ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের সাহায্যে জার্মানির ২০০ কোটি ইউরো
৮ এপ্রিল ২০২২
ইউক্রেন থেকে আগত শরণার্থীদের থাকার ব্যবস্থা এবং সমাজের মূল স্রোতে অন্তর্ভুক্ত করতে ২০০ কোটি ইউরো খরচ করবে জার্মানির কেন্দ্রীয় সরকার৷ এর মাধ্যমে চাকরির বাজারে অন্তর্ভুক্তি ও ভাষা শিক্ষার সুযোগও পাবেন তারা৷
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবারজার্মানির ১৬টি রাজ্যেরমুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কয়েক ঘণ্টার বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস৷ জার্মান সরকারের নেয়া উদ্যোগের আওতায় দেশটির শরণার্থীরা জুন থেকে বেকার ভাতা, সামাজিক প্রকল্পের সুবিধাও ভোগ করবেন৷ এর ফলে তাদেরকে সমাজের মূল স্রোতে অন্তর্ভুক্ত করা সহজ হবে বলে উল্লেখ করেছেন শলৎস৷
এর আগে বার্লিন এবং ব্রান্ডেনবুর্গসহ বিভিন্ন রাজ্য ফেডারেল সরকারের কাছেইউক্রেনীয় শরণার্থীদের জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়েছিল৷ তার প্রেক্ষিতেই শলৎস রাজ্যপ্রধানদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন৷
ফেডারেল পুলিশের তথ্য অনুসারে, জার্মানিতে বর্তমানে তিন লাখ ১৬ হাজার ইউক্রেনীয় শরণার্থী অবস্থান করছেন৷ শুধু বার্লিনেই প্রায় ৬০ হাজার শরণার্থী এসেছেন৷ সরকারের সিদ্ধান্তের কারণে তারা এখন চাকরি, স্বাস্থ্যসেবা এবং জার্মানভাষা কোর্সে সহজে প্রবেশাধিকার পাবেন৷
শলৎস জানান, ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধের ফলে সামনের দিনগুলোতে শরণার্থী সংকট কোন দিকে যাবে তা এই মুহূর্তে অনুমান করা কঠিন৷
এএস/এফএস (ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স)
বার্লিন এসে স্কুলে ফিরছে ইউক্রেনের শিশুরা
যুদ্ধের কারণে নানা দেশে ছড়িয়ে পড়েছেন ইউক্রেনীয়রা৷ অনেকেই এসেছেন বার্লিনে৷ জার্মানির রাজধানীতে এসে আবার স্কুলে ফিরছে ইউক্রেনের শিশুরা৷ দেখুন ছবিঘরে..
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
পুরোনো অভ্যাসে
আর্চে নামের একটি সংস্থা ‘ইউক্রেনের জন্য ক্লাসরুম’ নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে৷ সেখানেই শরণার্থী হিসেবে বার্লিনে আসা খুদে পড়ুয়াদের প্রাথমিক স্কুলে ফেরার ব্যবস্থা হয়েছে৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
মন দিয়ে অঙ্ক
কামিলা নামের এই মেয়েটির পরিবারও বার্লিনে আশ্রয় নিয়েছে ৷ নতুন দেশে এসে স্কুলজীবনে ফিরতে পেরেছে সে৷ মন দিয়ে সে অঙ্ক কষছে ক্লাসে৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
নতুন বন্ধু
নতুন বন্ধু সোফিয়াকে খুঁজে পেয়েছে কামিলা৷ সোফিয়াও যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বাড়ির সবার সঙ্গে বার্লিনে চলে এসেছে৷ সোফিয়া কী লিখছে খাতায়? কামিলা সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
পড়াশোনাই বেঁচে থাকার রসদ
শরণার্থী শিশুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে অন্যতম হাতিয়ার পড়াশোনা৷ সেই ব্যবস্থাই করা হয়েছে এই প্রকল্পে৷ সোফিয়া কিন্তু বেশ মনোযোগী ছাত্রী, বোঝাই যাচ্ছে৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
মাতৃভাষায় শিক্ষা
ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের পাশে থাকতে জার্মানির অনেক স্বেচ্ছাসেবক এগিয়ে এসেছেন৷ বেসরকারি একাধিক সংস্থা এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে৷ পড়াশোনা সহজ করে তুলতে ইউক্রেনীয় শিশুদের মাতৃভাষায় পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছে আর্চে৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
নতুন ক্লাসরুমে
নিজের দেশ, প্রিয় ঘর সব ছেড়ে আসতে হয়েছে খুদে পড়ুয়াদের৷ তবে স্কুল যখন শুরু হয়েছে, তখন নতুন বন্ধুও তো হবে৷ সবাই মিলে আবারও ক্লাসরুমে ফেরা৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
পাশে শিক্ষকরা
শিক্ষকরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন, যাতে ইউক্রেনীয় পড়ুয়ারা নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারে, পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারে৷ তারা বেশ মন দিয়ে শিক্ষিকার কথা শুনছে৷ তবে পিছনের বেঞ্চে দুই খুদে হেসে গল্পও করে নিচ্ছে চুপিচুপি৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
মন দিয়ে নোট
শিক্ষিকা কী বলছেন, কেউ মন দিয়ে শুনছে৷ আবার কেউ খাতায় লিখে রাখছে৷ এই খুদে পড়ুয়াদের মুখেচোখে শান্তির হাসি৷ ছোটদের মুখে এমন হাসিই তো মানায়৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
পড়াশোনার আনন্দ
রোজের রুটিনে শিশুগুলিকে ফিরিয়ে আনতে তৎপর সংস্থা৷ পিঠে ব্যাগ নিয়ে নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে শিশুরা৷ ইউক্রেন থেকে জার্মানির বার্লিনে এসে নতুন করে বাঁচার চেষ্টা করছে তারাও৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
রাঙা হাসি রাশি রাশি
এক বন্ধুর সঙ্গে খেলায় মেতেছে পাউলিনা৷ ওর মুখের হাসিটা দেখুন একবার৷ শহীদ কাদরির লেখা সেই গানটা কি মনে পড়ছে না? ‘বোমা নয়, গুলি নয়, চকোলেট টফি রাশি রাশি’ যেন ওর কাছে প্যারাট্রুপারের মতো হাজির হয়েছে৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
ছবি আঁকার জগতে
রং-তুলির টানে নিজের ফেলে আসা দেশকে মনে রেখেছে পড়ুয়ারা৷ ইউক্রেনের জাতীয় পতাকার রঙে রাঙিয়ে তুলেছে আঁকার খাতা৷ পাশাপাশি, জার্মানির প্রতিও ভালোবাসার প্রকাশ রয়েছে তাদের ছবিতে৷