ইউটিউব স্টার লিজা কোশি এবং ডেভিড ডবরিক নিজেদের বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন৷ এই দুই ইউটিউব স্টারের বিচ্ছেদ ঘোষণার ভিডিওটিই ছিল জুনের ৬ তারিখে সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল৷
বিজ্ঞাপন
জনপ্রিয় জুটি লিজা-ডেভিডের ইউটিউব যাত্রা শুরু ভাইন এন্টারটেইনমেন্ট নেটওয়ার্কের মধ্য দিয়ে৷ দু'জনই মজার মজার ভিডিও পোস্ট করে ‘ভাইন’ এন্টারটেইনমেন্ট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেছেন৷ ডেভিড ডবরিকের ইউটিউব ফলোয়ার প্রায় ৭০ লাখ৷ অন্যদিকে লিজার ফলোয়ার ১৫ লাখ৷ ইউটিউবারদের জগতে এই দু'জনের প্রেম আগে থেকেই আলোচনার বিষয় ছিল৷
বিচ্ছেদের ভিডিওটি নিজের চ্যানেলে প্রকাশ করেছেন ডেভিড ডবরিক৷ সেখানে দুইজনেই বলেছেন, তাঁদের মধ্যে ছয় মাস আগে বিচ্ছেদের সূত্রপাত হলেও তাঁরা এখন জনসমক্ষে সেটি ঘোষণা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ আবেগঘন এই ভিডিওটি মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউটিউবে ১৬ লাখ ভিউ ছাড়িয়েছে৷ ইউটিউবে এই বিচ্ছেদের ভিডিওটি দেখার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ২ লাখ ৩০ হাজারের কাছাকাছি৷ এতে লাইক পড়েছে ১২ লাখ এবং ডিজলাইক পড়েছে ৫৫ হাজার৷
এইচকে/এসিবি
ছাড়াছাড়ি মা-বাবার, ভোগান্তি সন্তানের
প্রযুক্তির সুবিধা বাড়ার সাথে বাড়ছে ডিভোর্স বা বিবাহবিচ্ছেদের সংখ্যা৷ বাড়ছে স্বামী-স্ত্রীর আলাদা থাকার প্রবণতাও৷ বিশেষজ্ঞদের মতে এসবের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সন্তানের মনোজগতে৷ ওর স্বাভাবিক বিকাশ হচ্ছে বাধাগ্রস্ত৷
ছবি: Getty Images/AFP/R. Beck
শিশুদের ভয় আর আতঙ্ক
সন্তানের কাছে মা-বাবার ছাড়াছাড়ি মেনে নেয়া অনেক কষ্টকর৷ বিশেষ করে সন্তানের বয়স যদি কম থাকে৷ এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, হঠাৎ করে একজনের সাথে, অর্থাৎ মা বা বাবার সাথে থাকতে হয় বলে শতকরা ৩৭ থেকে ৪৮ ভাগ শিশু-কিশোরের মনেই অন্যজনকে হারানোর ভয় থাকে৷
ছবি: goodluz - Fotolia
যে কষ্ট তারা বোঝাতে পারে না
যে কোনো সন্তানের কাছে মা-বাবাই তার সবচেয়ে কাছের, ভালোবাসার মানুষ৷ আর তাদের মধ্যেই যখন বোঝাপড়া না হয়, তখন শিশুরা হয়ে পড়ে অসহায়৷ যা থেকে অনেক শিশু বা কিশোর-কিশোরী প্রচণ্ড আঘাত পায় আর সেই আঘাতের ক্ষত হয়তো তাকে সারা জীবনই কষ্ট দেয়৷ এমনটাই মনে করেন মিউনিখের মনোচিকিৎসক বেনেডিক্ট ক্লাউকে৷
ছবি: Fotolia/Kitty
‘আমাকে কেউ ভালোবাসে না, আমি মূল্যহীন’
মা-বাবার ছাড়াছাড়ির মনোকষ্টের কথা শিশুরা সহজে বোঝাতে পারে না৷ তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মাথা ব্যথা, পেট ব্যথা, পড়াশোনায় মনোযোগ না থাকা বা অকারণে হঠাৎ করে রেগে যাওয়া – এ সবের মধ্য দিয়েই শিশুদের কষ্টের প্রকাশ ঘটে৷ ওদের তখন মনে হয়, ‘‘আমার কেউ নেই৷ আমাকে কেউ ভালোবাসে না৷ আমি মূল্যহীন৷’’ ওরা ভাবে, ওদের যদি কেউ ভালোবাসে, তাহলে ভালোবাসার দু’জন মানুষের মধ্যে একজন তাকে ছেড়ে যাবে কেন?
ছবি: picture-alliance/dpa
দীর্ঘস্থায়ী বিষণ্ণতা
ডিভোর্স বা ছাড়াছাড়ি যেমন মা-বাবার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ, তেমনি সন্তানের জন্যও৷ সমীক্ষায় জানা গেছে, পরিবারকে নতুন পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে মা এবং বাবাকেই বড় ভূমিকা নিতে হবে৷ সন্তানের সাথে কথা বলার জন্য যে কোনো পরিস্থিতেই পিতা-মাতাকে প্রস্তুত থাকতে হবে৷ তাছাড়া সন্তানের কাছে একে অপরকে দোষারোপ করাও উচিত নয়, কারণ, এই জটিল ব্যাপারে বাবা বা মায়ের পক্ষ নিতে গিয়ে সন্তানকে যেন বিচারকের ভূমিকা না নিতে হয়৷
মা-বাবা যা করবেন
যেসব দম্পতির ছাড়াছাড়ি হয়েছে তাঁদের প্রতি বেনেডিক্ট ক্লাউকের পরামর্শ, ‘‘সন্তান যার কাছেই থাকুক না কেন, ওকে এমন একটা অনুভূতি বা ধারণা দিন যেন ও মনে করে, আপনারা আলাদা থাকলেও ওকে দু’জনই সমান ভালোবাসেন, কারণ, শিশুর জন্য মানবিক সম্পর্কের জায়গাগুলো বেশ জটিল৷ তাই যতটা সম্ভব ওর সাথে সময় কাটান৷ ‘তোমাকে ভালোবাসি’ বলতে ভুলবেন না৷ জানিয়ে দিন, ওর যে কোনো সমস্যায় আপনারা ওর সাথে আছেন এবং থাকবেন৷’’