জাতিসংঘের হিসাব, ইউক্রেনের এক কোটি ২০ লাখ মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে হবে। তাই তারা এখন ১৭০ কোটি ডলার তুলতে চায়।
বিজ্ঞাপন
রাশিয়ার হামলার পর ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের ৪০ লাখ মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে জাতিসংঘের হিসাব, ইউক্রেনের এক কোটি ২০ লাখ মানুষের সাহায্য দরকার হবে। তাদের খাবার, পানীয় জল চাই, সেই সঙ্গে বাড়ি, ন্যূনতম পরিকাঠামোও দরকার হবে।
জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণ সমন্বয়কারী ও আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন গ্রিফিথ জেনিভায় বলেছেন, সংকট ভয়ংকর চেহারা নিচ্ছে। ইউক্রেনের মানুষ এমন অন্ধকার সময় এর আগে কখনো দেখেননি। প্রাথমিক ধাক্কা, অবিশ্বাস এবং অনিশ্চয়তা কাটিয়ে এখন ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে হবে। ইউক্রেনের মানুষ এখন জরুরি ভিত্তিতে সাহায্য ও সুরক্ষা চান।
সেই কাজের জন্য জাতিসংঘ ১৭০ কোটি ডলারের তহবিল চায়। সেজন্য তারা চাইছে, সদস্য দেশগুলি এই তহবিলে ঢালাও অর্থ সাহায্য করুক। এই তহবিলের ৪০ শতাংশ অর্থ দুর্গতদের কাছে সরাসরি ক্যাশ হিসাবে দেয়া হবে। বাকি অর্থ দিয়ে খাবার, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ভেঙে পড়া বাড়ির মেরামতির কাজ করা হবে।
কিয়েভ-সহ অনেক শহরে আছড়ে পড়েছে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র। রাশিয়ার যুদ্ধবিমান থেকে বোমা ফেলা হচ্ছে। রাশিয়ার হামলার পর ইউক্রেনের একটি শহরের ছবি। আগুন জ্বলছে।
ছবি: picture alliance/dpa/Mary Ostrovska/AP
গোলার তাণ্ডব
ইউক্রেনের শহর মারিয়াপোল। রাশিয়ার কামান থেকে ছোড়া গোলার আঘাতে বাড়ি ভেঙেছে। গাড়ি নষ্ট হয়েছে। ইউক্রেনের অনেক শহরের ছবি এরকমই।
ছবি: Sergei Grits/AP/picture alliance
বোমার আঘাতে
পূর্ব ইউক্রেনের চুগুয়েভ শহরের ছবি। বোমার আঘাতে বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়েছে। তারপর সেখানে এসেছেন মানুষ। খুঁজছেন হারানো জিনিস। এবার কোথায় যাবেন, তা-ই ভাবছেন।
ছবি: Aris Messinis/AFP/Getty Images
বিপন্ন মানুষ
চুগুয়েভের আরেকটি দৃশ্য। বোমার আঘাতে বাড়ি ভেঙেছে। গাড়ি আর চলার অবস্থায় নেই। তার কাছেই মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন এক বিপন্ন ব্যক্তি।
ছবি: Aris Messinis/AFP/Getty Images
আগুন জ্বলছে
কিয়েভের কাছে রাশিয়ার হামলায় গুঁড়িয়ে গেছে বেসরকারি বাড়ি। সেখানে তখনো আগুন জ্বলছে। কিয়েভে একের পর এক রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়েছে।
ছবি: Efrem Lukatsky/AP/picture alliance
সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত
ইউক্রেনের একটি সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে রাশিয়া। তারপর সেখান থেকে বের হওয়া কালো ধোঁয়া চারপাশ ঢেকে দিয়েছে।
ছবি: Evgeniy Maloletka/AP/picture alliance
বিমানঘাঁটি দখলের লড়াই
কিয়েভের ঠিক বাইরে একটি বিমানঘাঁটি দখল করার চেষ্টা করছে রাশিয়া। তীব্র লড়াই চলছে। তার আশপাশের এলাকায় বোমা ফেলেছে রাশিয়া। তেমনই একটি এলাকার ছবি।
ছবি: DANIEL LEAL/AFP
ধ্বংসের চেহারা
কিয়েভের বাইরে রাশিয়ার আক্রমণের পরের ছবি। চারপাশে শুধু ছড়িয়ে থাকা ধ্বংসের ছবি।
ছবি: Efrem Lukatsky/AP/picture alliance
ট্রেন ধরার জন্য
কিয়েভের মানুষ ট্রেন ধরার জন্য একটি সাবওয়েতে ছুটছেন। তারা দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে চান। রাশিয়ার হামলার মুখে অসহায় বোধ করছেন তারা।
ছবি: Emilio Morenatti/AP/dpa/picture alliance
বাসে ওঠার ভিড়
বাসে করে কিয়েভ থেকে দূরে যাওয়ার জন্য মরিয়া মানুষের ভিড়।
ছবি: Emilio Morenatti/AP/dpa/picture alliance
হামলার হাত থেকে বাঁচতে
রাশিয়ার হামলার হাত থেকে বাঁচতে সাবওয়েকে নিরাপদ মনে করছেন অনেকে। সেখানেই থাকছেন তারা।
ছবি: Emilio Morenatti/AP/dpa/picture alliance
11 ছবি1 | 11
মানবিক সংকট
জাতিসংঘের রিফিউজি এজেন্সি (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, রাশিয়ার আক্রমণ বহাল থাকলে এবং আরো শহর আক্রান্ত হলে, আরো মানুষ ঘর ছাড়বেন। তারা এখনো পর্যন্ত ইউক্রেন ছেড়ে প্রতিবেশী দেশে আসা ছয় লাখ ৭৭ হাজার মানুষের নাম নথিভুক্ত করেছেন। সবচেয়ে বেশি মানুষ গেছেন পোল্যান্ডে। সীমান্তে এখনো বহু কিলোমিটার লম্বা লাইন। সীমান্ত পার হতে কয়েক দিন লেগে যাচ্ছে।
রাশিয়ার আক্রমণের শঙ্কা, ঘর ছাড়ছেন ইউক্রেনের মানুষ
ইউক্রেনের দুই বিচ্ছিন্ন অংশের স্বীকৃতি ও সেখানে ‘শান্তিরক্ষী বাহিনী’ পাঠানোর ঘোষণা করে রুশ প্রেসিডেন্ট পুটিন দৃশ্যত সংঘাতের পথ বেছে নিয়েছেন৷ আক্রমণের শঙ্কায় সীমান্তবর্তী এলাকা ছাড়ছেন পূর্ব ইউক্রেনের বাসিন্দারা৷
ছবি: Sergey Pivivarov/REUTERS
বিদ্রোহীদের দখলে
রাশিয়াপন্থি বিদ্রোহীগোষ্ঠীর দখলে রয়েছে পূর্ব ইউক্রেনের একাংশ৷ সেখান থেকে রাশিয়ার ভরোনেজহের অস্থায়ী আশ্রয়ে থাকার জন্য পা বাড়িয়েছেন অসংখ্য মানুষ৷ সপরিবারে নিরাপদ আশ্রয়ে যাচ্ছেন অনেকেই৷
ছবি: Vladimir Lavrov/REUTERS
নিরাপদ গন্তব্যে পাড়ি
ইউক্রেন সীমান্তে হওয়া রাশিয়ার সেনা বাহিনীর যে কোনো আক্রমণাত্মক কার্যকলাপের দাম দিতে হবে রাশিয়াকে- পশ্চিমের দেশগুলি এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছিল আগেই৷ কিন্তু পুটিন অবিচল৷ তাই যুদ্ধের শঙ্কায় ঘর ছাড়ছেন মানুষ৷ রাশিয়ার রস্তভের তাগানরগ শহরে সমাজকল্যাণ বিভাগের সামনে অজস্র মানুষের ভিড় চোখে পড়েছে৷ এই ব্যক্তিদের পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহীগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে ফিরিয়ে আনা হয়েছে৷
ছবি: Sergey Pivivarov/REUTERS
যুদ্ধ পরিস্থিতিতে শিশু
ট্রেনে করে নিরাপদ এলাকার দিকে চলে যাচ্ছেন অনেকেই৷ ট্রেনের মধ্যে ইউক্রেনীয় একটি শিশুর ছবি ধরা পড়েছে আলোকচিত্রীর ক্যামেরায়৷ যুদ্ধ, রাজনীতি- কোনোকিছুর মানেই সে বোঝে না এখনো৷
ছবি: Sergey Pivivarov/REUTERS
অস্থায়ী আয়োজন
রস্তভের তাগানরগে একটি স্থানীয় স্পোর্টস স্কুলে অস্থায়ী আশ্রয় তৈরি করা হয়েছে৷ সেখানে এক খুদেকে সামলানোর চেষ্টা করছেন তার অভিভাবক৷ সারি সারি বিছানা, বালিশ আর কম্বলের ব্যবস্থা করা হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে৷
ছবি: Sergey Pivivarov/REUTERS
নতুন আশ্রয়ের পথে
রস্তভ থেকে ট্রেন ধরতে যাচ্ছিলেন এই ব্যক্তি৷ বিদ্রোহী অধ্যুষিত পূর্ব ইউক্রেন থেকে তাকেও নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হয়েছে৷ ক্রাচে ভর দিয়ে নতুন গন্তব্যের দিকে পাড়ি দিচ্ছেন তিনি৷
ছবি: Sergey Pivivarov/REUTERS
মানবিক সহায়তা
মানবিক সহায়তার জন্য এগিয়ে এসেছে অনেক সংস্থা৷ সবজি প্যাক করার কাজ করছেন কর্মীরা৷
ছবি: Alexey Pavlishak/REUTERS
খাবারের ব্যবস্থা
ক্রিমিয়ার সিমফেরোপলে পাঠানো হবে এই প্যাকেটজাত খাবারগুলি৷ সবরকম পরিস্থিতির কথা ভেবে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে৷ পানীয় জল-সহ খাবারের প্যাকেট পাঠানোর কাজ চলছে৷
ছবি: Alexey Pavlishak/REUTERS
পুটিনের ঘোষণার ফল
সোমবার পূর্ব ইউক্রেনের রুশ-সমর্থিত দুই অঞ্চল দনেৎস্ক এবং লুহানস্ককে স্বাধীন বলে ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুটিন৷ এর ফলে সংকট আরো ঘনীভূত হয়েছে৷ ভয় বেড়েছে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যেও৷ নিরাপদ এলাকায় সরানো হয়েছে অনেককে৷ এক বৃদ্ধা একা বসে রয়েছেন রস্তভের অস্থায়ী আশ্রয়ে৷
ছবি: Sergey Pivivarov/REUTERS
ভবিষ্যতের পথে
ভরোনেজহের অস্থায়ী আশ্রয়ে বাসে করে নিয়ে যাওয়া হয় একদল মানুষকে৷ নিরাপত্তার কথা ভেবেই ঘর ছাড়তে হয়েছে তাদের৷ অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ, কী করবেন কেউ জানেন না৷
ছবি: Vladimir Lavrov/REUTERS
হামলার শঙ্কা
যে কোনো সময় হামলা চালাতে পারে রুশ বাহিনী৷ ক্রিমিয়ার উপকূলে যুদ্ধজাহাজও ঘোরাফেরা করছে৷ রুশপন্থি বিদ্রোহীরা যুদ্ধের আশঙ্কায় সাধারণ মানুষদের সরিয়ে দিচ্ছে রাশিয়ায়৷ বিশেষ করে নারী, শিশু, প্রবীণদের অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে৷ অভিভাবিকার হাত ধরে দুই বালিকা চলেছে অস্থায়ী আশ্রয়ের দিকে৷ কিন্তু মুখে অমলিন হাসি৷ সংকটময় পরিস্থিতির কথা হয়তো তারা বোঝেনি এখনও৷
ছবি: Vladimir Lavrov/REUTERS
10 ছবি1 | 10
এর মধ্যে ৯০ হাজার মানুষ হাঙ্গেরি গেছেন। কয়েক লাখ মানুষ মলডোভা, স্লোভাকিয়া, রোমানিয়াতে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রতিদিন প্রচুর মানুষ এই দেশগুলিতে আসছেন।
ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, বর্তমান শতকে এটাই হলো ইউরোপের সবচেয়ে বড় শরণার্থী-সংকট।