷ ১২ জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ বাকি ৯ জনের বিষয়ে এখনো কিছুই জানা যায়নি৷ নিহতদের অনেকের দেহই পুড়ে প্রায় ছাই৷ আহতদেরও কারো কারো অবস্থা শঙ্কাজনক৷ মৃতের সংখ্যা বাড়তেই পারে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/B. Sapkota
বাংলাদেশের ভয়াবহতম বিমান দুর্ঘটনা
এ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো বিমানের যে কয়টি দুর্ঘটনা হয়েছে তার মধ্যে এটিই ভয়াবহতম৷ এর আগে ১৯৮৪ সালের ৫ আগস্ট প্রতিকূল আবহাওয়ায় অবতরণের সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফকার এফ২৭-৬০০ বিমান বিমানবন্দরের কাছের জলাভূমিতে বিধ্বস্ত হয়৷ চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বিমানবন্দর থেকে আসা ঘরোয়া ফ্লাইটের বিমানটির ৪৯ জন আরোহীর সবাই মারা যান৷ কাঠমান্ডুর দুর্ঘটনা ১৯৮৪ সালের ভয়াবহতাকে ছাড়িয়ে গেছে৷