1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংকট, তবু চাঙ্গা পুঁজিবাজার

১৪ মে ২০১৪

ইউক্রেনকে ঘিরে আলোচনার সম্ভাবনা ও রাশিয়ার উপর শিথিল নিষেধাজ্ঞার ফলে আপাতত ইউরোপীয় অর্থনীতি জগতে স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়ছে৷ এদিকে ইউরোপীয় ক্ষমতাকেন্দ্রে পালাবদলের পর ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকও কিছু পদক্ষেপ নিতে চলেছে৷

Symbolbild EU Ukraine
ছবি: picture-alliance/dpa

ইউক্রেনের পরিস্থিতিকে ঘিরে বর্তমান উত্তেজনা সত্ত্বেও ইউরোপের পুঁজিবাজার আপাতত বেশ চাঙ্গা রয়েছে৷ শুধু তাই নয়, গত ছয় বছরে ইউরোপের পুঁজিবাজার সর্বোচ্চ সূচক ছুঁইয়েছে৷ ইউক্রেনে সংঘাতের বদলে সংলাপের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে ওঠায় এখনই কোনো সংকটের আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে না৷ রাশিয়ার উপর এখনো এমন কোনো নিষেধাজ্ঞাও চাপানো হচ্ছে না, যার ফলে ইউরোপীয় অর্থনীতির কোনো ক্ষতি হতে পারে৷ গত শুক্রবার ইউরো-র বিনিময় মূল্যও কিছুটা বেড়ে গেছে৷

এমনই প্রেক্ষাপটে আগামী জুন মাসে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে৷ সেই সিদ্ধান্ত বাজারের জন্য ইতিবাচক হবে বলেই আশা করা হচ্ছে৷ ইসিবি প্রধান দ্রাগি গত সপ্তাহেই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, জুন মাসে সুদের হার কমানো হতে পারে৷ এর আগে কখনো ইসিবি-র তরফ থেকে এমন পূর্বাভাষ পাওয়া যায় নি৷ উল্লেখ্য, পর পর ৭ মাস ধরে সুদের হার মাত্র ০.২৫ শতাংশ রাখা হয়েছে, যেমনটা আগে কখনো দেখা যায় নি৷ তবে এই পদক্ষেপ অবশ্য অনেকটা নির্ভর করবে মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত তথ্যের উপর৷ কারণ ইসিবি-র পরিচালনা পরিষদ মূল্যস্ফীতির অস্বাভাবিক কম হার নিয়ে সন্তুষ্ট নয়৷ অর্থাৎ ডিফ্লেশন-এর আশঙ্কা এতদিন উড়িয়ে দেওয়ার পর ইসিবি সত্যি হস্তক্ষেপ করছে৷ এর পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে বন্ড কেনার কর্মসূচিও শুরু হতে পারে৷ তাছাড়া ইউরো এলাকার জন্য কড়া আর্থিক নিয়মও কিছুটা শিথিল করার সম্ভাবনা রয়েছে৷ মোটকথা দ্রাগি মনে করেন, ইউরো এলাকার অর্থনীতি ধীরে হলেও স্থিতিশীল হয়ে উঠছে৷ এই প্রবৃদ্ধির প্রবণতা আরও বাড়বে বলেও তাঁর ধারণা৷

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরোধিতার মধ্যেই দোনেৎস্ক ও লুগানস্ক-এ গণভোট হয়ছবি: Reuters

এদিকে চলতি মাসে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচন ও তারপর ইউরোপীয় কমিশনের পুনর্বিন্যাসের পর অনেক বকেয়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ এক জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী, ইউরোপের মানুষ ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্পর্কে আগের তুলনায় আরও ইতিবাচক ধারণা পোষণ করছে বটে, কিন্তু ব্রাসেলসে যে সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সে সব তাদের মতের প্রতিফলন নয় বলে একটা বড় অংশ মনে করে৷ ফলে ইউরোপীয় নেতারা ভবিষ্যতে জনপ্রিয় নয় – এমন নীতি এড়িয়ে চলতে পারেন বলে মনে করছে কিছু মহল৷ আয়ারল্যান্ড ও পর্তুগালের মতো দেশ সংকট কাটিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর ফলে গ্রিসের মতো সংকটগ্রস্ত দেশ সম্পর্কেও আশার আলো দেখা যাচ্ছে৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ, এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ