1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিবেলারুশ

ইউক্রেন সংকটের মাঝেই লুকাশেংকোর বেইজিং সফর

১ মার্চ ২০২৩

ইউক্রেনে হামলার ক্ষেত্রে রাশিয়ার সক্রিয় মদতকারী দেশ বেলারুশের প্রেসিডেন্ট চীন সফর করছেন৷ এই তিন দেশের মধ্যে নিবিড় সহযোগিতা পশ্চিমা বিশ্বে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে৷

China | Alexander Lukashenko und Li Keqiang in Peking
ছবি: Maxim Guchek/BelTA/REUTERS

ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে চীন নিজেকে নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে৷ অথচ রাশিয়ার সঙ্গে ‘সীমাহীন' সম্পর্কের অঙ্গীকার চীনা নেতৃত্বকে ইউক্রেনের উপর হামলার নিন্দা করতে দেয়নি৷ শান্তির পূর্বশর্ত হিসেবে ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারেরও ডাক দেয় নি চীন৷ উলটে যুদ্ধ চলাকালীন বেইজিং মস্কোকে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি বিবেচনা করছে বলে পশ্চিমা বিশ্ব সন্দেহ করছে৷ চীন অবশ্য এমন অভিযোগ অস্বীকার করছে৷ এমনই প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেশ বেলারুশের প্রেসিডেন্টের বেইজিং সফরকে ঘিরে বিশেষ আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে৷ তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে তিনি মঙ্গলবার চীনে পৌঁছেছেন৷

বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেংকো গত প্রায় এক বছর ধরে ইউক্রেনের উপর হামলার ক্ষেত্রে রাশিয়ার সহযোগিতা করে চলেছেন৷ রুশ সেনাবাহিনী বেলারুশ থেকে ইউক্রেনের উপর হামলা চালিয়েছে৷ তবে বেলারুশের সেনাবাহিনী এখনো সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে নি৷ ভবিষ্যতেও লুকাশেংকো সেই অবস্থানে অটল থাকবেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়৷ চীন এবার সেই বেলারুশকে ‘সামগ্রিক কৌশলগত সহযোগী' হিসেবে বর্ণনা করে সহযোগিতা আরও নিবিড় করার উদ্যোগ নিচ্ছে৷ চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং লুকাশেংকোকে স্বাগত জানাচ্ছেন৷ বেলারুশের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বেল্টার সূত্র অনুযায়ী দুই নেতা বাণিজ্য, অর্থনীতি, বিনিয়োগ ও মানবিক সহযোগিতা নিয়ে কথা বলবেন৷ তাছাড়া এই মুহূর্তের ‘সবচেয়ে কঠিন আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ' নিয়েও দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হবে৷

ইউক্রেনের উপর হামলার পর রাশিয়ার সঙ্গে বেলারুশও পশ্চিমা বিশ্বের কড়া নিযেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে৷ তার আগেই অবশ্য হত্যা, নিপিড়নসহ একাধিক গুরুতর অপরাধের দায়ে লুকাশেঙ্কোর উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছিল৷ ২০২০ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাঁকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয় নি৷ সোমবার ইইউ বেলারুশের উপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ চীন সেই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছে৷

এমন অবস্থায় লুকাশেংকো মস্কো ও বেইজিং-এর দিকে আরও বেশি ঝুঁকছেন৷ রাশিয়ার উপর রাজনৈতিক ও আর্থিক নির্ভরতার পাশাপাশি চীনের সঙ্গেও সম্পর্ক নিবিড় করতে চাইছে বেলারুশ৷ চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা শিনহুয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে লুকাশেংকো ইউক্রেন সংকট মেটাতে বেইজিং-এর উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, আজ বিশ্বের কোনো বিষয় চীনকে ছাড়া সমাধান করা সম্ভব নয়৷ তিনি শি জিন পিং-কে ‘পুরানো বন্ধু' আখ্যা দিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে বিশেষ আগ্রহ দেখান৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ