1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউক্রেন: কোনো সহজ সমাধানসূত্র নেই

মিওদ্রাগ সোরিচ / এসবি৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করা উচিত কিনা, তা নিয়ে অ্যামেরিকায় বিতর্ক চলছে৷ মিওদ্রাগ সোরিচ মনে করেন, এমনটা করলে রাশিয়ার সঙ্গে নতুন করে অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু হবে৷

Ukraine ukrainische Streitkräfte Lugansk 20.08.2014
ছবি: Anatolii Stepanov/AFP/Getty Images

ধৈর্য কমে চলেছে৷ ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বিরক্তিকর যুদ্ধ শেষ করার তাগিদ বাড়ছে৷ এখনো পর্যন্ত কোনো ফর্মুলা কাজ করেনি৷ মার্কিনিরা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে দর কষাকষি করেছে– কিন্তু তাতে কোনো ফল হয়নি৷ তারা ইউরোপীয়দের সঙ্গে একজোট হয়ে রাশিয়ার উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে৷ এর ফলে রুশ অর্থনীতির কোটি কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে বটে, কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্ট তাঁর ইউক্রেন সংক্রান্ত নীতি থেকে একচুলও সরে আসেননি৷ উলটে গত কয়েক মাসে রুশপন্থি বিদ্রোহীরা আরও এলাকা দখল করতে পেরেছে৷

ওয়াশিংটন মনে করছে, এভাবে আর চলতে পারে না৷ চাই এমন সহজ সমাধানসূত্র, যাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে শক্তিশালী দেখায় এবং ইউক্রেনেও দ্রুত তার ফল দেখা যায়৷ যারা হস্তক্ষেপের পক্ষে, তাদের বাজার এখন রমরমা৷ তারা ইউক্রেনকে আধুনিক অস্ত্র সরবরাহের দাবি করছে৷ তাদের যুক্তি হলো, এসব অস্ত্র রুশ বাহিনীকে দ্রুত পিছু হটতে বাধ্য করবে৷ তারা প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উপর চাপ সৃষ্টি করছে৷ ওবামা কিন্তু সংযম দেখাচ্ছেন৷ ফলে তাঁর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাঁকে ‘কাপুরুষ' বলে দোষারোপ করছেন৷ কিন্তু এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অর্থহীন, কারণ, এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নেবার চেষ্টা করছেন৷

অস্ত্র প্রতিযোগিতার আশঙ্কা

একটি শিক্ষা হলো – সব সংকটের সামরিক সমাধান সম্ভব নয়৷ মার্কিনিরা যদি ইউক্রেনকে আধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করে, তখন প্রেসিডেন্ট পুটিনও তাঁর যোদ্ধাদের আরও উন্নত সরঞ্জামে সজ্জিত করবেন৷ তখন যে প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হবে, তার আসল ফায়দা তুলবে অস্ত্র প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলি৷ এমন যুদ্ধে যত বেশি অস্ত্র প্রয়োগ হবে, হিংসার মাত্রা ততই বাড়বে৷ কারো কাছেই সেটা কাম্য হতে পারে না৷ ঠিক সে কারণেই জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলসহ ইউরোপের একটা বড় অংশই আরও অস্ত্র সরবরাহের বিরুদ্ধে৷

মিওদ্রাগ সোরিচ, ডয়চে ভেলেছবি: privat

দ্বিতীয় শিক্ষা হলো, অস্ত্র নিয়ে কী করা হচ্ছে, তার আংশিক দায়িত্ব চলে যায় অস্ত্র সরবরাহকারীর কাঁধে৷ অ্যামেরিকা থেকে পাঠানো অ্যান্টি-ট্যাংক অস্ত্র যদি ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর বদলে কোনো প্যারা-মিলিটারি ইউনিটের হাতে গিয়ে পড়ে, তখন কী হবে? অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশানাল ইউক্রেনের মিলিশিয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অসংখ্য ঘটনার প্রমাণ পেশ করেছে৷ এর ফলে শত শত নুষ নিহত হয়েছে৷ তাই অ্যামেরিকা থেকে অস্ত্র সরবরাহ তখনই ন্যায্য হতে পারে, যদি ইউক্রেনের সরকার নিশ্চিত করে বলতে পারে যে, সেসব অস্ত্রের অপব্যবহার হবে না৷

আরও অস্ত্র সরবরাহের অনুমতি দেবার আগে ওবামা সব মহলের পরামর্শ নেবেন৷ তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার কিয়েভ যাচ্ছেন৷ জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেল আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটন সফর করবেন৷ এঁদের সঙ্গে শলা-পরামর্শ করবেন তিনি৷ তবে ম্যার্কেলের ঝুলিতেও কোনো চটজলদি সমাধানসূত্র থাকবে না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ