ইউক্রেনের একটি বন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশি জাহাজে গোলার আঘাত। একজন প্রকৌশলীর মৃত্যু হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে দাঁড়িয়ে ছিল বাংলাদেশের জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধি। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার পর আটকে পড়েছিল জাহাজটি। বুধবার ইউক্রেনের সময় বিকেল নাগাদ জাহাজটিতে রাশিয়ার ছোঁড়া একটি গোলা এসে লাগে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তারই জেরে জাহাজে আগুন লেগে যায়। মৃত্যু হয় এক প্রকৌশলীর। তার নাম হাদিসুর রহমান। তিনি জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।
বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর সুমন মাহমুদ সাব্বির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, ''ওই জাহাজে একটা শেল হিট করেছে। সেটা ব্রিজেই বিস্ফোরিত হয়। সেখানে কর্মরত থাকা অবস্থায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা গেছেন। জাহাজের বাকি ২৮ জন অক্ষত আছেন। আগুন নেভানো হয়েছে।''
রাশিয়া-ইউক্রেন লড়াইয়ের সাতদিন
সপ্তম দিনে লড়াই আরো তীব্র হয়েছে। ইউক্রেনের একটি শহর রাশিয়া দখল করেছে বলে সরকারিভাবে জানিয়েছে।
ছবি: Emilio Morenatti/dpa/AP/picture alliance
খেরসন রাশিয়ার কব্জায়
খেরসনের রাস্তায় রাশিয়ার সেনা ট্রাক। বুধবার রাতে রাশিয়া জানিয়েছে, অঞ্চলটি তারা দখল করে নিয়েছে।
ছবি: REUTERS
ইউক্রেনের বক্তব্য
খেরসনের মেয়র জানিয়েছেন এলাকা এখনও তাদের দখলে। লড়াই চলছে। পেন্টাগনও একই কথা বলেছে। খেরসনের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে রাশিয়ার ট্যাঙ্ক এবং সাজোয়া গাড়ি।
ছবি: REUTERS
কিয়েভের চিত্র
কিয়েভের খুব কাছে লাগাতার বোমা এবং রকেট ছুঁড়ছে রাশিয়া। ইউক্রেনের সেনাও পাল্টা জবাব দিচ্ছে।
ছবি: Alexander Ermochenko/REUTERS
ভাঙা ব্রিজে ইউক্রেনের সেনা
কিয়েভের খুব কাছে বোমার আঘাতে ভেঙে গেছে এই সেতুটি। ভাঙা সেতু পার করে শহরে ঢোকার চেষ্টা করছেন ইউক্রেনের সেনা। সেতু মেরামত করার চেষ্টাও চলছে।
ছবি: Emilio Morenatti/AP/picture alliance
বিস্ফোরণের ছবি
কিয়েভের খুব কাছে ইউক্রেনের শহর বরোদিয়াঙ্কা। সেখানে রাশিয়ার সেনার সঙ্গে ইউক্রেনের সেনার তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে। জ্বলছে রাশিয়ার ট্যাঙ্ক।
ছবি: Alisa Yakubovych/EPA-EFE
বাড়িতে আগুন
কিয়েভের খুব কাছে একটি বাড়িতে রকেট এসে লেগেছিল। দাউ দাউ করে জ্বলছে বাড়িটি।
ছবি: Alisa Yakubovych/EPA-EFE
কিয়েভ রেল স্টেশন
রাজধানীর রেল স্টেশনের বাইরে সশস্ত্র পাহারায় দেশের সেনা বাহিনী। স্টেশন কার্যত ঘিরে রেখেছে তারা।
ছবি: Oleg Petrasyuk/EPA-EFE
স্টেশনে ভিড়
কিয়েভ রেল স্টেশনে সবচেয়ে ভিড়। সকলে ট্রেনে চড়েই পালানোর চেষ্টা করছে। কারণ, ট্রেনই হলো কিয়েভ থেকে বাইরে যাওয়ার সবচেয়ে নিরাপদ রাস্তা।
ছবি: Lafargue Raphael/abaca/picture alliance
মেয়েদের অগ্রাধিকার
স্টেশনে মেয়েদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। তাদেরই ট্রেনে চড়তে দেওয়া হচ্ছে। এক বাবা মেয়েকে বিদায় জানাচ্ছেন। ইউক্রেনের সেনা সমস্ত পুরুষকে লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছে।
ছবি: Dimitar Dilkoff/AFP
খারকিভের ছবি
খারকিভের অবস্থা ভয়াবহ। সেখানে তীব্র লড়াই চলছে। শহরজুড়ে বোমা ফেলছে রাশিয়া। চলছে রকেট হানা। খারকিভ সিটি সেন্টার এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
ছবি: Sergey Bobok/AFP
ভাঙা ঘর
কিয়েভের খুব কাছে গোরেঙ্কা শহরের ছবি। বোমার আঘাতে ভেঙে গেছে বাড়ি। তারই মধ্যে জিনিসপত্র খুঁজে বেড়াচ্ছেন এই নারী।
ছবি: Vadim Ghirda/AP/picture alliance
১০ লাখ শরণার্থী
জাতিসংঘের সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, ১০ লাখ ইউক্রেনীয় দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। অন্যদেশে শরণার্থীর জীবন যাপন করছেন তারা। আরো কিছুদিন লড়াই চললে সংখ্যাটি ৪০ লাখে পৌঁছাবে বলে আশঙ্কা।
ছবি: Arafatul Islam/DW
12 ছবি1 | 12
জাহাজে পর্যাপ্ত খাবার এবং রসদ আছে বলে জানিয়েছে বিএসসি। ওই জাহাজের অন্য নাবিক এবং প্রকৌশলীদের খবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা নিয়েছেন বলে বিএসসি জানিয়েছে।
জাহাজে আগুন লাগার পর 'আমাদের বাঁচান' বলে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন কর্মীরা। বাংলার সমৃদ্ধিতে অবস্থান করা নাবিক আতিকুর রহমান মুন্না তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, 'জাহাজে রকেট হামলা হয়েছে। একজন মারা গেছেন।'
কুর্দস গ্লোবাল নামের একটি ফেসবুক পেজে আসা ভিডিওতে একটি জাহাজে বিস্ফোরণ ও আগুন ধরে যাওয়ার দৃশ্য দেখা যায়। ইউক্রেনের সমুদ্র বন্দর কর্তৃপক্ষের বরাতে ওই ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, 'একটি রকেট আঘাত হানার পর ৩৬৩ নম্বর অ্যাঙ্করেজে থাকা বাংলার সমৃদ্ধিতে আগুন ধরে যায়। পরে বন্দর থেকে দুটি টাগবোট পাঠানো হয় সেখানে।'
গত ২৬ জানুয়ারি ভারতের মুম্বই বন্দর থেকে রওনা হয়েছিল জাহাজটি। তুরস্কের একটি বন্দরে পণ্য নামিয়ে জাহাজটি ইউক্রেন গিয়েছিল। তারপরেই লড়াই শুরু হয়ে যাওয়ায় ইউক্রেনের বন্দর ছেড়ে আর বের হতে পারেনি জাহাজটি।