জটিলতার অবসান। কাজ শুরু হলো ইউক্রেনের তিনটি বন্দরে। শুরু হয়েছে জাহাজে খাদ্যশস্য বোঝাইয়ের কাজ।
বিজ্ঞাপন
বুধবার ইউক্রেনের প্রশাসন জানিয়েছে, দক্ষিণ ইউক্রেনের তিনটি বন্দরে ফের কাজ শুরু হয়েছে। তুরস্ক এবং জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় রাশিয়া এবং ইউক্রেন খাদ্যশস্য রপ্তানির বিষয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছেছিল। কিন্তু তারপরেও বন্দরগুলি খুলছিল না। বুধবার থেকে ফের বন্দরে কাজ শুরু হয়েছে।
ওডেসা, চারনোমরস্ক, পিভদেনিই বন্দর আপাতত খুলেছে। এখান থেকেই খাদ্যশস্য বোঝাই জাহাজ কৃষ্ণসাগরের পথ ধরে আফ্রিকার দিকে যাবে। ইউক্রেন জানিয়েছে, জাহাজগুলির সামনে পিছনে এসকর্ট জাহাজ থাকবে। তারাই নিরাপদ পথ দেখিয়ে খাদ্যবোঝাই জাহাজগুলিকে নিয়ে যাবে। বস্তুত, এসকর্ট জাহাজগুলিতে অত্যাধুনিক যন্ত্র লাগানো থাকবে। যার সাহায্যে বোঝা যাবে, জলের তলায় কোথাও কোনো মাইন বা বাধা আছে কি না।
পূর্ব ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনে পথের কাঁটা যারা
রুশ বাহিনী যেখানে অবস্থান করছে, সেখান থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে রয়েছেন ইউক্রেনের এই যোদ্ধারা৷ সম্ভাব্য পরিণতি হয়ত মৃত্যু–তা জেনেও শত্রুশিবিরকে রুখতে সবসময় প্রস্তুত তারা৷ বিশেষ এই ব্যাটেলিয়নের কথা জানুন ছবিঘরে৷
ছবি: Marko Djurica/REUTERS
স্নায়ুর জোর
কার্পেথিয়ান জিশ নামে এই ব্যাটেলিয়নের ফিল্ড কমান্ডার ডজভিন বলেন, ‘‘যাদের মন শক্ত, এখন তারাই যুদ্ধ করতে পারবেন৷ কঠিন এবং ভীতিকর এই যুদ্ধা’’ যুদ্ধক্ষেত্রে তার নাম ডজভিন অর্থাৎ এটি হলো ‘নম দে গেররে’৷ নিরাপত্তার কারণে নিজের আসল নাম গোপন রেখেছেন তিনি৷ তার মতো সব যোদ্ধাই জানেন কখনো না কখনো বিধ্বংসী সামরিক ট্যাঙ্কের মুখোমুখি হতে পারেন তারা৷ সম্প্রতি প্রায় অক্ষত ট্যাঙ্ক ‘পাকড়াও’ করা হয়েছে৷
ছবি: Marko Djurica/REUTERS
যীশুর ছবির সামনে
পূর্ব ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অগ্রগতি রুখতে কার্পেথিয়ান জিশ সবসময় প্রস্তুত৷ রুশ সেনা মোকাবিলায় কিয়েভের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছিল ইউক্রেনীয় এবং বিদেশি নাগরিকদের এই ইউনিট৷ দেখা যাচ্ছে, যীশু খ্রিস্টের একটি ছবির সামনে হ্যান্ড গ্রেনেড রেখে দিয়েছেন তারা৷ তাদের চিন্তা রুশ ড্রোনগুলিকে নিয়ে৷ সেগুলিকে ‘কালো মেঘ’ বলছেন এই ব্যাটেলিয়নের যোদ্ধারা৷
ছবি: Marko Djurica/REUTERS
শত্রুদের ঠেকিয়ে রাখা
এই যোদ্ধারা বলছেন, তারা ইউক্রেনের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷ এ এক ভয়ঙ্কর প্রতিশ্রুতি৷ এতে তারা সবাই একসঙ্গে যুক্ত৷ এক যোদ্ধা বলেন, ‘‘গতকাল ভোররাতে একটা, দুইটা এবং চারটায় গোলাবর্ষণ করছিল ওরা, যাতে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়৷ তবে আমাদের ইতিবাচক থাকতেই হবে৷’’ মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে এই ব্যাটেলিয়নের যোদ্ধারা সামরিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পেরেছেন৷ ফলে সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা পাবেন তারা, পাবেন সেনা ভাতাও৷
ছবি: Marko Djurica/REUTERS
অবকাশ কোথায়?
রুশিন নামের এক যোদ্ধা (নিরাপত্তার কারণে আসল নাম প্রকাশ গোপন রাখা হয়েছে) কার্পেথিয়ান জিশ ব্যাটেলিয়নের কমান্ডার৷ ছবিতে দেখা যাচ্ছে তিনি সোফায় বসে রয়েছেন৷ কিন্তু অবসর মোটেও নেই তাদের৷এক যোদ্ধা বলেন, ‘‘আমাদের এখানে থাকার সম্ভাব্য পরিণতি আমরা সকলেই জানি এবং আমরা সবাই এর মধ্যেই শান্তি খুঁজে চলেছি৷’’
ছবি: Marko Djurica/REUTERS
মর্টার দিয়ে আক্রমণ
কার্পেথিয়ান ব্যাটেলিয়নের যোদ্ধারা পাল্টা আক্রমণ চালাচ্ছেন মর্টার দিয়ে৷ আলোকচিত্রীর ছবিতে ধরা পড়েছে এই দৃশ্য৷ প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সাহায্যের আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন অসংখ্য ইউক্রেনীয় এমনকি অনেক বিদেশি সহযোগীও৷ লিও নামের বছর তেত্রিশের এক তরুণবলেন, ‘‘আমি নাৎসি নই, আমি জাতীয়তাবাদী৷ রাশিয়ান ছাড়া সব জাতীয়তার, সব বর্ণের মানুষকে আমি সম্মান করি৷ রাশিয়ানরা শত্রু৷’’
ছবি: Marko Djurica/REUTERS
টার্গেট পুটিনের ছবি
নিজেদের শারীরিক ক্ষমতায় যাতে কোনোভাবেই মরচে না ধরে, তার জন্য শারীরিক কসরত চালিয়ে যাচ্ছেন নতুন যোগ দেয়া সদস্যরা৷ প্রতিকূল পরিবেশে মানিয়ে নিতে তারা প্রশিক্ষণ নেন৷ রুশ প্রেসিডেন্ট পুটিনের ছবি সামনে রেখে সেটিকে টার্গেট করে অনুশীলন করছেন যোদ্ধারা এমন ছবিও দেখা গিয়েছে৷ ডেনিস পোলিশচুক নামে এক যোদ্ধা বলেন, ‘‘ যুদ্ধের সময় তিনি কী করেছিলেন- সন্তানরা জানতে চাইলে তিনি বলতে পারবেন যে দায়িত্ব পালন করেছিলেন৷’’
ছবি: Marko Djurica/REUTERS
জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থা
কার্পেথিয়ান জিশ ব্যাটেলিয়নের চিকিৎসক এবং সদস্য দেখে নিচ্ছেন ঘাঁটিতে পর্যাপ্ত ওষুধ রয়েছে কি না৷ ছবিতে ধরা পড়েছে এই দৃশ্য৷ কনর নামে এক ব্রিটিশ স্বেচ্ছাসেবক এবং ফ্রন্টলাইনে কর্মরত সাবেক সেনা চিকিৎসক বলেন, ‘‘যত বেশি সময় যুদ্ধ চলবে, এটি ততই ক্লান্তিকর হয়ে উঠবে৷’’ আহত নারী, শিশু এবং যোদ্ধাদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা সহায়তা পেতে ব্যর্থ হওয়ার ছবি দেখে ব্রিটেন থেকে ইউক্রেনের হয়ে লড়তে এসেছেন তিনি৷
ছবি: Marko Djurica/REUTERS
7 ছবি1 | 7
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে একটি যৌথ সমন্বয় সেন্টারও তৈরি করা হয়েছে। বুধবার তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী তার উদ্বোধন করে বলেছেন, ''গোটা বিশ্বের চোখ ওই সেন্টারের দিকে থাকবে। কর্মীদের সে কথা মনে রাখতে হবে।'' ওই সমন্বয় সেন্টারের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমেই খাদ্যশস্য নিয়ে জাহাজগুলি কৃষ্ণসাগরে নামবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর ইউক্রেনের বন্দরগুলি বন্ধ হয়ে গেছিল। যার জেরে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য বাইরে যেতে পারছিল না। রাশিয়া দাবি করেছিল, ইউক্রেন কৃষ্ণসাগরে মাইন পেতে রেখেছে। ইউক্রেনের দাবি ছিল, রাশিয়া কৃষ্ণসাগরে অবরোধ তৈরি করেছে। দুই দেশের মধ্যে এনিয়ে তীব্র বিতর্ক হয়েছে। অন্যদিকে আফ্রিকা-সহ একাধিক দেশে খাদ্য সংকট শুরু হয়। অবশেষে সেই সমস্যার একটি সাময়িক সমাধানসূত্রে পৌঁছানো গেছে। যদিও ইউক্রেনের অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতেও রাশিয়া ওডেসার মতো বন্দরে মিসাইল হামলা চালাচ্ছে। ফলে বন্দরে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে।
অর্থনীতির ধাক্কায় বিপর্যস্ত কিছু দেশ
করোনা মহামারির ধাক্কা, ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা কারণে বিশ্বজুড়ে নানা দেশেই চলছে অর্থনৈতিক অস্থিরতা৷ শ্রীলঙ্কায় তা রূপ নিয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতায়৷ এমন আরো কিছু দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা থাকছে ছবিঘরে৷
ছবি: Ali Khara/REUTERS
আফগানিস্তান
গত বছর মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার এবং তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে অর্থনৈতিক ও মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে আফগানিস্তান৷ দেশজুড়ে খাদ্য সংকটের ফলে অপুষ্টি মহামারি আকার নিয়েছে৷ হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তথ্যমতে, দেশটির ৫৫ শতাংশ মানুষ রয়েছেন খাদ্য নিরাপত্তার চরম হুমকিতে৷ দাতাদের নানা ধরনের অর্থ সহায়তা অবরুদ্ধ হওয়ায় এ সংকট দিনদিন আরো তীব্র রূপ নিচ্ছে৷
ছবি: Ali Khara/REUTERS
ভেনেজুয়েলা
ভেনেজুয়েলার অর্থনৈতিক সংকট কয়েক দশক ধরেই চলমান৷ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি- ডাব্লিউএফপি-র মতে দেশটিতে প্রতি তিন জনে একজন ভুগছেন খাদ্য নিরাপত্তার অভাবে৷ করোনার কারণে অর্থনৈতিক ও মানবিক সংকট আরো তীব্র হয়েছে৷ ইউক্রেন যুদ্ধ বাড়িয়ে দিয়েছে জ্বালানি ও খাদ্য সংকট৷ এর ফলে বিদ্যুৎ এবং সুপেয় জলের অভাবও দেখা দিয়েছে৷
ছবি: Roman Camacho/ZUMA Press/imago images
মধ্যপ্রাচ্য
মধ্যপ্রাচ্যের বেশকিছু দেশে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে৷ এমনিতেই দেশগুলোর অর্থনীতি টালমাটাল৷ করোনা এবং ইউক্রেন যুদ্ধ এসব দেশকে নিয়ে যাচ্ছে বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে৷ সংকটে থাকা দেশগুলোর মধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া ও ইয়েমেন ছাড়াও রয়েছে লিবিয়া, ইরাক এবং লেবাননও৷ ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট দেশগুলোর নাগরিকদের ঠেলে দিচ্ছে চরম দারিদ্র্যের দিকে৷
ছবি: Essa Ahmed/AFP/Getty Images
সুদান
গত বছরের শেষ দিকে আফ্রিকার এই দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থান হয়৷ এরপর থেকেই ধস নেমেছে দেশটির অর্থনীতিতে ৷ জানুয়ারিতে দেশটির রপ্তানি কমে যায় ৮৫ শতাংশ৷ জাতিসংঘের তথ্য বলছে, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিশ্বজুড়ে খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে দেশটির ৩০ শতাংশের বেশি মানুষ আছেন খাদ্য সংকটে৷ দেশটির ১৮টি প্রদেশে দেড় কোটি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকিতে রয়েছেন৷
ছবি: Ashraf Shazly/AFP/Getty Images
নেপাল
ব্যাপক আমদানি-নির্ভরতার ফলে নেপালের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়েছে৷ দেশটির বাণিজ্য ঘাটতি বাজেটের প্রায় সমান হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ নেপালের মোট আমদানির দুই-তৃতীয়াংশই আসে ভারত থেকে৷ অন্যদিকে, ভারতের মুদ্রার সঙ্গে একই দর নির্ধারিত থাকায় ভারতীয় টাকার পতনের সঙ্গে নেপালি মুদ্রারও স্বয়ংক্রিয় পতন ঘটছে৷ ইউক্রেন থেকে তেল ও নানা খাদ্যদ্রব্যের আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশটির অর্থনীতিতে ধসের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Diego Azubel/dpa/picture alliance
পাকিস্তান
বিশ্ব ব্যাংকের তথ্যমতে, মে-জুন মাসের মূল্যস্ফীতিতে দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রীলঙ্কার পরই রয়েছে পাকিস্তান৷ দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি এক অংকের ঘরে থাকলেও শ্রীলঙ্কায় ৫৬.৬% এবং পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতি পৌঁছে গেছে ২১.৩ শতাংশে৷ বিদেশি ঋণ পরিশোধ নিয়ে জটিলতা এবং দ্রুত খালি হয়ে যাওয়া বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ দেশটিকে দ্রুতই অস্থিরতার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে৷
ছবি: KARIM ULLAH AFP via Getty Images
তুরস্ক
তুরস্কের পরিসংখ্যান সংস্থা জানিয়েছে, জুন মাসে দেশটির বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭৮.৬২%৷ দেশটির মূল্যস্ফীতির এ হার গত ২৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ৷ ইউক্রেন যুদ্ধ, পণ্য়ের মূল্যবৃদ্ধি এবং টার্কিশ মুদ্রা লিরার দর কমতে থাকায় এই মূল্যস্ফীতি আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, আগের বছরের তুলনায় এ বছর পরিবহণের খরচ বেড়েছে ১২৩.৩৭ শতাংশ, খাদ্য ও পানীয়ের মূল্য বেড়েছে ৯৩,৯৩ শতাংশ৷
ছবি: Sha Dati/Xinhua/imago images
7 ছবি1 | 7
ইউরোপে বিদ্যুৎ দেবে ইউক্রেন
বুধবার দৈনিক বক্তৃতায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, দেশের বাইরে বিদ্যুতের রপ্তানি বাড়ানো হবে। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তারা কাজ করতে শুরু করে দিয়েছেন। জেলেনস্কির দাবি, এর ফলে ইউরোপের দেশগুলির সুবিধা হবে। রাশিয়া বেশ কয়েকটি দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে, কোনো কোনো দেশে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। ইউক্রেন বিদ্যুৎ রপ্তানি করলে সেই সমস্যার কিছুটা সুরাহা বলে মনে করছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
জেলেনস্কির বক্তব্য, এর ফলে আরো দুইটি সুবিধা হবে। এক, ইউক্রেনের হাতে বিদেশি মুদ্রা আসবে এবং দুই প্রাকৃতিক সম্পদের ক্ষেত্রে রাশিয়ার উপর ইউরোপের নির্ভরতা কমবে। রাশিয়া বা ইইউ অবশ্য এখনো এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
প্রতিরোধের ভূমিকায় রাশিয়া
ইউক্রেনের এক উচ্চপদস্থ সেনাকর্মী জানিয়েছেন, রাশিয়া যুদ্ধে নতুন কৌশল নিতে শুরু করেছে। বিভিন্ন এলাকায় রাশিয়া নতুন করে বিপুল পরিমাণ সেনা নিয়ে এসেছে। কিন্তু তারা নতুন এলাকা দখলের আর চেষ্টা করছে না। যে অঞ্চলগুলি তারা ইতিমধ্যেই দখল করেছে, সেগুলিতে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। যাতে ইউক্রেনের হাতে তা ফিরে না যায়।