1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যার্কেল-ওবামা সাক্ষাতের ফল

১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

কিয়েভ ও মস্কোর পর ওয়াশিংটন: জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এখন শুধু ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যেই নয়, রাশিয়া এবং পশ্চিমি বিশ্ব, এমনকি ইউরোপ এবং অ্যামেরিকার মধ্যে আরেকটি ঠান্ডা লড়াই রুখতে সচেষ্ট৷

Merkel bei Obama 09.02.2015
ছবি: Reuters/K. Lamarque

সোমবার ম্যার্কেল ও ওবামা যে বার্তা দিয়েছেন, তা হলো এই: ইউক্রেনে রাশিয়ার অনুপ্রবেশ বন্ধ করার জন্য মস্কোর উপর চাপ অব্যাহত রাখা হবে৷ অপরদিকে পূর্ব ইউক্রেনে আগের মতোই তীব্র যুদ্ধ চলেছে এবং ওবামা নিজেও এখন ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করার জন্য স্বদেশে চাপের মুখে৷

ম্যার্কেলের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিক সম্মেলনে ওবামা জানিয়ে দিয়েছেন: ‘‘বলতে কি, কূটনীতি যদি ব্যর্থ হয়, সে'ক্ষেত্রে আমি আমার ‘টিম'-কে সব রকমের বিকল্প বিবেচনা করে দেখতে বলেছি৷... প্রতিরক্ষামূলক মারণাস্ত্র প্রেরণ সেই সব বিকল্পের মধ্যে একটি৷''

যুদ্ধ অথবা শান্তি?ছবি: Reuters/Alexei Chernyshev

ম্যার্কেল তাঁর অবস্থান ওয়াশিংটনেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন: পূর্ব ইউক্রেনের বেসামরিক বাসিন্দাদের কথা ভাবলে, কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো পথ নেই, কেননা ‘‘রাজনীতিক হিসেবে সেটা আমাদের দায়িত্ব''৷ অপরদিকে সেই কূটনৈতিক প্রচেষ্টা যে সফল না-ও হতে পারে, ম্যার্কেল সে'কথাও স্বীকার করেছেন৷

আপাতত দুনিয়ার চোখ বেলারুসের রাজধানী মিনস্ক-এর দিকে, কেননা সেখানে বুধবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ-এর সঙ্গে শীর্ষবৈঠকে মিলিত হচ্ছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷

অবশ্য জার্মান পররাষ্ট্র দপ্তর সোমবারেই জানিয়ে দিয়েছে যে, সব পক্ষ নতুন ফরাসি-জার্মান শান্তি পরিকল্পনা সম্পর্কে পূর্বাহ্নে একমত না হলে, বৈঠক হয়ত সংঘটিতই হবে না৷ চারটি দেশের কূটনীতিকরা বার্লিনে বসে সেই শান্তি পরিকল্পনার খুঁটিনাটি ঠিক করছেন৷ আজ মঙ্গলবার রাশিয়া, ইউক্রেন এবং ওএসসিই (ইউরোপীয় নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সংগঠন) সম্বলিত ‘ইউক্রেন কন্ট্যাক্ট গ্রুপ' বা ইউক্রেন সংযোগ গোষ্ঠী মিনস্ক-এ রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথকভাবে মিলিত হচ্ছেন৷

গত সেপ্টেম্বরের মিনস্ক বৈঠকছবি: picture-alliance/dpa

অর্থাৎ আটঘাট বেঁধেই কাজ করা হচ্ছে, যদিও অসাফল্যের মূল্য কম হবে না৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার ব্রাসেলস-এ ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীবর্গের একটি বৈঠকে বলেছেন: ‘‘এটা সকলের কাছেই স্পষ্ট যে, এই সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে, সংঘাত বেড়ে একটা নতুন পর্যায়ে পৌঁছাবে৷'' সেই কারণেই পররাষ্ট্রমন্ত্রীবর্গ ১৯ জন বিচ্ছিন্নতাবাদী বা রুশ নাগরিকের বিরুদ্ধে এক পর্যায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এই সোমবার কার্যকরি না করে, আগামী সোমবার অবধি স্থগিত রেখেছেন৷

তবুও, মিনস্ক বৈঠক সংঘটিত হওয়ার কোনো নিশ্চয়তা নেই: পুটিন স্বয়ং সাবধান করে দিয়েছেন যে, তার আগে ‘‘কয়েকটি সূত্রে'' ঐকমত্য অর্জিত হওয়া প্রয়োজন৷ আর প্রেসিডেন্ট ওবামা তাঁর ও ম্যার্কেলের সাক্ষাতের পর বলেছেন: ‘‘আমরা এ বিষয়ে পুরোপুরি একমত যে, একবিংশ শতাব্দী নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকতে পারে না, আমরা নিষ্ক্রিয় হয়ে দেখতে পারি না, ইউরোপের সীমান্তসমূহ কিভাবে বন্দুকের নল দিয়ে পাল্টে দেওয়া হচ্ছে৷''

এসি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ