1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউক্রেনকে নিয়ে বৈঠক!

১৮ এপ্রিল ২০১৪

ইউক্রেন রাশিয়াকে নরম করার আশা করছে৷ ওয়াশিংটন মস্কোকে আরো সাজা দেবার প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ চার ঘণ্টা বৈঠকের পর আবার আলাপ-আলোচানা চলেছে৷ ওদিকে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দু’মুখো নীতির অভিযোগ করেছে৷

Ukraine Krise Außenminister Gespräch 17.04.2014 Genf
ছবি: Reuters

জেনেভায় কথাবার্তা চলেছে, তারই মধ্যে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের একটি টুইট পুনঃপ্রচার করে বসে আছে৷ পুটিন সেই টুইটে ওয়াশিংটনের দু'মুখো নীতির সমালোচনা করেছেন৷ রাশিয়ার প্রতি ওয়াশিংটনের ‘গাজর অথবা লাঠি' নীতির রুশ উত্তর হলো: পশ্চিমি বিশ্বকে যত পারো উত্যক্ত করো, কিন্তু দেখো, শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মাত্রা যেন না বাড়ে!

এই কূটনীতির খেলায় নানা পক্ষের নানা গোপন আশা, নানা গোপন বাসনা৷ ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি দেশচিৎসিয়া বলেছেন, তিনি এখনও কূটনীতির মাধ্যমে পরিস্থিতির উপশমের সম্ভাবনা দেখেন৷ ওদিকে ওবামা প্রশাসন গোড়া থেকেই চার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক থেকে বেশি প্রত্যাশা না করার পরামর্শ দিয়ে আসছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের মনোভাবের দৃষ্টান্ত হিসেবে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদের মন্তব্য উদ্ধৃত করা যেতে পারে৷ ওলঁদ বলেছেন, ‘‘আমরা শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মাত্রা বাড়াতে পারি, কিন্তু সেটা কোনো সমাধান নয়, কেননা তা আমাদের কাম্য নয়৷ আমরা যা চাই, তা হলো পরিস্থিতির প্রশমন৷''

আসলে এই আলাপ-আলোচনাকে চারতরফা বলার যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তোলা যেতে পারে৷ যেমন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি প্রথমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশনীতি বিষয়ক প্রধান ক্যাথেরিন অ্যাশটনের সঙ্গে কথা বলেন৷ তারপরে তিনি দেশচিৎসিয়া এবং রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে এককভাবে কথা বলেন৷ সবশেষে চার পররাষ্ট্রমন্ত্রী একত্রে বৈঠকে বসেন৷

অর্থাৎ এখানে চারপক্ষের নিজস্ব স্বার্থই নয়, পারস্পরিক ইকোয়েশন বা ফর্মুলাও কাজ করেছে৷ ইউক্রেনের মূল চিন্তা, পূর্বাঞ্চলের বিদ্রোহকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়৷ মার্কিন তরফ যেন মস্কোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাকে মোটামুটি অবধারিত বলেই ধরে নিয়েছে – সেই সঙ্গে রয়েছে ইউক্রেনের প্রতি সামরিক সাহায্য বাড়ানোর পরিকল্পনা, যদিও তার ফলে মস্কোর আরো তীব্র প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷

রুশ তরফে পুটিন যে শুধু পূর্ব ইউক্রেনে প্ররোচনা দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন, তা-ই নয়, তিনি কিয়েভ সরকারের বিদ্রোহ দমন করার প্রচেষ্টাকে ‘‘অপরাধ'' বলে অভিহিত করেছেন৷ কাজেই জেনেভায় বাস্তবিক শান্তির জন্য চেষ্টিত বলতে থাকছে ইউক্রেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ ইউক্রেনের প্রচেষ্টা হলো, রাশিয়াকে শান্ত করা, এমনকি পূর্ব ইউরোপের রুশভাষীদের কি করে ঠাণ্ডা রাখতে হবে, সে বিষয়েও পরামর্শ চেয়ে!

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাস্তবিক পরিস্থিতির উপশম চায়, কেননা রাশিয়া থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস ও খনিজ তেল ইইউ-এর পক্ষে অতীব গুরুত্বপূর্ণ৷ অপরদিকে রাশিয়া ও ইইউ, উভয়েই অপরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সহযোগী৷

এসি/ডিজি (এপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ