কিয়েভের উপকণ্ঠে তুমুল যুদ্ধ চললেও আশেপাশের শহরগুলো এখনও ইউক্রেনীয় সৈন্যদের দখলে রয়েছে৷ এমন তথ্য জানিয়ে দেশটিতে বাংলাদেশের অনারারি কনস্যুলেটের অ্যাডভাইজার মাহবুবুল আলম বলেন, এই প্রতিরোধ আরো অনেকদিন চলবে বলে মনে করেন তিনি৷
বিজ্ঞাপন
ইউক্রেনে রুশ হামলার পর দেশটি থেকে বহু বাংলাদেশি আশেপাশের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন৷ মাহবুবুল আলম জানান, তাদের হিসাবে আনুমানিক দেড় হাজার বাংলাদেশি ইউক্রেনে বসবাস করতেন৷ ‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' ইউটিউব টকশোতে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের নির্দেশে ইউক্রেন যুদ্ধের পরে এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া হয়৷ আমরা প্রাথমিকভাবে যে খবর পেয়েছি তাতে দেড় হাজারের মতো বাংলাদেশি আছেন৷ তাদের অধিকাংশ বা আনুমানিক পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশি পোল্যান্ডে চলে গেছেন৷ তবে সঠিক সংখ্যাটা এই মুহূর্তে জানানো কঠিন৷ এর বাইরে হাঙ্গেরি, রোমানিয়াতেও অনেকে গেছেন৷’’
তারপরও দেশটির বিভিন্ন শহরে কিছু বাংলাদেশি এখনও রয়েছেন৷ এরমধ্যে রাজধানী কিয়েভে ২৫ থেকে ৩০ জন আছেন বলে জানান তিনি৷ ‘‘নিরাপদ মনে না করলেও তারা বিভিন্ন কারণে শহরটিতে থেকে গেছেন বা বাধ্য হয়েছেন,’’ বলেন মাহবুবুল৷
বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া
ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কিয়েভ চতুর্দিক থেকে ঘেরা হলেও এখনও আত্মসমর্পণের বিষয়ে সঠিক তথ্য আমাদের কাছে নেই৷ আমার মনে হয় এই প্রতিরোধ আরো অনেকদিন চলবে৷ যদি না খারকিভের মতো বড় ধরনের বিমান হামলা হয়৷ খারকিভেও বড় বিমান হামলা হলেও পতন কিন্তু হয়নি৷’’
৩০ থেকে ৩৫ লাখ জনগোষ্ঠীর কিয়েভের বেশিরভাগ নারী ও শিশু বাসস্থান ছাড়লেও এখনও অনেকে বাসিন্দা শহরে রয়েছেন বলে জানান তিনি৷ সেখানকার পরিস্থিতি বর্ণনা করে বলেন, ‘‘কিয়েভে স্বাভাবিক জীবন একেবারেই নেই৷ কারফিউ চলছে সবসময়৷ শুধু খাবার দাবার, গ্রোসারি শপ, ওষুধের দোকান ছাড়া আর সব বন্ধ৷ তবে লেভিভে পরিস্থিতি তার তুলনায় স্বাভাবিক৷’’
যুদ্ধ থেকে বাঁচতে ইউক্রেন থেকে প্রায় তিন থেকে পাঁচশ বাংলাদেশি মেডিকা সীমান্ত দিয়ে পোল্যান্ডে ঢুকেছেন৷ মঙ্গলবার বাংলাদেশিদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করে পোল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাস৷ কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশিও এগিয়ে এসেছেন৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
সাড়ে ছয় লাখের বেশি মানুষ ইউক্রেন ছেড়েছে
যুদ্ধ থেকে বাঁচতে ইউক্রেনের মানুষ দেশ ছাড়ছে৷ তাদের বেশিরভাগই পোল্যান্ডে ঢুকছেন৷ পোল্যান্ড-ইউক্রেন সীমান্তের সবচেয়ে ব্যস্ত ক্রসিং হচ্ছে মেডিকা৷ এই সীমান্ত দিয়ে ইউক্রেনের নাগরিক ছাড়াও ইউক্রেনে বাস করা বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ অনেক দেশের নাগরিক পোল্যান্ডে ঢুকছেন৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
বাসের ব্যবস্থা
মেডিকা সীমান্তে আসা বাংলাদেশিদের জন্য মঙ্গলবার বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করে বাংলাদেশ দূতাবাস৷ বাসটি আজ বুধবার পর্যন্ত সেখানেই থাকার কথা৷ সীমান্ত পেরিয়ে আসা বাংলাদেশিরা বাসটিতে বিশ্রাম ও আশ্রয় নিতে পারছেন৷ সেখানে তাদের খাবারসহ বিভিন্ন কিছু সরবরাহ করা হচ্ছে৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ
বাংলাদেশিদের দেখাশোনা করতে মেডিকায় উপস্থিত আছেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা অনির্বাণ নিয়োগী (বামে)৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি মঙ্গলবার জানান, ‘‘আমাদের কয়েকটা হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ আছে৷ হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে এবং ব্যক্তিগতভাবে সবাই আমাকে জানাচ্ছেন৷ মোবাইলে যখনই আমরা তথ্য পাচ্ছি, কারো সহায়তা দরকার, সঙ্গে সঙ্গে আমরা নিজেরাই সেখানে যাচ্ছি বা রিসোর্স মোবিলাইজ করছি৷’’
ছবি: Arafatul Islam/DW
প্রবাসীরাও এগিয়ে এসেছেন
পোল্যান্ডে অবস্থানরত বাংলাদেশিরাও স্বদেশিদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন৷ যেমন হামিম নামের এক ব্যক্তি ডয়চে ভেলেকে মঙ্গলবার জানান, তিনি চাকরি থেকে ছুটি নিয়ে ৬০০ কিলোমিটার দূর থেকে খাবার, পানি নিয়ে এসেছেন৷ ইউক্রেন থেকে আসা বাংলাদেশিরা যেন বুঝতে পারেন সেজন্য তিনি পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন৷ মানবিক ও নৈতিক কারণে তিনি সেখানে গিয়েছেন বলে জানান৷ দূতাবাস ওয়ারশোতে বাংলাদেশিদের থাকার ব্যবস্থা করেছে বলে জানান হামিম৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
বাংলাদেশিদের আশ্রয় দান
পোল্যান্ডে বাস করা বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মঙ্গলবার জানান, পোল্যান্ডে বাস করা বাংলাদেশিরা ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ডে যাওয়া ২৫ থেকে ৩০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আশ্রয় দিয়েছেন৷ নিজের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান থেকে ছুটি নিয়ে মেডিকায় গিয়েছেন মেহেদী৷ ইউক্রেন থেকে আসা বাংলাদেশিদের পোল্যান্ড সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহায়তা করেন তিনি৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
রেলস্টেশনে আশ্রয়
মেডিকা সীমান্তের পশ্চিমে অবস্থিত একটি শহর শেমিসেল৷ সেখানকার রেলস্টেশনে আশ্রয় নিয়েছেন অনেক শরণার্থী৷ তাদের বিস্কুট, পানি, মিষ্টি জাতীয় খাবার ছাড়াও গরম খাবার ও অন্যান্য খাবার দিয়ে সহায়তা করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা৷ শরণার্থীরা যেন বিশ্রাম নিতে পারেন সেজন্য কিছু বিছানারও ব্যবস্থা করা হয়েছে৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
দীর্ঘপথ হাঁটা
সীমান্ত পার হওয়ার পথে দীর্ঘ যানজটের কারণে শরণার্থীদের অনেকটা পথ হেঁটে পার হতে হয়েছে৷ প্রায় ৩৫-৪০ কিলোমিটার পথ হাঁটতে হয়েছে বলে ডয়চে ভেলে বাংলার প্রতিবেদক আরাফাতুল ইসলামকে জানিয়েছেন কয়েকজন বাংলাদেশি৷ এদের একজন মুজাহিদুল এতটা পথ হাঁটতে গিয়ে তার পায়ে ফোসকা পড়ার বিষয়টি দেখিয়েছেন৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
ওয়ারশোতে যুদ্ধের প্রভাব
পোল্যান্ডের রাজধানীতে থাকেন পার্থ প্রতীম মজুমদার৷ তিনি বলছেন, ‘‘ওয়ারশোর বাসিন্দারা ইউক্রেনীয়দের প্রতি সহানুভূতিশীল৷ যুদ্ধের প্রতিবাদে সেখানে বিক্ষোভ হয়েছে৷ অনেকে শরণার্থীদের জন্য রিলিফ সংগ্রহের চেষ্টা করছেন৷’’ তবে অল্প সংখ্যক ওয়ারশোবাসী ইউক্রেন যুদ্ধ পোল্যান্ডেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে অতিরিক্ত খাবার জোগাড় করে রাখছেন, এটিএম থেকে টাকা তুলে রাখছেন বলেও জানান পার্থ৷
ছবি: Arafatul Islam/DW
8 ছবি1 | 8
তিনি আরো বলেন, ‘‘কিয়েভের উপকণ্ঠে তুমুল যুদ্ধ চললেও এখন পর্যন্ত শহরগুলো ইউক্রেনের সৈন্যদের দখলেই রয়েছে৷''
রাশিয়ার দাবি, তারা শুধু ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনার উপর হামলা চালাচ্ছে৷ তবে মাহবুবুল আলম মনে করেন চিত্রটি ভিন্ন৷ তিনি বলেন, ‘‘খারকিভ সবচেয়ে বেশি এথনিক রুশদের শহর৷ সেই শহরে সিভিল সেক্টরে প্রচুর ক্লাস্টার বোম্বিং হয়েছে৷ বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস হয়ে গেছে৷ একই ঘটনা ঘটেছে অন্যান্য শহরেও৷’’
রুশ-ইউক্রেনের ঐতিহাসিক সম্পর্ক ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘‘আমরা এখানে যারা আছি তাদের এটা বিশ্বাস করতেই কষ্ট হয় যে, রাশিয়া ইউক্রেনকে আক্রমণ করতে পারে৷ এটা মিলিটারি অপারেশন নয় এটা একটা সার্বিক যুদ্ধ৷ ...দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক নিয়মে কোন কারণেই একটি দেশে এমন সার্বিক হামলা হতে পারে না৷’’
উদ্বেগে আছেন রাশিয়ার বাংলাদেশিরাও
অনুষ্ঠানে রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে যোগ দেন বাংলাদেশি প্রবাসী বারেক কায়সার৷ তিনি রাশিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি বর্ণনা করে বলেন, ‘‘যুদ্ধের শুরুতেই পশ্চিমা দেশগুলো যখন নিষেধাজ্ঞা দেয়া শুরু করল তখনই এক ধরনের অস্থিরতা লক্ষ্য করা গেছে রাশিয়াতে৷ ব্যাংকগুলো থেকে টাকা তোলার চেষ্টা করছিলেন এখানকার নাগরিকরা৷ বিশেষ করে যারা বিদেশি আছেন তারা ক্যাশ টাকা হাতে রাখার চেষ্টা করছিলেন৷ রাশিয়ানরা নিত্যপ্রয়োজনীয় যেসব বাজার আছে সেগুলো সাধারণভাবে তারা যত বাজার করেন তার চেয়ে কয়েকগুণ কিনে রাখার চেষ্টা করছেন৷’’
তিনি জানান, যুদ্ধের প্রভাবে দেশটির বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে৷ সার্বিক পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশিরাও৷ বলেন, ‘‘শিক্ষার্থীরা যারা দীর্ঘদিন ধরে এখানে রয়েছেন তাদের স্বজনরা এর আগে চিন্তিত ছিলেন না তাদের নিয়ে৷ কিন্তু ইউক্রেন-রাশিয়া সংকটের পরে বা রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর থেকে তারা এক ধরনের চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন৷ যদিও এই হামলায় এখন পর্যন্ত সরাসরি রাশিয়া আক্রান্ত হয়নি৷ কিন্তু স্বজনরা আসলে উদ্বিগ্ন৷ যারা বাংলাদেশি সিনিয়র সিটিজেন রয়েছেন বা দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন তারা এই পরিস্থিতির সঙ্গে অনেকটা অভ্যস্ত৷’’
অবশ্য সার্বিকভাবে মস্কোর জীবনযাত্রা স্বাভাবিক আছে বলেই জানান বারেক কায়সার৷ এই গবেষকের মতে দেশটির বেশিরভাগ মানুষ প্রেসিডেন্ট পুটিনকে সমর্থন দিচ্ছেন৷ তবে বিরোধী মতও রয়েছে৷ অংশগ্রহণ কম হলেও ৫২টি শহরে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে বলে জানান তিনি৷
এফএস/এআই
ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিচ্ছে যারা
ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে৷ রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে জ্যাভলিন অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক উইপন ও স্টিঙ্গার মিসাইল চেয়েছে ইউক্রেন৷
ছবি: Efrem Lukatsky/AP/dpa/picture alliance
যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনকে আরও অতিরিক্ত ৩৫০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র দেয়ার নির্দেশ দেন৷ এর মধ্যে জ্যাভলিন (ছবি) এবং স্টিঙ্গারও রয়েছে৷ এছাড়া সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের জন্য বর্ম, ছোট অস্ত্র, অ্যান্টি-আর্মার থাকার কথা জানিয়েছে পেন্টাগন৷ ইতিমধ্যে জার্মানিতে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রের সংগ্রহশালা থেকে সেগুলো পোল্যান্ড হয়ে ইউক্রেনে পাঠানো হচ্ছে৷
ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইইউ নেতারা কিয়েভে ৪৫০ মিলিয়ন ইউরোর অস্ত্র সরবরাহ করতে একমত হয়েছেন৷
ছবি: John Thys/AFP/Getty Images
জার্মানি
সংঘাত চলছে এমন জায়গায় এতদিন অস্ত্র না পাঠানোর নীতি অনুসরণ করত জার্মানি৷ তবে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেনে এক হাজার অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক উইপন ও ৫০০ স্টিঙ্গার সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানি৷ এছাড়া সোভিয়েতদের তৈরি ২,৭০০ ‘স্ট্রেলা’ অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট মিসাইলও (ছবি) পাঠানোর অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে৷
ছবি: gemeinfrei
ফ্রান্স
ইউক্রেনের অনুরোধে ডিফেন্সিভ অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট ও ডিজিটাল উইপন পাঠিয়েছে ফ্রান্স৷
ছবি: Reuters/P. Wojazer
যুক্তরাজ্য
গত জানুয়ারিতে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস ইউক্রেনকে হালকা অ্যান্টি-আর্মার ডিফেন্সিভ উইপন সিস্টেম দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন৷ ২৩ ফেব্রুয়ারি ডাউনিং স্ট্রিট ‘লিথাল ডিফেন্সিভ উইপন’ দেয়ার অঙ্গীকার করে৷ ছবিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনকে ইউক্রেনের পতাকার রংয়ে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Jeff J Mitchell/Getty Images
পোল্যান্ড
কয়েক হাজার শেল ও আর্টিলারি অ্যামুনিশন, অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট মিসাইল, লাইট মর্টার (প্রতীকী ছবি) এবং শত্রুপক্ষের অবস্থান জানার জন্য ড্রোন ও অস্ত্র পাঠানোর অঙ্গীকার করেছে পোল্যান্ড৷
ছবি: Sgt Paris/Capers /UPI Photo/imago
সুইডেন, ডেনমার্ক
নিরপেক্ষ থাকার নীতি ভেঙে পাঁচ হাজার ‘এটি৪ অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক উইপন’ (ছবি) পাঠাচ্ছে সুইডেন৷ ডেনমার্ক পাঠাচ্ছে দুই হাজার ৭০০টি অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক উইপন৷
ছবি: StockTrek Images/imago images
নরওয়ে
নরওয়ে হেলমেট ও বর্ম ছাড়া প্রায় দুই হাজারের মতো এম৭২ অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক উইপন (ছবি) পাঠাচ্ছে৷
ছবি: U.S. Marines/ZUMA Wire/imago images
এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া
এস্তোনিয়া জ্যাভলিন মিসাইল এবং লিথুয়ানিয়া ও লাটভিয়া স্টিঙ্গার সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল দিচ্ছে৷ ১২ ফেব্রুয়ারির এই ছবিতে লিথুয়ানিয়ার সৈন্যদের ইউক্রেনে পাঠানোর জন্য স্টিঙ্গার মিসাইল ও বর্ম বিমানে তুলতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Lithuanian Ministry of National Defense/AP/picture alliance
ফিনল্যান্ড
দেড় হাজার সিঙ্গেল শট অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক উইপন, আড়াই হাজার অ্যাসল্ট রাইফেল (প্রতীকী ছবি), দেড় লাখ রাউন্ড গুলি পাঠাচ্ছে ফিনল্যান্ড৷
ছবি: Bernd Weißbrod/dpa/picture alliance
নেদারল্যান্ডস
২০০টি স্টিঙ্গার এয়ার ডিফেন্স রকেট (ছবি) এবং ৪০০ রকেটসহ ৫০টি অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক উইপন পাঠানো হবে বলে ২৬ ফেব্রুয়ারি সংসদকে জানায় সরকার৷
ছবি: LEILA GORCHEV/AFP/Getty Images
বেলজিয়াম
আরও তিন হাজার অটোমেটিক রাইফেল (প্রতীকী ছবি), ২০০ অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক উইপন ও ৩,৮০০ টন জ্বালানি পাঠাচ্ছে৷
কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেনে চার হাজার মর্টার, ৩০ হাজার পিস্তল, সাত হাজার অ্যাসল্ট রাইফেল, তিন হাজার মেশিন গান, অনেকগুলো স্নাইপার রাইফেল (প্রতীকী ছবি) ও দশ লাখ বুলেট পাঠানো হবে বলে শনিবার জানিয়েছিল দেশটি৷