এই প্রথম ইউক্রেনকে আধুনিক ট্যাঙ্ক পাঠাবে ফ্রান্স। অন্যদিকে রাশিয়ার সাবেক মন্ত্রী ফরাসি প্রেসিডেন্টকে খামে করে গোলার স্প্লিন্টার পাঠিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি টুইট করে জানিয়েছেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর সঙ্গে তার দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। সেখানে ফরাসি প্রেসিডেন্ট দ্রুত এএমএক্স-১০ যুদ্ধের ট্যাঙ্ক ইউক্রেনে পাঠানোর কথা বলেছেন। অত্যাধুনিক এই ট্যাঙ্কে চারজন সেনা একসঙ্গে বসতে পারেন। লাইট ট্যাঙ্ক বিভাগের এই যুদ্ধযান দ্রুত চলতে পারে।
ফ্রান্স এই যুদ্ধযান ইউক্রেনকে পাঠানোর কথা বললেও তা কবে এবং কীভাবে পাঠানো হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। কতগুলি ট্যাঙ্ক পাঠানো হবে তা-ও অস্পষ্ট। জেলেনস্কিও এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
এর আগে ইউক্রেনকে হাউইৎজার মিসাইল, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের মতো অস্ত্র দিয়েছিল ফ্রান্স। তবে এই প্রথম ট্যাঙ্কের মতো যুদ্ধাস্ত্র দেওয়ার কথা জানালো তারা।
বাঙ্কারে প্রশিক্ষণ নেয়া সেই শিশুরা যেভাবে বুদাপেস্ট মাতালো
এক সময় রুশ সৈন্যদের বোমার আঘাতে অনিবার্য মৃত্যুর শঙ্কায় থেকেও সার্কাসে নিজেদের দক্ষতা বাড়ানো চেষ্টা করেছে ইউক্রেনের শিশুরা৷ তাদের দেখে বুদাপেস্ট বিস্মিত, মুগ্ধ! ছবিঘরে বিস্তারিত....
ছবি: MARTON MONUS/REUTERS
তাদের স্বপ্নের উৎস
ইউক্রেনে সার্কাস খুব জনপ্রিয়৷ দেশটির অসংখ্য শিশু সার্কাসে অংশ নেয়ায় অভ্যস্ত৷ ২০১০ সাল থেকে শিশুদের জন্য সেখানে একটা আন্তর্জাতিক উৎসব আয়োজন করা হচ্ছিল৷ ব্রাইট কান্ট্রি (ইউক্রেন) নামের এক বেসরকারি সংস্থার সেই আয়োজনে প্রতি বছর ইউক্রেন এবং ইউক্রেনের বাইরের এক হাজারেরও বেশি শিশু অংশ নিতো৷ ওপরের ছবিতে বুদাপেস্টে ইউক্রেনীয় শিশুদের অনুশীলন৷
ছবি: MARTON MONUS/REUTERS
ওরা অকুতোভয়
ইউক্রেনে যখন যুদ্ধ চলছে, সার্কাস ভালোবাসে এমন অনেক শিশু তখনও স্বপ্ন দেখেছে৷ স্বপ্ন দেখেছে- একদিন যুদ্ধ থামবে, আবার তারা নানা ধরনের কলাকৌশল দেখিয়ে মুগ্ধ করবে দর্শকদের৷ সেই স্বপ্ন নিয়ে খারকিভ, কিয়েভ, দ্নিপ্রো, ওডেসা, দনেৎস্ক শহরের বম্ব শেল্টারে অনুশীলন চালিয়ে গেছে তারা৷ ওপরের ছবিতে বুদাপেস্টের উৎসবে ইউক্রেনের ইয়াসক্রাভা অ্যারেনা দ্নিপ্রো ইন্টারন্যাশনাল চিল্ড্রেন’স ফেস্টিভেলের সার্কাস শিল্পীরা৷
ছবি: MARTON MONUS/REUTERS
বুদাপেস্টে স্বপ্নপূরণ
যুদ্ধের বিভিন্ন পর্যায়ে শিশুরা বিদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়৷ এখন কারো ঠিকানা তাই জার্মানি বা হাঙ্গেরি, কারো বা সুইজারল্যান্ড, মেক্সিকো কিংবা ইটালি৷ এসব দেশে আশ্রয় নেয়া ছয় থেকে ১৭ বছর বয়সি শিশুরা হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টের ক্যাপিটেল সার্কাসে আয়োজিত এক উৎসবে অংশ নিলো গেল সপ্তাহান্তে৷ ইউক্রেনীয় যুবা সার্কাস উৎসব নামের আয়োজনটিতে অংশগ্রহণকারীরা ৩০ ধরনের পারফর্ম্যান্স দেখায়৷ দেখে দর্শকরা মুগ্ধ!
ছবি: MARTON MONUS/REUTERS
মারিয়াদের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ
১৩ বছর বয়সি মারিয়া ক্রাভচেঙ্কো অনেকদিন ইউক্রেনের দ্নিপ্রো শহরে বোমার আঘাত থেকে বাঁচার জন্য তৈরি বাঙ্কারে থেকেছে৷ সেই অবস্থায়ও সার্কাস ছাড়েনি৷ অন্ধকারে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রচণ্ড শীতেও চালিয়ে গেছে অনুশীলন৷ বুদাপেস্টে দীর্ঘদিনের অনুশীলনের ফসল দেখাতে পেরে মারিয়া ভীষণ আনন্দিত৷ তার মতো অনেক শিশুরই এখন একটাই স্বপ্ন- একদিন যুদ্ধ থামবে, নিজের দেশে আনন্দে মাতার সুযোগও আসবে একদিন!
ছবি: MARTON MONUS/REUTERS
স্বপ্নবাস্তবতা
বুদাপেস্টে ইউক্রেনীয় শিশুদের সার্কাস-প্রতিভা দেখে সবাই মুগ্ধ৷ আলো-আঁধারিতে নানা ধরনের কলা-কৌশলে তাদের অবিশ্বাস্য দক্ষতা দেখে অনেকেরই মনে হচ্ছিল যেন স্বপ্ন দেখছেন!
ছবি: MARTON MONUS/REUTERS
5 ছবি1 | 5
দিমিত্রি রোগোজিনের চিঠি
রাশিয়ার সাবেক ডেপুটি মন্ত্রী দিমিত্রি রোগোজিন সম্প্রতি ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন বলে নিজেই টেলিগ্রামে লিখেছেন। সেখানে একটি শারপনেলের টুকরো আছে। দিমিত্রি জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে পূর্ব ইউক্রেনের দনেৎস্কে একটি হোটেলে বসে তারা কথা বলেছিলেন। আচমকাই একটি বিস্ফোরণ হয় এবং একটি শার্পনেল তার শরীরে এসে লাগে। কোনোমতে প্রাণে বেঁচে গেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ওই শার্পনেলটি ফ্রান্সে তৈরি বলে জানিয়েছেন দিমিত্রি। সে কারণেই সেটি একটি খামে ভরে একটি চিঠি-সহ তা ফরাসি প্রেসিডেন্টকে তিনি পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দিমিত্রি। ফ্রান্স কীভাবে লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছে এই হলো তার প্রমাণ।
বেয়ারবকের মন্তব্য
সম্প্রতি পর্তুগালে গেছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, প্রয়োজনে ইউক্রেনকে আরো অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করা হবে। তার বক্তব্য, রাশিয়া এখনো ইউক্রেনে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। শত অনুরোধ সত্ত্বেও রাশিয়া আক্রমণ বন্ধ করছে না। ফলে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করা জার্মানির অন্যতম কর্তব্য।
বেয়ারবক গ্রিন পার্টির সদস্য। যুদ্ধএর শুরুতে তারা ইউক্রেনকে সরাসরি অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করার সমর্থক ছিল না। কিন্তু যুদ্ধ যত এগিয়েছে, তারা অস্ত্র সরবরাহে সমর্থন জানিয়েছে।