1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউক্রেনকে সাবধান!

ব্যার্ন্ড ইওহান/এসি২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

জার্মানি ও ফ্রান্স মিলে একযোগে কিয়েভ সরকারের কাছ থেকে সংস্কার দাবি করেছে৷ নয়তো শুধু ইউরোপের সাহায্যই নয়, ইউক্রেনকে আরো অনেক কিছু হারাতে হবে, বলে মনে করেন ব্যার্ন্ড ইওহান৷

Ukraine Steinmeier, Ayrault und Klimkin
ছবি: Reuters/G. Garanich

জার্মানি ও ফ্রান্স মিলে একযোগে কিয়েভ সরকারের কাছ থেকে সংস্কার দাবি করেছে৷ নয়তো শুধু ইউরোপের সাহায্যই নয়, ইউক্রেনকে আরো অনেক কিছু হারাতে হবে, বলে মনে করেন ব্যার্ন্ড ইওহান৷

সাধারণত কূটনীতিকরা কোনো দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ্যভাবে ব্যক্ত করেন না৷ জার্মানি ও ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা কিন্তু ইউক্রেন সম্পর্কে তাঁদের দুশ্চিন্তা স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছেন৷ ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার ও তাঁর ফরাসি সতীর্থ জঁ-মার্ক অ্যায়রো ইউক্রেনের প্রতি সংস্কার প্রক্রিয়ায় প্রত্যাবর্তনের জরুরি আহ্বান জানিয়েছেন৷

সংস্কার প্রক্রিয়া ব্যর্থ হলে কি ঘটতে পারে, দুই রাজনীতিক কিয়েভের একটি সংবাদ সম্মেলনে সে ব্যাপারে সাবধান করে দেন৷ ইউক্রেনের রাজনৈতিক হর্তাকর্তারা যেভাবে নিজেদের ঝগড়া-কোঁদল নিয়ে ব্যস্ত, ইউরোপের পত্র-পত্রিকা ও জনমতের মতো স্টাইনমায়ার ও আয়রো-ও তা নিয়ে চিন্তিত৷ এ'ভাবে ইউক্রেন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিকল হয়ে পড়তে পারে, বলে সকলের আশঙ্কা৷

একসঙ্গে ফ্রান্স, ইউক্রেন ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীছবি: Getty images/AFP/S. Supinsky

বিপদ যেমন বাইরে, তেমন ভেতরে

ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বের বিপদ এখনও কাটেনি৷ মিন্স্কের শান্তি প্রক্রিয়ায় বস্তুত অচলাবস্থা চলেছে৷ যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও ডনবাস এলাকায় যুদ্ধ অব্যাহত৷ মিন্স্কের সমঝোতায় যে ১৩টি লক্ষ্যের উল্লেখ করা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি তাতে প্রথমেই আছে: কিন্তু সেই প্রথম লক্ষ্যই এ-পর্যন্ত পূরণ হয়নি৷ অথচ মিন্স্ক চুক্তির কোনো বিকল্প নেই৷ রাশিয়া যতদিন ডনবাসের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সামরিকভাবে সাহায্য করতে থাকবে, ততদিন ইউক্রেন এ' যুদ্ধে জয়ী হতে পারবে না; কাজেই সংঘাত সমাধানের একমাত্র রাজনৈতিক পন্থা হল এই মিন্স্ক চুক্তি৷

সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকট৷ সেটা আবার এক হিসেবে স্বখাত সলিল, কেননা যেমন সরকারি তরফ, তেমনই বিরোধীপক্ষের দায়িত্বজ্ঞানহীন রাজনীতিকরা মিলে দেশকে নতুন বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছেন৷ ফলে রাজনৈতিক বিচারে ইউক্রেন বস্তুত অরাজক৷ আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আজ ইউক্রেনের সহযোগী হিসেবে বিশেষ কোনো মূল্য নেই৷

ব্যার্ন্ড ইওহান, ডয়চে ভেলে

ইউক্রেনের রাজনীতি আগের মতোই ব্যক্তিগত ক্ষমতালোভী ও নেপথ্য যড়যন্ত্রকারীদের হাতে৷ সংসদ হয়ে উঠেছে লবিইস্টদের খেলার মাঠ৷ রাশিয়ার মতো ইউক্রেনেও ধনীরা রাজনীতিকদের সঙ্গে মিলে চিরকাল শাসন চালিয়েছে, আইনকানুনের তোয়াক্কা না করে৷ অন্যদিকে আজ জাতীয়তাবাদী আর দক্ষিণপন্থিরা চেষ্টা করছে প্রয়োজনে অগণতান্ত্রিক পথে ইউক্রেনকে ইউরোপের অঙ্গ করে তোলার - যা ইউক্রেনকে আরো বিচ্ছিন্ন করে তুলবে৷

সংস্কারের জন্য চাই স্থিতিশীল সরকার

এই সংকটের ফলে প্রধানমন্ত্রী আর্সেনি ইয়াৎসেনিয়ুক ও প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেঙ্কোর ভাবমূর্তির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে৷ অথচ সংকট থেকে বেরনোর পন্থাও তাঁদেরই খুঁজে বের করতে হবে৷ স্থায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছাড়া সংস্কার চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়৷ পরিস্থিতির যাতে অবনতি না ঘটে, তা নিশ্চিত করার একমাত্র পন্থা হল শীঘ্র সরকার গঠন - ইউক্রেনকে নিজেই যা করতে হবে৷ যদি তা না ঘটে, তাহলে ইউক্রেনে সংস্কার প্রক্রিয়া ব্যর্থ হবে - যার মুনাফা কুড়োবে রাশিয়া এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীরা৷

ইউক্রেনের রাজনীতিতে গলদটা কোথায় বলে আপনি মনে করেন?

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ