1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুই সাংবাদিক পেলেন ডয়চে ভেলে ফ্রিডম অব স্পিচ অ্যাওয়ার্ড

২ মে ২০২২

জীবন বাজি রেখে মারিউপলে রুশ বাহিনীর দখলদারিত্বের চিত্র তুলে ধরেন ইউক্রেনের দুই সাংবাদিক এভগেনি মালোলেটকা এবং মস্তিস্লাভ চেরনভ৷ সাহসিকতার স্বীকৃতি হিসেবে এই দুইজনকে ২০২২ সালের ‘ফ্রিডম অব স্পিচ’ সম্মাননা দিলো ডয়চে ভেলে৷

ইউক্রেনের সাংবাদিক এভগেনি মালোলেটকা
ইউক্রেনের সাংবাদিক এভগেনি মালোলেটকা ছবি: Evgeniy Maloletka

ফ্রিল্যান্স চিত্রসাংবাদিক এভগেনি মালোলেটকা কাজ করছেন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের ভিডিওগ্রাফার হিসেবে৷ মস্তিস্লাভ চেরনভও ইউক্রেনে চিত্রসাংবাদিক হিসেবে কর্মরত৷ এই দুইজন মিলে দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনে রুশ দখলদারিত্ব, ধ্বংসযজ্ঞ ও মানুষের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরেছেন৷ সেখানকার একটি হাসপাতালে রাশিয়ার বোমা হামলা নিয়ে তাদের তোলা ছবি দেখেছে গোটা বিশ্ব৷

ইউক্রেনের যেসব শহরে রাশিয়া শুরুতে ব্যাপকভাবে হামলা চালায় তার একটি ছিল মারিউপল৷ সেখানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় গুড়িয়ে দেয়া হয় আবাসিক ভবন৷ এক পর্যায়ে ইউক্রেনের সেনাদের উপস্থিতিও বাড়ে সেখানে৷ বাড়ে যুদ্ধের তীব্রতা৷ এই পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের জন্য কাজ করা ছিল ভীষণ কঠিন৷ এক সময় সেখানে এমনকি ফোন সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়৷ তার মধ্যেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছিলেন মালোলেটকা ও চেরনভ৷ মালোলেটকা বলেন, ‘‘মানুষ ছিল ভীত সন্ত্রস্ত এবং জানতে চাচ্ছিলো কী ঘটছে৷ যেকোনো তথ্য তারা পেতে চাচ্ছিলেন৷ মানবিক করিডোর সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছিলেন৷’’

ইউক্রেনে হাসপাতালে হামলা, রাশিয়ার দাবি সামরিক স্থাপনা

01:26

This browser does not support the video element.

হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ সংগ্রহ করার সময় এই সাংবাদিকরা দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে যান৷ গোরস্থানে জায়গা খালি না হওয়ায় অনেককে বাড়ির উঠোনেই কবর দেয়া হয়৷ তারা হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ছুটে যান মানুষের দুর্ভোগের চিত্র ধারণ করতে৷ মালোলেটকা বলেন, ‘‘আমরা হাসপাতালে যে শিশুদের ছবি তুলেছিলাম, তারা মারা গেছে৷ গোলাগুলিতে ১৫ বছর থেকে শুরু করে তিন বছরের শিশুও প্রাণ হারায়৷ সেই ছবি মাথা থেকে বের করা খুবই কঠিন৷’’

ইউক্রেনের সাংবাদিক মস্তিস্লাভ চেরনভছবি: Evgeniy Maloletka/AP Photo/picture alliance

৯ মার্চ রুশ বাহিনী যখন শহরটির একটি ক্লিনিকে হামলা চালায়, তখন এই দুই সাংবাদিক কাছাকাছি ছিলেন৷ তারা ছুটে গিয়ে সেখানকার ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র ধারণ করেন৷ হামলার পরপরই তারা হাসপাতালটির ভিতরে প্রবেশ করেন৷ এর মধ্যেই রাশিয়ার ট্যাঙ্ক সেখানে চলে আসে৷ মালোলেটকা তার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘‘প্রায় একটা দিন আমরা হাসপাতালে লুকিয়ে ছিলাম৷ সাদা অ্যাপ্রন পরে আমরা ডাক্তার সেজে ছিলাম এবং শহর ঘুরে বেড়ানো রাশিয়ার ট্যাঙ্কের ছবি তুলেছিলাম৷’’ ১২ মার্চ ইউক্রেনের বাহিনী এই দুই সাংবাদিককে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে সক্ষম হন৷ পরে পুলিশের সহায়তায় ইন্টারনেট ব্যবহার করে তারা সংবাদ মাধ্যমে ছবি পাঠান৷ ১৫ মার্চ মারিউপল শহর ছাড়েন তারা৷

ইউক্রেনের সরকারের হিসাব অনুযায়ী, এপ্রিল পর্যন্ত ১৮ জন সাংবাদিক ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত হয়েছেন৷ এছাড়া আটজন অপহৃত আর তিনজন নিখোঁজ হয়েছেন৷ আহত হয়েছেন ১৩ জন সাংবাদিক৷

মানবাধিকার রক্ষা বা মত প্রকাশের স্বাধীনতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সাংবাদিকদের ২০১৫ সাল থেকে ডিডাব্লিউ ফ্রিডম অব স্পিচ অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে সম্মাননা জানিয়ে আসছে৷

কনস্টানটিন গনচারভ/এফএস

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ