ইউক্রেনের অস্ত্রাগারে রাশিয়ার বিস্ফোরণ
২২ আগস্ট ২০২২![ইউক্রেন যুদ্ধ](https://static.dw.com/image/61199935_800.webp)
রোববার ইউক্রেনের বন্দর শহর ওডেসায় বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়া জানিয়েছে, যুদ্ধজাহাজ থেকে ছোঁড়া হাইপারসনিক ক্যালিবার মিসাইলের সাহায্যে ওডেসার অস্ত্রাগারটি ধ্বংস করা হয়েছে। ওই অস্ত্রাগারেই অ্যামেরিকার দেওয়া হাইমার রকেট সিস্টেম ছিল বলে রাশিয়ার দাবি। শুধু তা-ই নয়, খারসনে ইউক্রেনের দুইটি এম ৭৭৭ হাউইৎজারও তারা ধ্বংস করেছে বলে রাশিয়া জানিয়েছে। ১০০ টন ডিজেল মজুত থাকা একটি পাম্পেও বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন।
ইউক্রেনঅবশ্য এই কোনো দাবিই স্বীকার করেনি। তাদের পাল্টা দাবি, রাশিয়ার দুইটি মিসাইল মাঝ আকাশেই ধ্বংস করেছে তারা। তৃতীয় মিসাইলটি একটি শস্যের গুদামে গিয়ে পড়ে। গুদামটিতে আগুন লেগে যায়। কিন্তু ঘটনায় কারো মৃত্যু হয়নি। শস্য নষ্ট হওয়া ছাড়া আর কোনো ক্ষতি হয়নি। অস্ত্রাগার ধ্বংসের কথাটি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে কিয়েভ। কোনো পক্ষের দাবির সত্যতাই ডিডাব্লিউ পরীক্ষা করে দেখতে পারেনি।
জেলেনস্কির বক্তব্য
রোববার রাতে দৈনিক ভিডিওবার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়া আরো একটি মানবাধিকার লঙ্ঘন করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তার দাবি, রাশিয়া পরিকল্পনা করেছে, ইউক্রেনের যুদ্ধবন্দিদের প্রকাশ্যে বিচার হবে। মূলত মারিউপলের কারখানা থেকে আটক করা সেনাদের সঙ্গেই এই কাজ করা হবে বলে জেলেনস্কির আশঙ্কা। বস্তুত, রাশিয়া আগেই জানিয়েছিল, মারিউপলের ওই যোদ্ধারা অ্যাজব। অতিদক্ষিণপন্থি ওই যোদ্ধাদের নব্য নাৎসি বলেও দাবি করা হয়েছিল। রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের অঞ্চলে আদালত বসিয়ে তাদের বিচারও শুরু হয়েছিল। জেলেনস্কির ধারণা, এবার প্রকাশ্যে তাদের বিচার হতে পারে।
ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবস
আগামী ২৪ অগাস্ট ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবস। ৩১ বছর আগে এই দিন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বেরিয়ে এসেছিল ইউক্রেন। ইউক্রেনের ধারণা, ওই দিন রাশিয়া বড়সড় কোনো নাশকতার পরিকল্পনা করে রাখতে পারে। ইউক্রেনের ভিতর সন্ত্রাসী হামলার আসঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে বিশেষ করে কিয়েভে বড় জমায়েত না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বস্তুত ওই দিনই, ইউক্রেন যুদ্ধ ছয় মাস পূর্ণ করবে।
পশ্চিমা দেশগুলির উদ্যোগ
যুক্তরাজ্য, অ্যামেরিকা, ফ্রান্স, জার্মানি যৌথভাবে ইউক্রেনে পরমাণু নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে ঝাপোরিজ্ঝিয়ার পরমাণু প্রকল্প থেকে সেনা প্রত্যাহারের দাবি করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে। বস্তুত, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের অফিস থেকে বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়েছে।
ঝাপোরিজ্ঝিয়ায় ইউরোপের সবচেয়ে বড় পরমাণু কেন্দ্র এখন রাশিয়ার দখলে। ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়ার সেনা ওই প্রকল্পের ভিতর থেকে আক্রমণ চালাচ্ছে। ফলে ইউক্রেন পাল্টা আক্রমণ করতে পারছে না। ইতিমধ্যেই ওই কেন্দ্রটিতে একাধিক বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে বড়সড় ক্ষতি হয়নি।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)