ইউক্রেন গিয়ে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করলেন জার্মানির বিরোধী নেতা ফ্রিডরিক মার্জ। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরপিনেও গেলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
রাশিয়ার হামলার পর জার্মানির চ্যান্সেলার শলৎস এখনো ইউক্রেনে যাননি। তবে জার্মানির রক্ষণশীল বিরোধী দল সিডিইউ নেতা ফ্রিডরিক মার্জ মঙ্গলবার ইউক্রেন সফরে যান।
মার্জ কিয়েভের কাছের শহর ইরপিন ঘুরে দেখেন। একসময় এই শহর রাশিয়া দখল করে নিয়েছিল। এখন তা আবার ইউক্রেনের অধিকারে এসেছে। তিনি সেখানকার মেয়রের সঙ্গে দেখা করার পর জানিয়েছেন, ''এখানে যা হয়েছে তা নিজের চোখে দেখলাম। যারা এই ঘটনায় ভুক্তভোগী, তাদের অসাধারণ প্রয়াসের সাক্ষী থাকলাম।''
মার্জ বলেছেন, তিনি মনে করেন, ইউক্রেনে আবার নতুন করে সবকিছু গড়ে তোলার কাজে জার্মানির সাহায্য করা উচিত।
সিডিইউ নেতা পরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করেন। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বৈঠক খুবই ভালো হয়েছে। বৈঠকের পরিবেশ ও আলোচনার বিষয়বস্তু দুইই খুব ভালো ছিল। পরে মার্জ ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেন।
বার্লিন এসে স্কুলে ফিরছে ইউক্রেনের শিশুরা
যুদ্ধের কারণে নানা দেশে ছড়িয়ে পড়েছেন ইউক্রেনীয়রা৷ অনেকেই এসেছেন বার্লিনে৷ জার্মানির রাজধানীতে এসে আবার স্কুলে ফিরছে ইউক্রেনের শিশুরা৷ দেখুন ছবিঘরে..
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
পুরোনো অভ্যাসে
আর্চে নামের একটি সংস্থা ‘ইউক্রেনের জন্য ক্লাসরুম’ নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে৷ সেখানেই শরণার্থী হিসেবে বার্লিনে আসা খুদে পড়ুয়াদের প্রাথমিক স্কুলে ফেরার ব্যবস্থা হয়েছে৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
মন দিয়ে অঙ্ক
কামিলা নামের এই মেয়েটির পরিবারও বার্লিনে আশ্রয় নিয়েছে ৷ নতুন দেশে এসে স্কুলজীবনে ফিরতে পেরেছে সে৷ মন দিয়ে সে অঙ্ক কষছে ক্লাসে৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
নতুন বন্ধু
নতুন বন্ধু সোফিয়াকে খুঁজে পেয়েছে কামিলা৷ সোফিয়াও যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বাড়ির সবার সঙ্গে বার্লিনে চলে এসেছে৷ সোফিয়া কী লিখছে খাতায়? কামিলা সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
পড়াশোনাই বেঁচে থাকার রসদ
শরণার্থী শিশুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে অন্যতম হাতিয়ার পড়াশোনা৷ সেই ব্যবস্থাই করা হয়েছে এই প্রকল্পে৷ সোফিয়া কিন্তু বেশ মনোযোগী ছাত্রী, বোঝাই যাচ্ছে৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
মাতৃভাষায় শিক্ষা
ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের পাশে থাকতে জার্মানির অনেক স্বেচ্ছাসেবক এগিয়ে এসেছেন৷ বেসরকারি একাধিক সংস্থা এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে৷ পড়াশোনা সহজ করে তুলতে ইউক্রেনীয় শিশুদের মাতৃভাষায় পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছে আর্চে৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
নতুন ক্লাসরুমে
নিজের দেশ, প্রিয় ঘর সব ছেড়ে আসতে হয়েছে খুদে পড়ুয়াদের৷ তবে স্কুল যখন শুরু হয়েছে, তখন নতুন বন্ধুও তো হবে৷ সবাই মিলে আবারও ক্লাসরুমে ফেরা৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
পাশে শিক্ষকরা
শিক্ষকরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন, যাতে ইউক্রেনীয় পড়ুয়ারা নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারে, পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারে৷ তারা বেশ মন দিয়ে শিক্ষিকার কথা শুনছে৷ তবে পিছনের বেঞ্চে দুই খুদে হেসে গল্পও করে নিচ্ছে চুপিচুপি৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
মন দিয়ে নোট
শিক্ষিকা কী বলছেন, কেউ মন দিয়ে শুনছে৷ আবার কেউ খাতায় লিখে রাখছে৷ এই খুদে পড়ুয়াদের মুখেচোখে শান্তির হাসি৷ ছোটদের মুখে এমন হাসিই তো মানায়৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
পড়াশোনার আনন্দ
রোজের রুটিনে শিশুগুলিকে ফিরিয়ে আনতে তৎপর সংস্থা৷ পিঠে ব্যাগ নিয়ে নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে শিশুরা৷ ইউক্রেন থেকে জার্মানির বার্লিনে এসে নতুন করে বাঁচার চেষ্টা করছে তারাও৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
রাঙা হাসি রাশি রাশি
এক বন্ধুর সঙ্গে খেলায় মেতেছে পাউলিনা৷ ওর মুখের হাসিটা দেখুন একবার৷ শহীদ কাদরির লেখা সেই গানটা কি মনে পড়ছে না? ‘বোমা নয়, গুলি নয়, চকোলেট টফি রাশি রাশি’ যেন ওর কাছে প্যারাট্রুপারের মতো হাজির হয়েছে৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
ছবি আঁকার জগতে
রং-তুলির টানে নিজের ফেলে আসা দেশকে মনে রেখেছে পড়ুয়ারা৷ ইউক্রেনের জাতীয় পতাকার রঙে রাঙিয়ে তুলেছে আঁকার খাতা৷ পাশাপাশি, জার্মানির প্রতিও ভালোবাসার প্রকাশ রয়েছে তাদের ছবিতে৷
ছবি: Lisi Niesner/REUTERS
11 ছবি1 | 11
বিতর্কিত সফর
মার্জ হলেন সাবেক চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের দলের নেতা। গত জানুয়ারিতে তিনি সিডিইউ-র নেতা নির্বাচিত হন। সিডিইউ ১৬ বছর পর সম্প্রতি ফেডারেল নির্বাচনে হেরে গেছে এবং শলৎস চ্যান্সেলর হয়েছেন।
ইউক্রেন-নীতি নিয়ে শলৎস সম্প্রতি সমালোচনার মুখে পড়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, তিনি ইউক্রেনে ভারী অস্ত্র পাঠানো নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন এবং তিনি ইউক্রেন সফরেও যাননি। শলৎস জানিয়েছেন, জার্মানির প্রেসিডেন্টকে কিয়েভে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি ইউক্রেন। ইউক্রেন তার সঙ্গে অতীতে রাশিয়ার সম্পর্কের কথা তুলে আপত্তি জানিয়েছিল। এটাই তার সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করেছে। ইউক্রেন অবশ্য জানিয়েছে, শলৎস যে কোনো সময়ে কিয়েভ যেতে পারেন। তাকে ইউক্রেনে স্বাগত জানানো হবে।