ইউক্রেনে রাশিয়ার আরো বড় হামলার আশঙ্কা বাড়ছে
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ইউক্রেনের আশঙ্কা সত্য প্রমাণ করতে রাশিয়া পূবের অধিকৃত এলাকায় আরও সৈন্য ও সরঞ্জাম জমা করছে বলে নানা সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে৷ ফলে আগামী ২৪শে ফেব্রুয়ারি হামলার বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে রুশ সেনাবাহিনী আরও বড় আকারের হামলা চালাতে পারে, এমন আশঙ্কা বাড়ছে৷ লুহানস্ক অঞ্চলের ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত এলাকার গভর্নর সেরহি হাইদাই বলেন, রাশিয়া থেকে রিজার্ভ বাহিনীর আরও সদস্য এবং সরঞ্জাম আসছে৷ নতুন ধরনের গোলাবারুদও আসতে দেখা যাচ্ছে৷ দিনরাত গোলাবারুদ নিক্ষেপ বন্ধ করে রুশ বাহিনী কোনো বড় অভিযানের জন্য সেগুলি প্রস্তুত রাখছে বলে হাইদাই মনে করছেন৷ তাঁর মতে, ১৫ই ফেব্রুয়ারির পর যে কোনো সময়ে রাশিয়া আরও জোরালো হামলা শুরু করতে পারে৷ ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভও গোয়েন্দা সূত্র উদ্ধৃত করে দেশের পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে রাশিয়ার নতুন সামরিক অভিযানের আশঙ্কা প্রকাশ করেন৷
ইউক্রেনের সেনাবাহিনীও বসন্তকালে রাশিয়া অধিকৃত আরও এলাকা ছিনিয়ে নেবার পরিকল্পনা করছে, এমন ধারণা জোরালো হচ্ছে৷ কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব থেকে ব্যাটেল ট্যাংকসহ আরও অস্ত্র, সরঞ্জাম ও গোলাবারুদ ঠিক সময়ে হাতে না পেলে এমন অভিযান কতটা কার্যকর হবে, সে বিষয়ে সংশয় দেখা যাচ্ছে৷ উল্লেখ্য, ২০২২ সালের দ্বিতীয়ার্ধে ইউক্রেন এলাকা পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে যে সাফল্য পেয়েছিল, তা বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে থমকে গেছে৷
যুদ্ধক্ষেত্রে আরও সাফল্যের লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের রদবদলের উদ্যোগ নিচ্ছেন৷ তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদেও নতুন মুখ দেখা যাবে কিনা, সে বিষয়ে বিভ্রান্তি কাটছে না৷ সোমবার রাতের ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, তিনি স্থানীয় ও ফেডারেল সরকারে সামরিক ও ম্যানেজমেন্টের অভিজ্ঞতার মধ্যে সামঞ্জস্য আনতে চান৷ সেইসঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের সামরিক ও বেসামরিক সহায়তার অপব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করতে চান৷ প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভকে সরানোর বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেন নি৷ রোববার তাঁরই জোটের এক শীর্ষ নেতা সেই দাবি করেছিলেন৷
এমন পরিস্থিতির মধ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি চলতি সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলনে সশরীরে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনাকল্পনা চলছে৷ ইইউ জানিয়েছে, জেলেনস্কিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে৷ তিনি সত্যি সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করে ব্রাসেলস গেলে সেটা হবে যুদ্ধ শুরু হবার পর দেশের বাইরে তাঁর দ্বিতীয় জানা সফর৷ প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে সে বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয় নি৷ গত বছর ওয়াশিংটনে গিয়ে জেলেনস্কি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনা করেন এবং মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দিয়ে আরও অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের প্রতিশ্রুতি আদায় করেন৷ ইউরোপের কাছ থেকেও তেমন সাড়া পেলে তিনি ঝুঁকি নিয়ে ব্রাসেলস যেতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে৷
এসবি/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)