1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউক্রেনের ‘সন্ত্রাস-বিরোধী' অভিযান

২৩ এপ্রিল ২০১৪

ইউক্রেনের অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট ওলেকসান্ডার তুর্চিনভ পূর্ব ইউক্রেনের স্লাভিয়ানস্কে দু'টি ‘‘নির্মমভাবে নির্যাতিত'' লাশ পাওয়া যাবার পর সামরিক বাহিনীকে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান আবারো চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন ৷

ছবি: picture-alliance/AP Photo

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁর দু'দিনব্যাপী কিয়েভ সফর শেষ করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান পুনরায় চালু করার নির্দেশ দেন তুর্চিনভ৷ অপরদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ ঘোষণা করে যে, তারা পোল্যান্ড এবং বালটিক দেশগুলিতে ৬০০ সৈন্য পাঠাচ্ছে ‘মোহড়ার' জন্য৷

তুর্চিনভ তাঁর নির্দেশের কারণ হিসেবে পূর্ব ইউরোপে দু'টি লাশ খুঁজে পাওয়ার কথা বলেন৷ দু'টি লাশেই দৃশ্যত ‘‘নির্মম হত্যার'' চিহ্ন রয়েছে৷ তাদের মধ্যে একটি লাশ স্লাভিয়ানস্কের নিকটবর্তী অপর একটি শহরের পৌরসভার এক সদস্যের৷ অপহৃত ঐ পৌর সদস্য তুর্চিনভের নিজের রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিলেন, বলে তুর্চিনভ জানান৷

জেনেভা বৈঠক থেকে যে আশার সঞ্চার হয়েছিল, পূর্ব ইউক্রেনের ঘটনাবলী তা-তে কোনো মদত যোগাচ্ছে না, বরং সহিংসতা বাড়ছে, বাড়ছে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা৷ ইউক্রেন সরকারের একটি আন্তোনভ আন-৩০ প্রপেলার-চালিত বিমান স্লাভিয়ানস্কের উপর দিয়ে ওড়ার সময় বিমানটির দিকে মাটি থেকে গুলি চালানো হয়৷ বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করতে সক্ষম হয়৷ কিয়েভের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ খবর দেওয়া হয়েছে৷

বিদ্রোহীরা ক্রামাতর্স্ক শহরের পুলিশপ্রধানকে অপহরণ করেছে, বলে জানিয়েছেন ওএসসিই-এর পর্যবেক্ষকরা৷ ঘটনাটি ঘটে গত সোমবার রাত্রে: একই সঙ্গে বিদ্রোহীরা পুলিশ ফাঁড়িটি দখল করে৷ ইতিপূর্বেই তারা টাউন হল দখল করেছিল৷ – বিপক্ষ তরফেও অনুরূপ দৃষ্টান্ত দেওয়া হচ্ছে৷ রবিবার স্লাভিয়ানস্কের কাছে তিনজন বিদ্রোহী অজ্ঞাত আততায়ীদের গুলিতে প্রাণ হারায়৷ রাশিয়া এই আক্রমণের জন্য ইউক্রেনের উগ্র-জাতীয়তাবাদীদের দায়ী করছে৷

বাইডেনের কিয়েভ সফর শেষ হবার পরই বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান পুনরায় শুরু করার নির্দেশ দিলেন তুর্চিনভছবি: picture-alliance/Itar-Tass/Maxim Nikitin

মঙ্গলবার সেই নিহত বিদ্রোহীদের শবযাত্রার সময় স্লাভিয়ানস্কের সনাতনপন্থি গির্জা থেকে ঘণ্টাধ্বনি করা হয়; মহিলাদের ক্রন্দনরত অবস্থায় দেখা যায়৷ বলতে কি, পূর্ব ইউক্রেনে গ্রিক সনাতনপন্থি গির্জা এবং রুশ সনাতনপন্থি গির্জা ভিন্ন ভিন্ন পক্ষকে সমর্থন করছে; সেটাও এখানকার সমাজে বিপুল বিভাজনের একটা লক্ষণ৷

মোট কথা, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বিদ্রোহীরা এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন সরকারি ভবন ও কার্যালয় দখল করে রয়েছে৷ সেদিক দিয়ে পরিস্থিতির কিছুমাত্র পরিবর্তন ঘটেনি৷ লুগানস্কে বিদ্রোহীরা আগামী ১১ মে তাদের গণভোট অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্তে অটল৷ ওদিকে কূটনীতির অসহায়তা ক্রমেই আরো প্রকট হয়ে উঠছে৷

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর যা-ই করুক, রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সামরিক সংঘাতে যাবার কোনো প্রশ্নই ওঠে না৷ বাকি থাকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, কিন্তু সেখানেও ইউরোপীয় সহযোগীরা গড়িমসি করছে, কেননা তাদের জ্বালানির ৩০ শতাংশ আসে রাশিয়া থেকে৷ কাজেই ইউক্রেনের ঘটনাবলী এখন তাদের নিজস্ব ধারা ও যুক্তি অনুযায়ী চলছে ও চলবে: বাকি বিশ্বের প্রতিক্রিয়া দেখানো ছাড়া আর কিছু করার থাকবে না৷

এসি/ডিজি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ