পরাধীন খেরসনে যেন হাসতে ভুলেই গিয়েছিল সবাই৷ পাল্টা আ্ক্রমণের মুখে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরটি থেকে রুশ সৈন্যরা চলে যেতে বাধ্য হতেই প্রশাসনিক ভবনের সামনে নামে উল্লসিত জনতার ঢল৷ সেখানেই গায়ে, হাতে ইউক্রেনের পতাকা নিয়ে দুই তরুণীর ভুবন ভোলানো হাসি৷

যুদ্ধের কারণে খেরসনের সব মানুষই ছিল আতঙ্কে৷ বড়রা জরুরি কাজে অনেক সময় বাইরে যেতে বাধ্য হলেও, অনেক শিশু দীর্ঘদিন চার দেয়ালের বাইরে পা ফেলার সুযোগই পায়নি৷ রুশ সৈন্যরা চলে যাওয়ায় খেরসনের শিশুরা আবার মুক্ত৷ সেই আনন্দ উদযাপন করছে দুই শিশু৷

রাশিয়ার আক্রমণের মুখে খেরসনের অনেক মানুষ ইউক্রেনের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ওডেসায় আশ্রয় নিয়েছিলেন৷ খেরসন ‘স্বাধীন’ হওয়ায় সেখানেও আনন্দে মেতেছেন সবাই৷

তাদের কারণেই খেরসন আবার ‘শত্রুমুক্ত’৷ খেরসনবাসীর কাছে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা তাই পরম শ্রদ্ধা, ভালোবাসার পাত্র৷ ওপরের ছবিতে গণদাবির মুখে একজনের পিঠে অটোগ্রাফ দিচ্ছেন এক সেনাসদস্য৷

রুশ সৈন্যমুক্ত খেরসন দেখতে গিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি৷ তার সঙ্গে সেল্ফি তুলছেন কয়েকজন নগরবাসী৷

খেরসনের প্রাণকেন্দ্রে ইউক্রেনের এক সৈন্যের সঙ্গে সেল্ফি তোলার ধুম পড়েছে৷ নিজের সন্তানকে কাঁধে নিয়ে একের পর এক অনুরোধ রেখে চলেছেন সেই সৈন্য৷

মুক্ত খেরসনে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়েছে বীর সেনাদের৷ এক সৈন্যের সঙ্গে সগর্বে কোলাকুলি করছেন এক খেরসনবাসী৷

ইউক্রেনীয়দের সবার মুখে মুখে এখন খেরসন৷ রুশ সৈন্যরা চলে যাওয়ার পর ‘খেরসন, খেরসন’ বলতে বলতে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন অনেকে৷ ওপরের ছবির তরুণীর মতো অনেকের হাতেই ছিল খেরসন লেখা পোস্টার৷

গত ১১ নভেম্বর রাতে খেরসন রুশ সৈন্যমুক্ত হওয়া মাত্রই শহরের ইন্ডিপেন্ডেন্স স্কয়ারে নামে উল্লসিত জনতার ঢল৷ স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে চারপাশ৷

খেরসন থেকে রুশ সৈন্যদের তাড়াতে ছবির এই নারীও যুদ্ধ করেছেন৷ মুক্ত শহরে পা রেখেই খেরসন লেখা ফলকের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন তিনি৷