ইউক্রেনে নতুন উত্তেজনা
২৩ মে ২০১৪শুক্রবার নির্বাচনি প্রচারের শেষ দিনে প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয় করার শেষ চেষ্টা চালিয়েছেন৷ কিন্তু রাশিয়ার সীমান্তের কাছে বিদ্রোহীদের হামলায় ১৭ জন সৈন্যের মৃত্যুর ঘটনা প্রচারাভিযানের উপর কালো ছায়া ফেলেছে৷ ইউক্রেনের প্রশাসন সরাসরি রাশিয়াকে এই উত্তেজনার জন্য দায়ী করছে৷ সংঘাত আরও বাড়াতে ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বানচাল করতেই মস্কো কলকাঠি নাড়ছে বলে কিয়েভ-এর অভিযোগ৷ শুধু তাই নয়, সীমান্তে রুশ সৈন্যসংখ্যা কমানোর বদলে বাড়ানো হচ্ছে৷ সীমান্তের ওপার থেকে সশস্ত্র সন্ত্রাসবাদীও ইউক্রেনে পাঠানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী আর্সেনি ইয়াৎসেনিয়ুক৷
রাশিয়া অবশ্য এই সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে আসছে৷ বৃহস্পতিবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছিল যে, চারটি ট্রেন ও ১২টির বেশি বিমানে করে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সৈন্য ও সরঞ্জাম সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে৷ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করার স্বার্থে এই পদক্ষেপ নিচ্ছেন বলে জানানো হয়৷ পুটিন অবশ্য স্পষ্ট বলেছেন, নির্বাচনের চেয়ে ইউক্রেনের সব অঞ্চলের মানুষের সম্পর্কের উন্নতি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, যাতে সবাই নিজেদের পূর্ণ অধিকারপ্রাপ্ত নাগরিক হিসেবে মনে করতে পারে৷ শুক্রবারও রুশ উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী আনাটোলি আন্টোনভ বলেন, কয়েক দিনের মধ্যেই সৈন্য প্রত্যাহারের কাজ ১০০ শতাংশ পূর্ণ হবে৷
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল শুক্রবার পুটিনের উদ্দেশ্যে ইউক্রেনের নির্বাচন সম্পর্কে ওএসসিই-র মূল্যায়ন মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷ এক দিন আগে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ার বলেছিলেন, যারা কিয়েভের বর্তমান সরকারের বিরোধিতা করছে, তাদের নিজেদের স্বার্থেই এই নির্বাচনের প্রতি সমর্থন জানানো উচিত৷
জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী রবিবারের নির্বাচনে পেট্রো পোরোশেঙ্কো-র জয়ের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি৷ ৪৮ বছর বয়স্ক এই চকোলেট ও কনফেকশানারি ব্যবসায়ী প্রায় ৪৫ শতাংশ ভোট পেতে চলেছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে৷ তাঁর প্রায় ২০ জন প্রতিদ্বন্দ্বী সে তুলনায় অনেক পিছিয়ে আছেন৷ এমনকি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইয়ুলিয়া টিমোশেঙ্কো মাত্র ৭.৫ শতাংশ ভোট পাবেন বলে সমীক্ষায় পূর্বাভাষ দেওয়া হয়েছে৷
এসবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স, এপি)