ঝাপোরিজ্ঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রের কাছে ফের একাধিক বিস্ফোরণ। সরব জাতিসংঘ। রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার ফের একাধিক বিস্ফোরণ হয়েছে দক্ষিণ ইউক্রেনের ঝাপোরিজ্ঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রে। কেন্দ্রটি আপাতত রাশিয়ার দখলে। ওই কেন্দ্রের ভিতরে রাশিয়ার সেনা আছে বলে অভিযোগ। ইউক্রেনের প্রশাসন জানিয়েছে, পরমাণু কেন্দ্রটির ভিতর যেখানে প্রথম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি আছে, সেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে। এছাড়াও তেজস্ক্রিয় পদার্থ মজুত রয়েছে যে সমস্ত জায়গায়, সেখানেও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে বড়সড় কোনো ক্ষতি হয়নি।
ইউক্রেন থেকে আবার খাদ্যশস্য রপ্তানি
ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকট আরও প্রকট হয়েছে৷ রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানি আবার শুরু হয়েছে৷
ছবি: Efrem Lukatsky/AP/picture alliance
আন্তর্জাতিক উদ্যোগের ফসল
জাতিসংঘ ও তুরস্কের উদ্যোগে এক চুক্তির মাধ্যমে ইউক্রেন থেকে আবার খাদ্যশস্য রপ্তানির পথ সুগম করা হয়েছে৷ ফলে কৃষ্ণ সাগরের মাধ্যমে ইউক্রেনের শস্য আবার বিশ্ব বাজারে পৌঁছাতে পারছে৷ রাশিয়ার হামলার প্রায় পাঁচ মাস পর এই প্রথম এমন এক বোঝাপড়া সম্ভব হলো৷
ছবি: Khalil Hamra/AP/dpa/picture alliance
খাদ্য সংকটের মোকাবিলা করতে বোঝাপড়া
বর্তমান যুদ্ধের আগে পর্যন্ত ইউক্রেন বিশ্ববাজারে বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য রপ্তানি করে এসেছে৷ রাশিয়ার হামলার ফলে সেই সরবরাহ আচমকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংকট সৃষ্টি হয়৷ কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার অবরোধের ফলে ইউক্রেনের বন্দরগুলি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে৷ তবে বর্তমান বোঝাপড়া কতদিন স্থায়ী হবে, সে বিষয়ে সংশয় এখনো কাটে নি৷
ছবি: Efrem Lukatsky/AP/picture alliance
অবকাঠামো আবার সক্রিয় করার চ্যালেঞ্জ
ইউক্রেন সংকটের শুরু থেকে ৭০ লাখ টন গম, এক কোটি ৪০ লাখ টন ভুট্টার দানা, ৩০ লাখ টন সূর্যমুখী গাছের তেল বিশ্ববাজারে পৌঁছানো সম্ভব হয় নি৷ ফলে বিশ্বজুড়ে খাদ্যশস্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি দেখা গেছে৷ খাদ্য সংকটের পাশাপাশি মূল্যস্ফীতিও বেড়ে গেছে৷ এবার রেল ও জাহাজের মাধ্যমে আবার সরবরাহ চালু করার উদ্যোগ শুরু হয়েছে৷
ছবি: picture alliance/NurPhoto
আন্তর্জাতিক তৎপরতা
জাতিসংঘের কূটনৈতিক উদ্যোগের নেপথ্যে অনেক দেশই সক্রিয় হয়েছে৷ ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরে শিল্পোন্নত দেশগুলির গোষ্ঠী জি-সেভেনের রাষ্ট্রদূতদের উপস্থিতি সেই তৎপরতার ইঙ্গিত দিয়েছে৷ ২০২২ সালের ২৯শে জুলাই তাঁরা সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন৷
ছবি: David Goldman/AP/picture alliance
জার্মানির আগ্রহ
ইউক্রেনে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আনকা ফেল্ডহুসেন ইউক্রেনের অবকাঠামোর দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ওলেক্সান্ড্র কুবরাকভের সঙ্গে খাদ্যশস্য রপ্তানির খুঁটিনাটী বিষয়গুলি সম্পর্কে আলোচনা করেন৷ জি-সেভেন দেশগুলির রাষ্ট্রদূতদের প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে তিনি প্রস্তুতিপর্ব খতিয়ে দেখেন৷
ছবি: UKRAINIAN PRESIDENTIAL PRESS/REUTERS
সামরিক তত্ত্বাবধানে খাদ্যশস্য রপ্তানি
ওডেসা বন্দরে জাহাজে শস্য বোঝাই করার প্রক্রিয়ার উপর নজর রাখছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী৷ বোঝাপড়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওডেসায় রুশ হামলা গোটা প্রক্রিয়া অনিশ্চয়তার মুখে ফেলেছে৷
ছবি: NACHO DOCE/REUTERS
প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রা
২০২২ সালের ১লা আগস্ট সিয়েরা লিওনে নিবন্ধিত মালবাহী জাহাজ রাজোনি ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরে শস্য বোঝাই করে ইস্তানবুলের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে৷ পানির উপর ভাসমান মাইন ও রাশিয়ার হামলার আশঙ্কায় নাবিকদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে এই কাজ করতে হয়েছে৷
ছবি: TURKISH NATIONAL DEFENSE MINISTRY/AA/picture alliance
7 ছবি1 | 7
গত সপ্তাহেও পরমাণু কেন্দ্রটিতে বিস্ফোরণ হয়েছিল। যার জেরে একটি ইউনিট বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বৃহস্পতিবার যেভাবে সেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে, তাতে যে কোনো সময় বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারতো। একবার তেজস্ক্রিয় বস্তুতে বিস্ফোরণ হলে তা ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে বলে আশঙ্কা।
ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়ার শেল বা রকেট এসে পড়েছে ওই কেন্দ্রে। যদিও রাশিয়া এখনো পর্যন্ত তা স্বীকার করেনি। এবিষয়ে তারা এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি। গত সপ্তাহে রাশিয়া জানিয়েছিল, ইউক্রেন ওই পরমাণু কেন্দ্রে আক্রমণ চালিয়েছে। কারণ রাশিয়ার সেনা ভিতরে আছে।
ইউক্রেনের অভিযোগ, রাশিয়ার সেনা পরমাণু কেন্দ্রের ভিতর থেকে আক্রমণ চালাচ্ছে। সে কারণে তাদের বিরুদ্ধে ইউক্রেন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, পরমাণু কেন্দ্রকে সামনে রেখে রাশিয়া ইউক্রেনকে ব্ল্যাকমেল করছে।
বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, ওই পরমাণু কেন্দ্রটিকে সেনাহীন করতে হবে। রাশিয়াকে দ্রুত ওই এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলেছেন তিনি। তার বক্তব্য, পরমাণু কেন্দ্রে এই ধরনের পরিস্থিতি কোনোভাবেই কাম্য নয়। যেভাবেই হোক ওই এলাকাটিকে সেনামুক্ত করতে হবে।
উপগ্রহচিত্রে ক্রাইমিয়া
সম্প্রতি একটি উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ করেছে ইউক্রেন। তবে চিত্রটি গোপনীয় নয়। সেখানে বিস্ফোরণের পর ক্রাইমিয়ায় রাশিয়ার বেসের অবস্থা দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি রাখা দুইটি চিত্র থেকে স্পষ্ট, বিস্ফোরণে কতটা ক্ষতি হয়েছে সেনাঘাঁটিটির।
দিনকয়েক আগে ওই সেনাঘাঁটিতে বিস্ফোরণ হয়েছিল। ইউক্রেন জানিয়েছিল, তারা সেখানে হামলা চালায়নি। রাশিয়া জানিয়েছিল, তেল এবং বারুদের সংযোগেই সেখানে বিস্ফোরণ হয়। যদিও ইউক্রেন তা মানতে চায়নি। ইউক্রেন দাবি করেছে, ওই ঘটনায় রাশিয়ার নয়টি যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাশিয়া তা মানতে চায়নি। সেনাঘাঁটিতে বিশেষ ক্ষতি হয়নি বলে রাশিয়া দাবি করেছে। কিন্তু উপগ্রহ চিত্রে স্পষ্ট, সেনাঘাঁটিটির বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পূর্ব ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনে পথের কাঁটা যারা
রুশ বাহিনী যেখানে অবস্থান করছে, সেখান থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে রয়েছেন ইউক্রেনের এই যোদ্ধারা৷ সম্ভাব্য পরিণতি হয়ত মৃত্যু–তা জেনেও শত্রুশিবিরকে রুখতে সবসময় প্রস্তুত তারা৷ বিশেষ এই ব্যাটেলিয়নের কথা জানুন ছবিঘরে৷
ছবি: Marko Djurica/REUTERS
স্নায়ুর জোর
কার্পেথিয়ান জিশ নামে এই ব্যাটেলিয়নের ফিল্ড কমান্ডার ডজভিন বলেন, ‘‘যাদের মন শক্ত, এখন তারাই যুদ্ধ করতে পারবেন৷ কঠিন এবং ভীতিকর এই যুদ্ধা’’ যুদ্ধক্ষেত্রে তার নাম ডজভিন অর্থাৎ এটি হলো ‘নম দে গেররে’৷ নিরাপত্তার কারণে নিজের আসল নাম গোপন রেখেছেন তিনি৷ তার মতো সব যোদ্ধাই জানেন কখনো না কখনো বিধ্বংসী সামরিক ট্যাঙ্কের মুখোমুখি হতে পারেন তারা৷ সম্প্রতি প্রায় অক্ষত ট্যাঙ্ক ‘পাকড়াও’ করা হয়েছে৷
ছবি: Marko Djurica/REUTERS
যীশুর ছবির সামনে
পূর্ব ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অগ্রগতি রুখতে কার্পেথিয়ান জিশ সবসময় প্রস্তুত৷ রুশ সেনা মোকাবিলায় কিয়েভের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছিল ইউক্রেনীয় এবং বিদেশি নাগরিকদের এই ইউনিট৷ দেখা যাচ্ছে, যীশু খ্রিস্টের একটি ছবির সামনে হ্যান্ড গ্রেনেড রেখে দিয়েছেন তারা৷ তাদের চিন্তা রুশ ড্রোনগুলিকে নিয়ে৷ সেগুলিকে ‘কালো মেঘ’ বলছেন এই ব্যাটেলিয়নের যোদ্ধারা৷
ছবি: Marko Djurica/REUTERS
শত্রুদের ঠেকিয়ে রাখা
এই যোদ্ধারা বলছেন, তারা ইউক্রেনের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷ এ এক ভয়ঙ্কর প্রতিশ্রুতি৷ এতে তারা সবাই একসঙ্গে যুক্ত৷ এক যোদ্ধা বলেন, ‘‘গতকাল ভোররাতে একটা, দুইটা এবং চারটায় গোলাবর্ষণ করছিল ওরা, যাতে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়৷ তবে আমাদের ইতিবাচক থাকতেই হবে৷’’ মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে এই ব্যাটেলিয়নের যোদ্ধারা সামরিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পেরেছেন৷ ফলে সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা পাবেন তারা, পাবেন সেনা ভাতাও৷
ছবি: Marko Djurica/REUTERS
অবকাশ কোথায়?
রুশিন নামের এক যোদ্ধা (নিরাপত্তার কারণে আসল নাম প্রকাশ গোপন রাখা হয়েছে) কার্পেথিয়ান জিশ ব্যাটেলিয়নের কমান্ডার৷ ছবিতে দেখা যাচ্ছে তিনি সোফায় বসে রয়েছেন৷ কিন্তু অবসর মোটেও নেই তাদের৷এক যোদ্ধা বলেন, ‘‘আমাদের এখানে থাকার সম্ভাব্য পরিণতি আমরা সকলেই জানি এবং আমরা সবাই এর মধ্যেই শান্তি খুঁজে চলেছি৷’’
ছবি: Marko Djurica/REUTERS
মর্টার দিয়ে আক্রমণ
কার্পেথিয়ান ব্যাটেলিয়নের যোদ্ধারা পাল্টা আক্রমণ চালাচ্ছেন মর্টার দিয়ে৷ আলোকচিত্রীর ছবিতে ধরা পড়েছে এই দৃশ্য৷ প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সাহায্যের আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন অসংখ্য ইউক্রেনীয় এমনকি অনেক বিদেশি সহযোগীও৷ লিও নামের বছর তেত্রিশের এক তরুণবলেন, ‘‘আমি নাৎসি নই, আমি জাতীয়তাবাদী৷ রাশিয়ান ছাড়া সব জাতীয়তার, সব বর্ণের মানুষকে আমি সম্মান করি৷ রাশিয়ানরা শত্রু৷’’
ছবি: Marko Djurica/REUTERS
টার্গেট পুটিনের ছবি
নিজেদের শারীরিক ক্ষমতায় যাতে কোনোভাবেই মরচে না ধরে, তার জন্য শারীরিক কসরত চালিয়ে যাচ্ছেন নতুন যোগ দেয়া সদস্যরা৷ প্রতিকূল পরিবেশে মানিয়ে নিতে তারা প্রশিক্ষণ নেন৷ রুশ প্রেসিডেন্ট পুটিনের ছবি সামনে রেখে সেটিকে টার্গেট করে অনুশীলন করছেন যোদ্ধারা এমন ছবিও দেখা গিয়েছে৷ ডেনিস পোলিশচুক নামে এক যোদ্ধা বলেন, ‘‘ যুদ্ধের সময় তিনি কী করেছিলেন- সন্তানরা জানতে চাইলে তিনি বলতে পারবেন যে দায়িত্ব পালন করেছিলেন৷’’
ছবি: Marko Djurica/REUTERS
জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থা
কার্পেথিয়ান জিশ ব্যাটেলিয়নের চিকিৎসক এবং সদস্য দেখে নিচ্ছেন ঘাঁটিতে পর্যাপ্ত ওষুধ রয়েছে কি না৷ ছবিতে ধরা পড়েছে এই দৃশ্য৷ কনর নামে এক ব্রিটিশ স্বেচ্ছাসেবক এবং ফ্রন্টলাইনে কর্মরত সাবেক সেনা চিকিৎসক বলেন, ‘‘যত বেশি সময় যুদ্ধ চলবে, এটি ততই ক্লান্তিকর হয়ে উঠবে৷’’ আহত নারী, শিশু এবং যোদ্ধাদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা সহায়তা পেতে ব্যর্থ হওয়ার ছবি দেখে ব্রিটেন থেকে ইউক্রেনের হয়ে লড়তে এসেছেন তিনি৷
ছবি: Marko Djurica/REUTERS
7 ছবি1 | 7
রাশিয়া হুমকি দিয়েছে, ক্রাইমিয়ায় ইউক্রেন আক্রমণ করলে তার ফল ভুগতে হবে। কিয়েভে আক্রমণ চালাবে রাশিয়া। তবে সেনাঘাঁটির বিস্ফোরণের পর রাশিয়া তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
এস্তোনিয়ার সিদ্ধান্ত
এস্তোনিয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়ার দূতাবাসের দেওয়া শেনগেন ভিসা নিয়ে কোনো ব্যক্তি এস্তোনিয়া ঢুকতে চাইলে তাকে বাধা দেয়া হবে। তবে অন্য দেশের দেওয়া শেনগেন ভিসা নিয়ে এস্তোনিয়ায় ঢুকতে সমস্যা নেই। এস্তোনিয়ায় জ্নমানো অথবা এস্তোনিয়ার নাগরিক হলে এই নিয়ম বর্জন করা হবে। নতুন নিয়মের মাধ্যমে এস্তোনিয়া রাশিয়া থেকে তাদের দেশে আসার রাস্তা বন্ধ করতে চাইছে। তাদের অভিযোগ, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রচুর মানুষ এস্তোনিয়ায় এসে কাজ করার চেষ্টা করছে। রাশিয়ায় একাধিক নিষেধাজ্ঞা চলার জন্যই এমনটা ঘটছে বলে তারা মনে করছে।
সুইজারল্যান্ড নিয়ে রাশিয়ার অবস্থান
সুইজারল্যান্ড সম্প্রতি মস্কোয় ইউক্রেনের হয়ে এবং কিয়েভে রাশিয়ার হয়ে কথা বলতে চেয়েছিল। বস্তুত, দুই দেশের মধ্যে কূটনীতির মধ্যস্থতাকারী হতে হয়েছিল। রাশিয়া তা মানতে চায়নি। ক্রেমলিনের বক্তব্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞায় মত এবং মদত দিয়েছে সুইজারল্যান্ড। ফলে তাদের আর নিরপেক্ষা দেশ বলা যায় না। ফলে তাদের মধ্যস্থতা মেনে নিতে রাজি নয় রাশিয়া।