ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই অর্থ মঞ্জুর করেছে। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার ন্যাটোর বৈঠকে যোগ দিতে ব্রাসেলস পৌঁছাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বিজ্ঞাপন
ইউক্রেনের দিকে আরো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অ্যামেরিকা। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক রাশিয়ার এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, অ্যামেরিকা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ইউক্রেনে পাঠানোর জন্য জাহাজে তোলা হয়েছে। তবে সেই প্যাকেজে কী কী অস্ত্র আছে, তা তিনি জানাতে পারেননি। বস্তুত, কিছুদিন আগেই অ্যামেরিকা জানিয়েছিল, ইউক্রেনকে ৮০০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সাহায্য দেওয়া হবে। এই প্রথম সেই অর্থে কেনা অস্ত্রের প্যাকেজ জাহাজে তোলা হলো।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নও সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউক্রেনকে সাহায্যের পরিমাণ বাড়ানো হবে। আগে ৫০০ মিলিয়ন ইউরোর সামরিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার সিদ্ধান্ত হয়েছে, ১ বিলিয়ন ইউরোর সামরিক সাহায্য করা হবে। ইতিমধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিপুল পরিমাণ প্রতিরক্ষার অস্ত্র ইউক্রেনে পাঠিয়েছে।
পশ্চিমা বিশ্বে রাশিয়ার সাইবার হামলার আতঙ্ক
গোয়েন্দা তথ্যের উল্লেখ করে জো বাইডেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার হামলা করতে পারে রাশিয়া৷ পশ্চিমের আরো কিছু দেশও এ আতঙ্কে রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ কিভাবে সাইবার হামলা চালাতে পারে রাশিয়া? ছবিঘরে দেখুন..
ছবি: Kacper Pempel/REUTERS
পশ্চিমা বিশ্বজুড়ে হ্যাকিং
ক্রেমলিনের স্বার্থে সাইবার যুদ্ধকে কেন্দ্রীয় নীতির অন্তর্ভুক্ত করেছিল রাশিয়া৷ এই নীতির বেশিরভাগটাই ছিল গোপনীয়৷ ক্রেমলিনে কম্পিউটার হ্যাকারদের নিয়ে একটি দল গড়ে তোলার খবর নিশ্চিত করেছিল একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম৷ এরপরই পশ্চিমা বিশ্বে রাশিয়ার সাইবার হামলার ভয়টা আরো বেশি জাঁকিয়ে বসেছে৷
ছবি: Rafael Ben-Ari/Photoshot/picture alliance
ইউক্রেনে ব্ল্যাক এনার্জি হামলা
ইউক্রেনকে অনেক সময় রাশিয়ার হ্যাকারদের ‘খেলাঘর’ বলা হয়৷ নতুন নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করে তা যাচাই করতে ইউক্রেনের উপর হামলা চালিয়ে এসেছেন রুশ হ্যাকাররা৷ বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এবার ইউক্রেনে ‘সাইবার আগ্রাসন’ চালাতে পারে রাশিয়া৷
ছবি: Dominic Lipinski/PA Wire/picture alliance
হামলা পশ্চিমের অন্য দেশেও?
২০১৫ সালে সাইবার হামলায় ব্যাহত হয়েছিল ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থা৷ ওই সাইবার হামলার নামকরণ করা হয় ‘ব্ল্যাকএনার্জি’৷ ওই হামলায় অস্থায়ীভাবে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে সমস্যায় পড়েন পশ্চিম ইউক্রেনের ৮০ হাজার নাগরিক৷ কিয়েভেও হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে এক বছর পরে৷ এবার একইরকম হামলা কি পশ্চিমের অন্য দেশেও চালাতে পারে রাশিয়া? এই প্রশ্নটা ঘুরেফিরে আসছে বারবার৷
ছবি: Jack Guez/AFP/Getty Iamges
নিশ্চিত সাইবার হামলা?
হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন করার উভয় ঘটনার তদন্তের সঙ্গে জড়িত ছিলেন ইউক্রেনের সাইবার নিরাপত্তা কর্মী মারিনা ক্রোৎফিল৷ তিনি জানিয়েছিলেন, ‘‘রাশিয়া চাইলে এমন সক্ষমতার দৃষ্টান্ত তৈরি করতে পারে৷’’ তবে এই ব্যবস্থা অত্যন্ত জটিল৷ দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিসাধন বিল্ট ইন নিরাপত্তার কারণে সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছিলেন মারিনা৷ কিন্তু তবুও শঙ্কাটা রয়ে গিয়েছে৷
ছবি: Torsten Sukrow/SULUPRESS/picture alliance
নটপেটইয়া ম্যালওয়্যার
নটপেটইয়া ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে সাইবার হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছিল অ্যামেরিকা, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ এটি সবচেয়ে ব্যয়বহুল সাইবার হামলা হিসেবে পরিচিত৷ সেই সময় কয়েক হাজার প্রতিষ্ঠানের সিস্টেমে প্রভাব পড়ায় এক হাজার কোটি ডলারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল৷ গোটা পৃথিবী যেখানে মুঠোফোনে বন্দি, সেখানে এ জাতীয় হামলার ভয়ও এড়াতে পারছে না পশ্চিমা বিশ্ব৷
ছবি: Fotolia/bofotolux
হ্যাকারদের নিয়োগ ও পশ্চিমের সতর্কতা
২০১৭ সাল থেকেই কলেজের ছাত্র ও পেশাদার প্রোগ্রামারদের চাকরির প্রস্তাব দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়েছে রাশিয়া৷ সাইবার অপরাধ জগতের সম্ভাব্য প্রতিভার খোঁজেও প্রকাশ্যে তৎপরতা দেখা গিয়েছিল দেশজুড়ে৷ সামরিক ঘাঁটিতে স্থাপন করা সায়েন্স স্কোয়াড্রনস নামের ইউনিটে একাধিক প্রতিভাবানকে নিয়োগ করা হয়েছিল৷ তাই সাইবার অপরাধ থেকে সতর্ক থাকতে বদ্ধপরিকর পশ্চিমা শক্তিগুলি৷
ছবি: Jochen Tack/IMAGO
কলোনিয়ান পাইপলাইনে অ্যামেরিকায় হামলা
২০২১ সালের মে মাসে হ্যাকাররা মার্কিন জ্বালানি তেলের পূর্বাঞ্চলীয় নেটওয়ার্কের গুরুত্বপূর্ণ পাইপলাইন বন্ধ করে দেয়৷ এর ফলে বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি করতে বাধ্য হয়েছিল অ্যামেরিকা৷ হামলাটি চালিয়েছিল ‘ডার্কসাইড’ নামের হ্যাকারদের একটি দল৷ অনুমান, দলটি রাশিয়াকেন্দ্রিক৷ প্রতিষ্ঠানটি কম্পিউটার সিস্টেমে নিয়ন্ত্রণ পেতে মুক্তিপণ হিসেবে হ্যাকারদের ৪৪ লাখ ডলারের বিটকয়েন দিতে বাধ্য হয়৷
ছবি: Kendall Warner/The News/AP/picture alliance
র্যানসমওয়্যার হামলার আশঙ্কা
বিশ্বের বৃহত্তম গো-মাংস প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান জেবিএসে র্যানসমওয়্যার হামলা চালায় হ্যাকারদের দল ‘আরইভিল’৷ সাইবার নিরাপত্তা গবেষকরা এটা ভেবে শঙ্কিত যে ক্রেমলিন হয়ত হ্যাকারদের যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্যগুলোর উপর একসঙ্গে হামলা করার নির্দেশ দেবে যাতে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে বড় আকারের প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়৷
ছবি: Frank Rumpenhorst/dpa/picture alliance
সাইবার হামলায় আর্থিক ক্ষতি
র্যানসমওয়্যারের মাধ্যমে হামলার ফলে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে পশ্চিমা বিশ্বে৷ এর ফলে আর্থিক সংকটের মুখে পড়তে পারে তারা৷ সেই পরিস্থিতির সুযোগ নিতে পারে রাশিয়া৷
ছবি: Panthermedia/imago images
পাল্টা জবাব
সংবাদসংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, ইউক্রেনকে রক্ষা করার জন্য স্বেচ্ছাসেবক হ্যাকারদের একটি বাহিনী সাইবারস্পেসে গড়ে উঠছে৷ প্রায় ২৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবী হ্যাকার যোগ দিয়েছেন ‘তথ্য প্রযুক্তি বাহিনী’-তে৷ রাশিয়াকে পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত তারা, উল্লেখ করা হয়েছে এ কথা৷ রয়েছে টেলিগ্রাম গ্রুপও৷ তবে এ হামলায় কী ধরনের জবাব দেয়া যেতে পারে, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে৷ সাইবার যুদ্ধ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা৷
ছবি: Jakub Porzycki/NurPhoto/imago images
10 ছবি1 | 10
ন্যাটোর বৈঠক
বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে বসবে ন্যাটোর জরুরি বৈঠক। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য ব্রাসেলস পৌঁছে গেছেন। বৃহস্পতিবার ন্যাটোর বৈঠকের পর তিনি জি ৭ এর বৈঠকে যোগ দেবেন। এরপর তার পোল্যান্ড যাওয়ার কথা। সেখানে সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে তার আলোচনা করার কথা পোল্যান্ডের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে।
ন্যাটোর বৈঠকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ। পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সেনা দ্বিগুণ করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। এদিনের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার কথা। শুধু তাই নয়, স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি, বুলগেরিয়া এবং রোমানিয়ায় চারটি নতুন সেনার ট্রুপ পাঠানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘেও একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। ইউক্রেনের তোলা একটি প্রস্তাব নিয়ে সাধারণ পরিষদে আলোচনা হওয়ার কথা। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে রাশিয়াকে 'যুদ্ধ' বন্ধ করতে হবে। জাতিসংঘের প্রধান ইঙ্গিত দিয়েছেন, ভোটাভুটির মাধ্যমে বৃহস্পতিবারই প্রস্তাবটি পাশ করানো হতে পারে।
কিয়েভ রক্ষার জন্য যেভাবে লড়ছে ইউক্রেনের সেনা
কিয়েভ রক্ষার জন্য আপ্রাণ লড়াই করছে ইউক্রেনের সেনা। হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন শহরবাসী। যে কোনো মূল্যে তারা কিয়েভকে রক্ষা করতে চান।
ছবি: Daniel Ceng Shou-Yi/ZUMAPRESS/picture alliance
অতন্দ্র প্রহরা
কিয়েভ রক্ষার জন্য ইউক্রেনের এই সেনা আছেন একেবারে ফ্রন্টলাইনে। রুশ সেনা আক্রমণ করলেই তার মোকাবিলার জন্য তিনি প্রস্তুত।
ছবি: GENYA SAVILOV/AFP
ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হাতে
তেতিয়ানা চোরনোভিল ইউক্রেনের পার্লামেন্টের সাবেক ডেপুটি। তিনি ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে নেমে পড়েছেন শহরের সুরক্ষায়। তিনিও এখন সৈনিক।
ছবি: GENYA SAVILOV/AFP
প্রস্তুত ট্যাঙ্ক
ফ্রন্টলাইনে রয়েছে ইউক্রেনের ট্যাঙ্ক। রাশিয়ার সেনা হামলা করলে তার জবাব দেয়ার জন্য তারাও প্রস্তুত।
ছবি: GENYA SAVILOV/AFP
আরপিজি হাতে
আরপিজি মানে রকেট প্রপেলড গ্রেনেড। কিয়েভের উত্তরে আরপিজি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন এই সেনা।
ছবি: SERGEI SUPINSKY/AFP
ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী অস্ত্র নিয়ে
ইউক্রেনের সেনা যেটা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন, তার নাম নেক্সট জেনারেশন লাইট অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল (এনএলএডাব্লিউ)। এই অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার প্রচুর ক্ষতি করেছে বলে দাবি ইউক্রেনের। কিয়েভের উত্তরের ছবি।
ছবি: SERGEI SUPINSKY/AFP
ধ্বংসস্তূপের সামনে
রাশিয়ার ফেলা বোমাতে কিয়েভের এই এলাকায় অনেক বাড়ি গুঁড়িয়ে গেছে। তার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন এই সেনা। কিয়েভ রক্ষার শপথ নিয়ে।
ছবি: Daniel Ceng Shou-Yi/ZUMAPRESS/picture alliance
শোকের সময়
রাশিয়ার গোলার আঘাতে মারা গেছেন ২৬ বছর বয়সি ইউক্রেনের সেনা আলেকজান্ডার শাসা। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন ইউক্রেনের সেনা।
ছবি: Emin Sansar/AA/picture alliance
প্রহরার ফাঁকে
১৯ বছর বয়সেই দেশকে রক্ষা করতে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন ইভান। প্রহরার ফাঁকে বন্ধু বগডানার সঙ্গে হাসি-মজায় মেতেছেন তিনি।
ছবি: Vadim Ghirda/AP Photo/picture alliance
8 ছবি1 | 8
এর আগে ইউক্রেন নিয়ে একাধিক প্রস্তাব পেশ করেছে জাতিসংঘ। শেষ ভোটাভুটিতে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট পড়েছিল ১৪১টি। বিপক্ষে ভোট পড়েছিল পাঁচটি, যার মধ্যে রাশিয়াও ছিল। ভোট দেয়নি ভারত বাংলাদেশ-সহ ৩৫টি দেশ। মনে করা হচ্ছে, এদিনের প্রস্তাবটিও বিপুল ভোটে পাশ হয়ে যাবে। কিন্তু জাতিসংঘ প্রস্তাব পাশ করলেই রাশিয়া লড়াই বন্ধ করবে, এমন মনে করার কারণ নেই।
রাশিয়ার ক্ষতি
ন্যাটোর দাবি, এখনো পর্যন্ত ইউক্রেনে সাত থেকে ১৫ হাজার রাশিয়ার সৈন্যের মৃত্যু হয়েছে। মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা লড়াইয়ের মানসিকতা ক্রমশ হারিয়ে ফেলছে। তাদের বক্তব্য, কিয়েভে রাশিয়ার সেনাকে ইউক্রেনের যোদ্ধারা ঘিরে ফেলেছে। তবে এই তথ্য ঠিক কি না, তা যাচাই করা যায়নি। অন্যদিকে মারিউপলে রাশিয়ার আক্রমণ জারি আছে। লাগাতার সেখানে বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে। মারিউপল থেকে পালিয়ে আসা এক ব্যক্তি বিবিসিকে জানিয়েছেন, শহরে আর প্রায় কিছুই অবশিষ্ট নেই। কিন্তু বন্দরের বিশেষ ক্ষতি হয়নি। সাম্প্রতিক উপগ্রহ চিত্রেও দেখা গেছে, মারিউপলের বন্দর অক্ষত আছে।
রাশিয়ার সেনা ক্রাইমিয়া হয়ে মারিউপলের মধ্য দিয়ে পূর্ব ইউক্রেন দখল করতে চাইছিল বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। কিন্তু মারিউপলে তাদের প্রথম প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়। মারিউপল ধ্বংস হয়ে গেলেও এখনো সেখানে ক্রমাগত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনা এবং সাধারণ মানুষ।
সন্তানদের নিয়ে ইউক্রেনের শরণার্থী মায়েদের উৎকণ্ঠা
02:20
চীনকে হুমকি
রাশিয়ার উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা থাকার সুযোগ চীন নিতে পারে বলে মার্কিন বিশেষজ্ঞদের ধারণা। রাশিয়ার সঙ্গে তারা ব্যাক চ্যানেলে ব্যবসার পরিকল্পনা করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবার এই বিষয়ে চীনকে হুমকি দিয়েছে অ্যামেরিকা। হোয়াইট হাউসে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেছেন, চীন যদি সুয়োগ ব্যবহারের চেষ্টা করে, তাহলে তার জন্য বড়রকমের দাম দিতে হবে তাদের। অ্যামেরিকা এর আগে অভিযোগ করেছিল, বাইরে নিরপেক্ষতা দেখালেও ভিতরে ভিতরে রাশিয়াকে সাহায্য করছে চীন। এমনকী তাদের অস্ত্রও দেওয়া হচ্ছে। যদিও চীন এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছিল।
পরমাণু সতর্কতা
রাশিয়ার স্পেস এজেন্সির রসকসমসের প্রধান বলেছেন, রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্রের যে ভান্ডার আছে, তার সাহায্যে যে কোনো শত্রুকে মুহূর্তে খতম করে দেওয়া সম্ভব। টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ''যে কোনো দেশ বা দল যদি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আগ্রাসন দেখায়, তা হলে কয়েক মিনিটে তাকে ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা রাশিয়ার আছে। পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে তারা হামলা চালাতে পারে।''
বস্তুত, মার্কিন গোয়েন্দারা আগেই জানিয়েছিলেন, যে কোনো সময় রাশিয়া পরমাণু হামলার কথাও ভাবতে পারে। রাশিয়া তা করলে অ্যামেরিকা কীভাবে তার উত্তর দেবে, তা নিয়ে গোপনে অ্যামেরিকা কুচকাওয়াজ শুরু করে দিয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেনের আশপাশে আরো কোনো দেশেও আক্রমণ চালাতে পারে বলে মনে করছেন মার্কিন গোয়েন্দারা।