1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউটিউবের প্রধান কার্যালয়ে হামলা

৪ এপ্রিল ২০১৮

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ইউটিউবের প্রধান কার্যালয়ে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে৷ এক নারী হামলাকারী নিজে আত্মহত্যা করার আগে আরো তিনজনকে আহত করেছেন৷ একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷

USA - Polizei-Einsatz wegen Schüssen bei der YouTube-Zentrale
ছবি: picture-alliance/AP/J. Chiu

ঘটনাটি মঙ্গলবারের৷ পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী ঐ নারীর নাম নাসিম নাজাফি আঘদাম৷ বয়স ৩৯৷ তিনি ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের স্যান ডিয়েগোর বাসিন্দা ছিলেন৷ কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়নি৷ পুলিশ হামলার কারণ জানার চেষ্টা করছে৷

গুলিতে আহত তিন জনের মধ্যে একজন পুরুষ ও দুইজন নারী৷ আহত পুরুষটির অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক৷ ঘটনার সময় পুরো কার্যালয়ের ২ হাজার কর্মীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে যায়৷ এছাড়া একজন হুড়োহুড়ির মধ্যে পা মচকে পড়ে যান৷ তাঁদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে৷

ঘটনার সময় সংস্থাটির এক কর্মী টুইটারে লেখেন, ‘‘ইউটিউব প্রধান কার্যালয়ে বন্দুক হামলা৷ গুলির আওয়াজ পেলাম৷ ডেস্ক থেকে দেখলাম কর্মীরা সবাই দৌঁড়াচ্ছেন৷ এখন একটি কক্ষে সহকর্মীদের সঙ্গে আছি৷''

আরো অনেক কর্মী টুইটারে ঘটনার বিবরণ দিয়ে পোস্ট দেন৷

আক্রমণকারী ঐ নারী আসলে একজন ভেগান (নিরামিষ বিষয়ক) ব্লগার৷ তার অনলাইন প্রোফাইল থেকে জানা যায় যে, তিনি ইউটিউবের বিরুদ্ধে তাঁর ভিডিও শেয়ারে বৈষম্য তৈরির অভিযোগ করেছিলেন৷

 আঘদাম একটি ওয়েবসাইট চালাতেন৷ এই ওয়েবসাইটে তিনি পার্সিয়ান সংস্কৃতি ও ভেগান বিষয়ে পোস্ট দিতেন৷ একইসঙ্গে তাঁর ওয়েবসাইটে ইউটিউবের সমালোচনামূলক অনেকগুলো পোস্ট রয়েছে৷

ভেগান ব্লগার নাসিম নাজাফি আঘদামছবি: picture alliance/AP Photo/Courtesy of San Bruno Police Department

সেখানে দেখা যাচ্ছে, তাঁর ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন করা থাকলেও অনেকগুলো ভিডিওতে প্রচুর ভিউ হলেও সেজন্য ইউটিউব তাকে কোনো পয়সা দেয়নি৷

আরেকটি স্ক্রিনশটে তিনি লিখেছেন, ‘‘ইউটিউব আমার চ্যানেলগুলোকে ফিল্টার করে রেখেছে যেন মানুষ দেখতে না পারে৷''

এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তাৎক্ষণিকভাবে টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘ইউটিউবের প্রধান কার্যালয়ের ঘটনা সম্পর্কে মাত্রই অবহিত হলাম৷ আমাদের প্রার্থনা রইলো কর্মীদের প্রতি৷ ঘটনাস্থলে উপস্থিত আমাদের অসাধারণ আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও যাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন, সবাইকে ধন্যবাদ জানাই৷''

স্থানীয় সংসদ সদস্য ও নগরের মেয়রও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানান এবং তড়িৎ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন৷

 প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে শত শত বন্দুকের হামলার ঘটনা ঘটে৷ এ দেশে খুব সহজেই একজন বন্দুকের মালিক হতে পারেন৷ সর্বশেষ ফ্রেব্রুয়ারিতে ফ্লোরিডায় একটি স্কুলে ১৭ জন নিহত হবার পর থেকে এই নীতি নিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে৷

প্রায় ১৫ লাখ মানুষ গত ২৪ মার্চ বন্দুক নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন৷

জেডএ/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ