1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউক্রেন সংকট

১০ এপ্রিল ২০১৪

আগামী সপ্তাহেই অ্যামেরিকা, ইউরোপ, রাশিয়া ও ইউক্রেন আলোচনার মাধ্যমে বর্তমান সংকটের সমাধানসূত্র খোঁজার চেষ্টা চালাবে৷ তবে প্রাথমিক এই সংলাপকে ঘিরে প্রত্যাশা কম রাখা হয়েছে৷

Bildergalerie Krim Ukraine Russland 20.3.14
ছবি: DMITRY SEREBRYAKOV/AFP/Getty Images

ইউক্রেনকে ঘিরে অনেক তর্জন-গর্জন, উত্তেজনার পর রাশিয়া ও পশ্চিমা জগতের মধ্যে আপোশের একটা ক্ষীণ সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে৷ এই প্রথম রাশিয়া, ইউরোপ, অ্যামেরিকা ও ইউক্রেনের মধ্যে সংলাপ হতে চলেছে৷ এখনো পর্যন্ত রাশিয়া ইউক্রেনের বর্তমান সরকারকে বৈধতা দেয়নি, তাদের সঙ্গে আলোচনা করারও প্রয়োজন মনে করেনি৷ চার পক্ষের এই আলোচনার দিনক্ষণ নিয়েও বিভ্রান্তি রয়ে গেছে৷ শোনা যাচ্ছে, হয় ১৭ই এপ্রিল ভিয়েনা অথবা ১৬ই এপ্রিল জেনিভাতে এই বৈঠক বসতে পারে৷

রাশিয়ার ক্রাইমিয়া অধিগ্রহণ নিয়ে আপাতত কোনো আপোশের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না৷ কিন্তু ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার কার্যকলাপকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা যাতে আরও বেড়ে না যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়, সেটা নিশ্চিত করাই মূল লক্ষ্য৷

অ্যামেরিকা সহ ইউরোপের অনেক দেশের দাবি, রাশিয়া সরাসরি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে কলকাঠি নাড়ছে৷ সেখানে রুশপন্থি জনতা কিয়েভ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রাশিয়ার প্রতি প্রকাশ্য আনুগত্য দেখাচ্ছে৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে যে সব ঘটনা দেখা যাচ্ছে, তা মোটেই স্বতঃস্ফূর্ত নয়৷ রাষ্ট্র হিসেবে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত অভিযানের স্পষ্ট চিহ্ন টের পাওয়া যাচ্ছে৷ প্ররোচনা, বিচ্ছিন্নতাবাদে উদ্বুদ্ধ করা ও অন্তর্ঘাতের মাধ্যমে এ কাজ করা হচ্ছে৷

অন্যদিকে ইউক্রেন সংকটকে অজুহাত হিসেবে তুলে ধরে ন্যাটো পূর্ব ইউরোপে তাদের কর্তৃত্ব আরও জোরদার করার চেষ্টা করছে বলে রাশিয়া অভিযোগ জানিয়েছে৷ কাল্পনিক হুমকি খাড়া করে তারা সদস্য দেশগুলির উপর প্রভাব আরও বাড়াতে চাইছে বলে মন্তব্য করেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ রাশিয়ার সঙ্গে শত্রুতার পরিণতি যে ইউরোপের পক্ষে ভালো হবে না, এমন প্রচ্ছন্ন হুমকির সুরও শোনা যাচ্ছে৷ রাশিয়ার উপ প্রধানমন্ত্রী ইগর শুভালভ বার্লিনে বলেছেন, রাশিয়া এতকাল পশ্চিমা দেশগুলির জন্য এক নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহকারী দেশ হিসেবে আচরণ করে এসেছে৷ কিন্তু মস্কোর জ্বালানি পেতে অন্য অনেক দেশ আগ্রহী৷ ফলে রাশিয়া ইউরোপের উপর যে নির্ভরশীল নয়, তা তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন৷

চার পক্ষের আলোচনার আগে ইউক্রেনের সরকারও দেশের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়াপন্থি বিক্ষোভকারীদের প্রতি কিছুটা নমনীয় মনোভাব দেখাচ্ছে৷ যারা সরকারি ভবন দখল করে রেখেছে, তারা অস্ত্র ত্যাগ করলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে কিয়েভ সরকার৷

এসবি/এপিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ