এক বছর আগে ইউক্রেন আক্রমণ করেছিল রাশিয়া। এখনো কোনো পক্ষই আলোচনা চাইছে না। কবে বন্ধ হবে যুদ্ধ?
বিজ্ঞাপন
গত এক বছরে দুই পক্ষের হাজার হাজার সেনা মারা গেছে। ইউক্রেনের বেশ কয়েক হাজার সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ইউক্রেনের বহু ছোট-বড় শহর ধ্বংস হয়েছে। সারা বিশ্ব জুড়ে জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। প্রতিটি দেশে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। এক বছর পরেও সংঘাত থামার চিহ্ন নেই।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিন চেয়েছিলেন, পুরো ইউক্রেন দখল করে নিতে। এখন ইউক্রেনের পাঁচভাগের একভাগ এলাকা তাদের দখলে আছে।
আর জেলেনস্কি বারবার বলেছেন, রাশিয়াকে তাদের জমি থেকে সরিয়ে দেয়ার ক্ষমতা ইউক্রেনের আছে। এমনকী ক্রাইমিয়াও তারা রাশিয়ার দখলমুক্ত করবেন।
মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন পুটিন। সেখানে আগ্রাসন বন্ধের কোনো ইঙ্গিত তিনি দেননি। তিনি ঘোষণা করেছেন, রাশিয়াকে যুদ্ধক্ষেত্রে কেউ হারাতে পারবে না। আর তিনি জানিয়েছেন, অ্যামেরিকার সঙ্গে পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের জন্য নিউ স্টার্ট চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসবেন না। বাইডেনের হঠাৎ ইউক্রেন সফরের প্রতিক্রিয়া এইভাবেই জানিয়েছেন পুটিন।
আরেকটা বিশ্বযুদ্ধের ভয়
শান্তি আলোচনা শুরু করার পক্ষে চাপ বাড়ছে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি নেয়া একটি জনমত সমীক্ষায় দেখা গেছে, জার্মানির ৫৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন, অবিলম্বে কূটনৈতিক স্তরে যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেয়া দরকার।
রাশিয়ায় ইউক্রেনের ড্রোন হামলা যুদ্ধের গতিপথ বদলাবে?
৫ ডিসেম্বর রাশিয়ার দুটি বিমানঘাঁটিতে প্রথমবারের মতো ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন৷ এই হামলা কি যুদ্ধের গতিপথ বদলাবে?
ছবি: MAXAR TECHNOLOGIES/REUTERS
রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা
৫ ডিসেম্বর রাশিয়ার এঙ্গেলস ও ডিয়াগিলেভো বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেন ড্রোন হামলা চালিয়েছে৷ দূরবর্তী এলাকায় হামলা চালাতে এই দুটি বিমানঘাঁটি ব্যবহার করে রাশিয়া৷
ছবি: MAXAR TECHNOLOGIES/REUTERS
বিশ্লেষকরা বিস্মিত
দুটি বিমানঘাঁটিরই অবস্থান ক্রেমলিন থেকে দূরে৷ তাই সেখানে ইউক্রেনের হামলা চালানোর ক্ষমতা বিশ্লেষকদের বিস্মিত করেছে৷ জার্মানির বুন্ডেসভেয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রাঙ্ক সাউয়ার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিক্রিয়া না দেখানোর বিষয়টি বিস্ময়কর - এটা হতে পারে যে, রাশিয়ার এত ভেতরে এমন হামলা হতে পারে, সেটা রাশিয়া ভাবেনি৷’’
ছবি: MAXAR/REUTERS
হামলা সম্পর্কে রাশিয়ার বক্তব্য
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, ইউক্রেনের ড্রোনগুলো ভূপতিত করা হয়েছে৷ এবং তাদের টুকরোর আঘাতে দুটি রুশ যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ তবে অনলাইনে প্রকাশিত ব্যক্তিগত সার্ভিলেন্স ক্যামেরায় তোলা ভিডিওতে দেখা গেছে, আকাশে কোনো বিস্ফোরণ হয়নি, বরং ভূমিতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে৷
ছবি: MAXAR TECHNOLOGIES/REUTERS
কোন ড্রোন?
রাশিয়া বলছে, হামলার কাজে ১৯৭০-এর দশকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের তৈরি পর্যবেক্ষণকারী ড্রোন টিইউ-১৪১ (ছবিতে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ দেখা যাচ্ছে) ব্যবহার করা হয়েছে৷ তবে কিয়েভের নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রের বরাতে নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, পাবলিক-প্রাইভেট যৌথ অংশীদারিত্বের আওতায় ইউক্রেনের তৈরি নতুন ড্রোন দিয়ে ঐ হামলা করা হয়েছে৷
ছবি: Zeljko Hladika/PIXSELL/picture alliance
ইউক্রেনের বক্তব্য
ড্রোন তৈরির কর্মসূচি বিষয়ে ইউক্রেন নীরবতা অনুসরণ করছে৷ তবে ৮ ডিসেম্বর ফেসবুক পোস্টে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ জানান, ‘‘অতীতে আমাদের সামরিক বাহিনীর জন্য বছরে এক-দুটি ড্রোন টাইপের অনুমোদন দেয়া হত৷ তবে গত ৩০ দিনে সাতটি নতুন ড্রোন টাইপের অনুমোদন দেয়া হয়েছে৷’’
ছবি: Kai Pfaffenbach/REUTERS
‘প্রতীকী গুরুত্বের চেয়েও বেশি’
রাশিয়ার এত ভেতরে ইউক্রেনের হামলা চালানোর সক্ষমতার বিষয়টি শুধু প্রতীকী অর্থে নয়, তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ, বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷ ইউক্রেনের সামরিক বিশেষজ্ঞ ওলেগ কাটকভ বলেন, ‘‘রাশিয়ার এখন তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুনরায় মোতায়েন করতে হবে, কিংবা তাদের যুদ্ধবিমানগুলো আরও দূরে নিয়ে যেতে হবে৷ সেক্ষেত্রে আরও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে হবে, যা খরচ বাড়াবে৷’’
ছবি: Sergei Savostyanov/ITAR/TASS/imago
পশ্চিমা বিশ্বের জন্য সংকেত?
ইউক্রেন অনেকদিন ধরে পশ্চিমের কাছে দূরে হামলা করার অস্ত্র চাইছে৷ যুক্তরাষ্ট্র দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম ‘হাইমার্স’ ব্যবস্থা দিলেও রাশিয়ার ভয়ে সেটির সীমা কমিয়ে দিয়েছে৷ ফলে শুধু রাশিয়া অধিৃকত এলাকায় সেটি ব্যবহার করা যাবে৷ ইউরোপিয়ান কাউন্সিল অন ফরেন রিলেসন্সের উলরিকে ফ্রাঙ্কে মনে করছেন, রাশিয়ায় হামলা চালিয়ে ইউক্রেন পশ্চিমা বিশ্বকে এই সংকেত দিয়েছে যে, তাদের ছাড়াও তারা হামলা করতে সক্ষম৷
ছবি: Roman Koksarov/AP/picture alliance
7 ছবি1 | 7
জার্মানির সমাজবাদী বামপন্থি দলের রাজনীতিক ওয়াগেনকানেক্ট এবং নারীবাদী অ্যালিস সোয়ারজার প্রচার শুরু করেছেন, অবিলম্বে আলোচনা করতে হবে এবং অস্ত্র পাঠানো বন্ধ করতে হবে। তাদের বক্তব্য, ইউরোপের সাহায্যে ইউক্রেন কোনো ছোট লড়াইয়ে জিততে পারে। কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্র যে দেশের হাতে আছে, তাদের হারাতে পারবে না। পাঁচ লাখ মানুষ তাদের আবেদনপত্রে সই করেছেন।
জার্মানিতে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত একটি ওয়েবসাইটকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেছেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলির এই উদ্বেগ তিনি বুঝে উঠতে পারেন না। ইউক্রেন তো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মধ্যেই আছে।
ইউক্রেন পুরো এলাকা উদ্ধার করতে চায়
ন্যাটোর জেনারেল সেক্রেটারি স্টলটেনবার্গ ডিডাব্লিউকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ইউক্রেনের পক্ষে শান্তির জন্য একতরফা পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব নয়। তাহলে স্বাধীন দেশ হিসাবে তারা আর থাকতে পারবে না।
তার মত ছিল, ইউক্রেনের স্বাধীনতা বজায় রাখার জন্যই পশ্চিমা দেশকে অস্ত্রসাহায্য করে যেতে হবে। জার্মানির লিওপার্ড ২ কামান যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনকে সাহায্য করবে।
ইউক্রেনের আশা, এই অত্যাধুনিক কামান তাদের রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করার কাজে সাহায্য করবে। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ নিকো ল্যাঙ্গে বলেছেন, ইউক্রেন যে আবার তাদের পুরো জমি উদ্ধারের স্বপ্ন দেখছে, তা বাস্তবসম্মত। রাশিয়ার সেনার উপর চাপ পড়লে তারা আলোচনার টেবিলে বসতে বাধ্য হবে।
ক্রাইমিয়া নিয়ে
ল্যাঙ্গে মনে করছেন, রাশিয়া বিপক্ষকে মানসিকভাবে চাপে রাখতেই পরমাণু অস্ত্রের ভয় দেখাচ্ছে। তিনি মনে করেন, শান্তি আলোচনা শুরু করা ও সফল হওয়ার জন্য ইউক্রেনকে ক্রাইমিয়া দখল করতে হবে। তাহলে রাশিয়া চাপে পড়ে যাবে। পুটিনেরও মুখ পুড়বে।
কিন্তু অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার হেলমুট গ্যানসের মনে করেন, যদি ইউক্রেনের ট্যাংক ক্রাইমিয়ার দিকে যায়, তাহলে পুটিন যুদ্ধক্ষেত্রকে প্রসারিত করে দেবেন। তিনি তখন ইউক্রেনের প্রতিবেশী কিছু দেশকে আক্রমণ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ইউরোপ আরো বিপাকে পড়ে যাবে।
কী করলে রাশিয়া আলোচনায় বসবে?
এই বিষয়ে নানা ধরনের মত আছে। একটা মত হলো, রাশিয়ার উপর সামরিক চাপ বজায় রাখতে হবে। তাহলেই তারা আলোচনায় বসবে।
লিওপার্ড টু ট্যাঙ্ক কী, ইউক্রেন কেন তা চাইছে?
যুদ্ধ তাড়াতাড়ি শেষ করতে জার্মানির তৈরি লিওপার্ড টু ট্যাঙ্ক চাইছে ইউক্রেন৷ কিন্তু জার্মানি তা দিতে চাইছে না৷ কিন্তু কেন, আর কেনইবা লিওপার্ড টু ট্যাঙ্ক এত গুরুত্বপূর্ণ?
ছবি: Philipp Schulze/dpa/picture-alliance
লিওপার্ড টু ট্যাঙ্ক চায় ইউক্রেন
ইউক্রেন ও তার মিত্ররা মনে করছে, রাশিয়া ইউক্রেনের যে অংশগুলো দখল করেছে সেগুলো থেকে রুশদের সরাতে পারলে যুদ্ধ তাড়াতাড়ি শেষ করা যাবে৷ কিন্তু সেটা করতে হলে জার্মানির তৈরি লিওপার্ড টু এর মতো ট্যাঙ্ক দরকার বলে জানিয়েছে ইউক্রেন৷ কারণ তাদের কাছে থাকা ট্যাঙ্কগুলো সেই সোভিয়েত আমলের৷
ছবি: Michael Kappeler/dpa/picture alliance
কেন লিওপার্ড টু?
১৯৭৯ সাল থেকে এই ট্যাঙ্ক ব্যবহৃত হয়ে আসছে৷ এটি প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে৷ সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৬৮ কিলোমিটার৷ এতে ১২০ মিমি নলের বন্দুক ছাড়াও আছে দুটি লাইট মেশিন গান৷ যুক্তরাষ্ট্রের আব্রামস ট্যাঙ্কের চেয়ে লিওপার্ড টু চালাতে কম জ্বালানি লাগে বলে ইউক্রেনের জন্য এটি বেশি উপযোগী মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷
ছবি: Moritz Frankenberg/dpa/picture-alliance
ইউরোপে বহুল ব্যবহৃত
ইউরোপের এক ডজনেরও বেশি দেশে বর্তমানে দুই হাজারেরও বেশি লিওপার্ড টু ব্যবহৃত হচ্ছে৷ ক্যানাডাও এটি ব্যবহার করছে৷ কসোভো, বসনিয়া, আফগানিস্তান ও সিরিয়া এটি ব্যবহৃত হয়েছে৷
ছবি: Michael Kappeler/dpa/picture alliance
জার্মানির চাওয়া
জার্মানি এখন পর্যন্ত ইউক্রেনকে সাঁজোয়া যানসহ অনেক অস্ত্র দিলেও একা লিওপার্ড ২ ট্যাঙ্ক দিতে রাজি হচ্ছে না৷ কারণ তারা মনে করছে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনকে যা দেয়া হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হচ্ছে লিওপার্ড টু- যা একটি সমস্যার বিষয় বলে মনে করছে জার্মানি৷ তবে কোনো জোটের আওতায় ইউক্রেনকে ট্যাঙ্ক দেয়া হলে তার অংশ হিসেবে লিওপার্ড টু দেয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছে জার্মানি৷
ছবি: Moritz Frankenberg/dpa/picture-alliance
পোল্যান্ড দিতে চায়
পোল্যান্ড বলেছে তারা ইউক্রেনকে লিওপার্ড টু দিবে৷ কিন্তু জার্মানির অনুমতি ছাড়া পোল্যান্ড সেটি ইউক্রেনকে দিতে পারবে না৷ তবে রোববার জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক জানিয়েছেন, পোল্যান্ড ইউক্রেনকে ওই ট্যাঙ্ক পাঠালে জার্মানি আপত্তি করবে না৷
ছবি: Michael Kappeler/dpa/picture-alliance
৩০০, নাকি ১০০?
ইউক্রেন বলছে, তাদের ৩০০টি লিওপার্ড টু ট্যাঙ্ক দরকার৷ তবে পশ্চিমা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ১০০টি ট্যাঙ্ক হলেই যুদ্ধের ভারসাম্যে পরিবর্তন আনা সম্ভব হতে পারে৷
ছবি: Philipp Schulze/dpa/picture-alliance
6 ছবি1 | 6
জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস বলে দিয়েছেন, জার্মানি কোনোভাবেই যুদ্ধের মধ্যে ঢুকবে না। সেকারণেই ট্যাংক পাঠাতে দেরি করেছে জার্মানি। আন্তর্জাতিক নিয়মানুসারে, সেনা পাঠালেই যুদ্ধে অংশ নেয়া বোঝায়। যেটা জার্মানি কোনোভাবেই করতে চায় না।
ইউক্রেনের সমর্থক দেশগুলির মধ্যে কয়েকটি দেশের মত হলো, ইউক্রেনকেও শান্তির জন্য এগোতে হবে। নাহলে কখনই শান্তি আসবে না।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ জোহানেস ভারউিক মনে করেন, ইউক্রেনকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থাকতে হবে। তাহলেই রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি হতে পারে। সেক্ষেত্রে ক্রাইমিয়া থেকেও রাশিয়া সরে আসতে পারে।
চীনের ভূমিকা
মিউনিখ সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকে চীন জানিয়েচে, তারা শীঘ্রই একটা শান্তিপ্রস্তাব দিচ্ছে। তবে তাতে কী তাকবে তা তারা জানায়নি।
তবে পশ্চিমা দেশগুলি এই প্রস্তাব নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান। চীনের প্রস্তাব মেনে যুদ্ধ থামবে বলে তারা মনে করছেন না।