1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রামপালে ইউনেস্কোর অনাপত্তি

৭ জুলাই ২০১৭

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে আপত্তি প্রত্যাহার করেছে ইউনেস্কো৷ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্যই জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ তবে তাতে কমছে না আপত্তি৷ বরং ইউনেস্কোকেই সন্দেহের চোখে দেখছেন আনু মুহাম্মদ৷

Indien Gegner des Rampal-Kraftwerks demonstrieren nahe Sundarban
ছবি: picture-alliance/dpa/Pacific Press/M. Hasan

এতদিন সুন্দরবনের কাছেই রামপালে ভারত -বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের তীব্র বিরোধিতা করছিল জাতিসংঘের এই সংস্থাটি৷ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা থেকে সরে না এলে ঝুঁকিপূর্ণ বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় নেয়া হবে সুন্দরবনের নাম, এমন হুমকিও দিয়েছিল ইউনেস্কো৷

নিজের বক্তব্য থেকে ইউনেস্কোর হঠাৎ এমন সরে আসাকে তাই ভালো লক্ষণ হিসেবে দেখছেন না আন্দোলনকারীরা৷

তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দর ও খনিজ সম্পদ রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ইউনেস্কো কয়েক বছর ধরে এ নিয়ে সমীক্ষা করেছে৷ তাদের বিশেষজ্ঞ দল রামপালে এসেছে৷ সরকারের নানা চেষ্টা সত্ত্বেও তারা স্বাধীনভাবে একটা বিশেষজ্ঞ মত দিয়েছে৷ কী কী কারণে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবনের জন্য সর্বনাশা হবে, সে বিষয়ে তাদের সুনির্দিষ্ট বক্তব্যও ছিল৷ সেই বৈজ্ঞানিক তথ্য-উপাত্ত তো পরিবর্তন হয়ে যায়নি৷''

রামপালে ইউনেস্কোর অনাপত্তি

This browser does not support the audio element.

গত বছর অক্টোবরে দীর্ঘ এক রিপোর্ট প্রকাশ করে ইউনেস্কো৷ রামপাল ঘুরে এসে বিভিন্ন পক্ষের সাথে কথা বলার পর তৈরি করা হয় এই প্রতিবেদন৷ কয়লা, বর্জ্য, শব্দ এবং শিল্পায়ন – এই চার বিষয়ে ক্ষতির আশঙ্কাও তুলে ধরা হয়৷

আনু মুহাম্মদ মনে করছেন, এই সিদ্ধান্তে ইউনেস্কোরই পরাজয় হয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের লবিস্টদের দীর্ঘদিনের চেষ্টার ফল ইউনেস্কোর এই মত পরিবর্তন৷ এতে ভারত সরকার এবং বিভিন্ন কোম্পানিরও ভূমিকা থাকতে পারে৷''

তবে এমন মন্তব্য একেবারেই মানতে নারাজ ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘এতদিন সুন্দরবনের ক্ষতি প্রতিরোধে আমরা যে টেকনিক্যালি সাউন্ড, তা আমরা ইউনেস্কোকে বুঝাতে পারছিলাম না৷ তবে শেষ পর্যন্ত সরকার তা বোঝাতে সক্ষম হয়েছে৷''

পোল্যান্ডের বৈঠকে বাংলাদেশ সরকারকেসুন্দরবনসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আবার কৌশলগত পরিবেশ সমীক্ষা করার অনুরোধ জানিয়েছে ইউনেস্কো৷ শহিদুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ আবারও সমীক্ষা করতে রাজি হয়েছে৷

শহিদুল ইসলাম

This browser does not support the audio element.

তবে কখন শুরু হবে সেই সমীক্ষা? শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘যোগ্য ফার্মকে নিয়মমাফিক কাজ দিয়ে তারা যে নাগাদ শেষ করতে পারবে, সেরকম সময়ই লাগবে৷ আনুমানিক ধারণা করা হয়েছে এই কাজ শেষ হতে ২০১৮ সালের শেষ নাগাদ লেগে যেতে পারে, কিংবা তার বেশিও হতে পারে৷''

সমীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার আগেই শুরু হবে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ৷ তবে শহিদুল ইসলাম মনে করছেন, ক্ষতিকর কিছু হতে পারে, সে ধারণা থেকে বসে থাকার সময় এখন আর নেই৷

গত বছরের জুলাইয়ে সরকারের দেয়া পরিবেশ সমীক্ষাকে ত্রুটিপূর্ণ বলে বয়কট করেছেন আন্দোলনকারীরা৷ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাও ‘অবৈজ্ঞানিক' আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখান করেছে এই প্রতিবেদন৷ এবারও সেরকমই একটি সমীক্ষার আশঙ্কা করছেন আনু মুহাম্মদ৷ ফলে তিনি মনে করেন, ‘‘ইউনেস্কো আপত্তি প্রত্যাহার করলেও বাংলাদেশের মানুষ তাদের আপত্তি প্রত্যাহার করছে না৷''

প্রতিবেদনটি নিয়ে আপনার কিছু বলার থাকলে লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ