1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজযুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেনে উত্তেজনা কমান, পুটিনকে বাইডেন

৮ ডিসেম্বর ২০২১

বাইডেন ও পুটিনের মধ্যে ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলন হলো। সেখানেই ইউক্রেনে উত্তেজনা কমানোর আর্জি বাইডেনের।

দুই ঘন্টার ভার্চুয়াল বৈঠক করলেন বাইডেন ও পুটিন।

মঙ্গলবার ভার্চুয়াল বৈঠক করলেন বাইডেন ও পুটিন। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে কথা বললেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। আলোচনার সিংহভাগ জুড়ে থাকল ইউক্রেন। পুটিনকে বাইডেন বললেন, তিনি যেন অবিলম্বে ইউক্রেন সীমান্তে উত্তেজনা কম করার জন্য পদক্ষেপ নেন।

ক্রেমলিন একটি ছোট ভি়ডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, পুটিন বলছেন, ''মিস্টার প্রেসিডেন্ট, আপনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।'' বাইডেনের জবাব, ''আপনাকে দেখে ভালো লাগছে। আশা করি, এর পরের বৈঠক মুখোমুখি হবে।''

বৈঠকের আগে অ্যামেরিকার কর্মকর্তারা জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেন আক্রমণ করে, তাহলে কঠোর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। বৈঠকের পর হোয়াইট হাউস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ''প্রেসিডেন্ট বাইডেন বৈঠকে জানিয়েছেন, ইউক্রেন নিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে অ্যামেরিকা ও তার বন্ধু দেশগুলি খুবই উদ্বিগ্ন। কোনোরকম সামরিক অভিযান হলে আর্থিক ও অন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।''

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ''বাইডেন আবার জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষার লড়াইয়ে অ্যামেরিকা তাদের পাশে আছে। তিনি রাশিয়াকে অবিলম্বে উত্তেজনা কমাতে বলেছেন এবং কূটনৈতিক পথ নিতে বলেছেন।''

উত্তেজনার মধ্যেই রাশিয়ার সামরিক মহড়া শুরু

03:27

This browser does not support the video element.

বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুই প্রেসিডেন্টই তাদের টিমকে পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। অ্যামেরিকা জানিয়ে দিয়েছে, তারা তাদের বন্ধু দেশগুলির সঙ্গে সহযোগিতা করে চলবে।

ক্রেমলিনও একটি বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ''ন্যাটো ইউক্রেনকে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির কাজে ব্যবহার করছে। ইউক্রেনও উসকানিমূলক কাজ করছে।''

পুটিন বৈঠকে জানিয়েছেন, ন্যাটোকেও নিশ্চয়তা দিতে হবে যে তারা আগ্রাসী মনোভাব নেবে না। ন্যাটো এখন বিপজ্জনক পদক্ষেপ নিচ্ছে। তারা রাশিয়ার সীমান্তে ইউক্রেনের এলাকা দখল করতে চাইছে। তাই রাশিয়াও ন্যাটোর কাছ থেকে গ্যারান্টি চায় যে, তারা রাশিয়ার কাছে কোনো অন্ত্র মোতায়েন করবে না এবং সম্প্রসারণের কোনো চেষ্টা করবে না।

ইউক্রেনের অভিযোগ

ইউক্রেন এর আগে অভিযোগ করেছিল, রাশিয়া তাদের সীমান্তে লাখখানেক সেনা মোতায়েন করেছে। তারা ইউক্রেন আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

মস্কো অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, তাদের সেনা আক্রমণ করবে না। দেশের সুরক্ষার জন্যই সেখানে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। 

উপগ্রহ ছবিতে দেখা যাচ্ছে, রাশিয়ার সেনা সীমান্তের কাছেই আছে। এটাই ন্যাটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে, বাইডেন ও পুটিনের মধ্যে যা আলোচনা হয়েছে, তা জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইটালিকে জানানো হবে।

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ