1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউক্রেনকে অস্ত্র দেবে না জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র

৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

যুদ্ধ চলছে ইউক্রেনে৷ তবে জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেল মনে করেন, যুদ্ধ কখনোই ইউক্রেন সংকটের সমাধান নয়৷ ইউক্রেন প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানও এক৷ দু'দেশই জানিয়েছে, সংকট নিরসনের জন্য ইউক্রেনকে তারা অস্ত্র সরবরাহ করবে না৷

Merkel zu Gast bei Orban 02.02.2015 Budapest PK
ছবি: Reuters/L. Balogh

সোমবার হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অর্বানের সঙ্গে বৈঠক করেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ বৈঠক শেষে ম্যার্কেল বলেন, ‘‘আমি মনে করি, এই (ইউক্রেন) সংকট সামরিক শক্তি প্রয়োগে সমাধানযোগ্য নয়৷'' পাশাপাশি তিনি এ-ও জানান, ইউক্রেন সরকারের দাবি অনুযায়ী জার্মানি তাদের অস্ত্র সরবরাহ করবে না৷

সোমবার নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইউক্রেন সরকারকে শিগগিরই অস্ত্র সরবরাহ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র৷ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন না দিয়ে রাশিয়া যাতে ইউক্রেন সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখতে উদ্যোগী হতে বাধ্য হয় সেই লক্ষ্যে কঠোর অবরোধ আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেন সরকারের অন্য মিত্ররা৷ এর বাইরে যুদ্ধ জয়ের জন্য ইউক্রেন সরকারকে সরাসরি সামরিক সহায়তা দেয়ার কি এ মুহূর্তে দরকার আছে? যুক্তরাষ্ট্র সরকার এখনো মনে করছে, তার দরকার নেই৷ তাই সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে হোয়াইট হাউসের ডেপুটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার বেন রোডস বলেছেন, ‘‘(যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে) অদূর ভবিষ্যতে ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করার কোনো সম্ভাবনা নেই৷ রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগ করতে আমরা সেরা অস্ত্রটাই প্রয়োগ করছি আর তা হলো (অর্থনৈতিক) অবরোধ৷''

ম্যার্কেল মনে করেন, ইউক্রেন সংকট সামরিক শক্তি প্রয়োগে সমাধানযোগ্য নয়ছবি: Manu Brabo/AFP/Getty Images

এদিকে রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের সুফল প্রাপ্তির কোনো ইঙ্গিত এখনো দেখা যাচ্ছে না৷ ইউক্রেনে যুদ্ধ এখনো চলছে৷ সোমবারও রুশ-পন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনের পাঁচজন সেনাসদস্য নিহত এবং ২৮জন আহত হয়েছেন৷ পূর্ব ইউক্রেনের ডেবাল্টসেভে রেল স্টেশনে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে৷

এই পরিস্থিতির মাঝে ইউক্রেন এবং রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে একটি বৈঠকও হয়েছে শনিবার৷ মিনস্কে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি অবশ্য যথারীতি ব্যর্থ হয়েছে৷ বৈঠক শেষে বরং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নেতা আলেকজান্ডার জাখারচেঙ্কো জানিয়েছেন, লুগানস্ক এবং দোনেৎস্কে আরো সৈন্য বাড়িয়ে তাঁরা নিজেদের শক্তি বাড়াবেন৷

এসিবি/ডিজি (ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ