নারী ও কন্যাশিশুদের শিক্ষা প্রসারের স্বীকৃতি হিসাবে ইউনেস্কোর ‘পিস ট্রি’ অথবা ‘শান্তিবৃক্ষ’ পুরস্কার পেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ সোমবার ঢাকায় ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা শেখ হাসিনার হাতে এই স্মারক তুলে দেন৷
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ‘শান্তিবৃক্ষ' স্মারক তুলে দেয়ার সময় হাসিনাকে ‘সাহসী নারী' হিসেবে অভিহিত করেন ইউনেস্কোর মহাপরিচালক৷ তিনি বলেন, নারী ও কন্যাশিশুদের ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব মঞ্চের ‘জোরালো এক কণ্ঠ'৷
ইউনেস্কোর এই পুরস্কার বিশ্বের সকল নারী ও শিশুদের উত্সর্গ করেছেন শেখ হাসিনা৷ বিশেষ করে বাংলাদেশের কন্যাশিশুদের৷ সাক্ষরতা ও শিক্ষাক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘ইউনেস্কো লিটারেসি অ্যাওয়ার্ড ২০১৪' পাওয়া যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, আলজেরিয়া, ইকুয়েডর ও বুর্কিনা ফাসোর বিশিষ্টজনদেরও অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী৷ বিশ্বব্যাপী শিক্ষা ও সাক্ষরতায় অসামান্য অবদানের জন্য সাত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করে ইউনেস্কো৷ পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে সনদ, স্মারক ও পুরস্কারের অর্থ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী৷
বাঙালি নারীর দশ গুণ
গরবিনি, আবেগী এবং স্বাধীনচেতা – বাঙালি নারীর সঙ্গে এই তিনটি বিশেষণই মানানসই৷ নারীর গুণ সম্পর্কে জানিয়েছেন ডয়চে ভেলের পাঠকরা৷ তাঁদের মতামত এবং বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি বাঙালি নারীর দশগুণ নিয়ে ছবিঘর৷
ছবি: Zaman/AFP/GettyImages
আবেগী, স্বাধীনচেতা
গরবিনি, আবেগী এবং স্বাধীনচেতা – বাঙালি নারীর সঙ্গে এই তিনটি বিশেষণই মানানসই৷ আবেগ যেমন তাঁদের দ্রুত স্পর্শ করে, তেমনি স্বাধীনতার প্রশ্নে কিন্তু তাঁরা সত্যিকার অর্থে অনড়৷ নিজের সত্ত্বা নিয়ে অহংকার তাঁদের আছে বটে, তবে তার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের মধ্যে রয়েছে অসীম ধৈর্য্য৷
ছবি: Zaman/AFP/GettyImages
শাড়িতে সবচেয়ে সুন্দর
বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে শাড়ি৷ সেই শাড়ি বাঙালি নারীর সৌন্দর্য্য ফুটিয়ে তোলে চমৎকারভাবে৷ বিভিন্নভাবে শাড়ি পরতে জানেনও তাঁরা৷ আর ‘উপহার হিসেবে শাড়ি’? – কোন বাঙালি মেয়ে না চায় বলুন?
ছবি: DW/A. Islam
উৎসব প্রেমী
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন৷ নববর্ষ, ঈদ কিংবা দুর্গা পূজা – সব উৎসবই যেন বাঙালি নারীর জন্য তৈরি৷ প্রতিটি উৎসবের সঙ্গে মানানসই পোশাক পরতে এবং সেই উৎসবের উপযুক্ত রান্নায় পারদর্শী তাঁরা৷ ডয়চে ভেলের পাঠক সুজন খানের কথায়, ‘‘বঙ্গের নারী লাজুক প্রকৃতির, কিন্তু যে কোনো উপলক্ষ্যেই প্রাণ খোলা হাসি উপচে পড়ে তাঁদের৷’’
ছবি: Zaman/AFP/GettyImages
‘নো ডায়েট’
বাঙালি নারী ‘ডায়েট’ করছেন, এমনটা বেশ বিরল৷ তাই খাওয়ার ব্যাপারে তাঁরা বেশ উদার৷ কথায় বলে না, মাছে-ভাতে বাঙালি? অবশ্য মাছ-ভাতের পাশাপাশি ফুসকা কিংবা চটপটি পেলে তো আর কথাই নেই৷ আসলে টক, ঝাল, নোনতা, মিষ্টি, এমনকি তেতোও পছন্দ এই নারীদের৷
ছবি: Debarati Mukherji
রান্নার শখ
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথাই ধরুন৷ দেশ সামলানোর কঠিন দায়িত্ব পালনের মাঝেও রান্না ঘরে যেতে ভোলেন না তিনি৷ গত বছর ছেলের জন্য রান্না করার সময় তোলা তাঁর এই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোড়ন তুলেছিল৷ বাঙালি মেয়েরা রাঁধতে যে ভীষণ ভালোবাসেন!
ছবি: Sajeeb Wazed
অল্পতেই সন্তুষ্ট
বাঙালি মেয়েদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলা কি খুব কঠিন? না৷ সকলেই জানেন যে, কাজটা সহজই৷ একটি লাল গোলাপ পেলে কিংবা প্রিয় রেস্তোরাঁয় নিয়ে গেলেই তাঁরা সন্তুষ্ট৷ ডয়চে ভেলের পাঠক রন্জু খালেদের মতে, বাঙালি নারীর মধ্যে ‘একইসাথে দৃঢ়তা ও নমনীয়তা এবং প্রজাপতির চপলতা’ রয়েছে৷
ছবি: DW/A. Islam
কাজল কালো চোখ
জীবনানন্দ দাসের ‘বনলতা সেন’ কিংবা রবি ঠাকুরের ‘কৃষ্ণকলি’ – বাঙালি নারীর কাজল কালো চোখের প্রশংসা পাবেন অনেক কবির কবিতাতেই৷ সত্যি বলতে কি, বাঙালি নারীর চোখ পুরুষকে টানে সবচেয়ে বেশি৷
ছবি: N.Seelam/AFP/GettyImages
বাকপটু
বাংলাদেশের কিংবা ভারতের মেয়েরা চুপ করে বসে আছেন – এমন দৃশ্য কল্পনা করাও কঠিন৷ তাঁরা কথা বলতে ভালোবাসেন৷ রান্না থেকে রাজনীতি – সব বিষয়েই একটা মতামত আছে তাঁদের৷ ডয়চে ভেলের পাঠক জিএনএস নয়নের কথায়, ‘‘নারী পুরুষের যে কোনো কষ্ট অতি সহজে ভুলিয়ে দিতে পারে৷ এই গুণই আমাকে মুগ্ধ করে, আবার সাথে অবাকও করে৷’’
ছবি: DW/A. Islam
নারীবাদী
বাঙালি মেয়েরা নারীবাদী৷ বিতর্কিত বাঙালি লেখিকা তসলিমা নাসরিন তাঁদের অনেকেরই প্রিয়৷ নাসরিনের ‘আমার মেয়েবেলা’ পড়েনি এমন নারী পাওয়া মুশকিল৷
ছবি: AFP/Getty Images
ভ্রমণপ্রিয়
বাংলাদেশি কিংবা ভারতীয় বাঙালি নারীর গুণ কি আর অল্পতে জানানো যায়, বলুন? কিছু গুণ না হয় অজানাই থাক৷ তবে একটির কথা বলে শেষ করি, বাঙালি মেয়েরা কিন্তু ঘুরতে খুব ভালোবাসেন৷ তথ্য সহায়তা: ডয়চে ভেলে ফেসবুক পাতা, ইন্ডিয়াওপাইন্স, স্কুপহুপ
ছবি: DW/A. Islam
10 ছবি1 | 10
পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন, বুর্কিনা ফাসোর ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য প্রমোশন অফ নন-ফরমাল এডুকেশন'-এর প্রেসিডেন্ট আনাতোলে টি. নিয়ামেওগো, ইকুয়েডরের শিক্ষামন্ত্রী আগুস্তো এসপিনোসা, আলজেরিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ অ্যালফাবেটাইজেশন-র প্রেসিডেন্ট আয়েশা বার্কি, স্পেনের পারমানেন্ট এডুকেশন সেন্টার পলিগনো সার সেবিলি-র পরিচালক আনা গার্থিয়া রেইনা, এ প্রতিষ্ঠানের উপ-পরিচালক ইসাবেল দিয়েলবার্ত, দক্ষিণ আফ্রিকার মল্টটেনো ইনস্টিটিউট ফর ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড লিটারেসি অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল লিটারেসি ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসেনিনয়া দিকোতলা এবং এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ড্যান এ. ওয়াগনার৷
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘আমি মনে করি, উপযুক্ত শিক্ষাই পারে একটি মেয়েকে সামাজিক, মানসিক ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে৷ যে কোনো ধরনের অন্যায় ও বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সাহসও শিক্ষাই দিতে পারে৷ আমরা সে কাজটিই করে যাচ্ছি৷''
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘‘সরকার শিক্ষার মানোন্নয়নে নতুন ‘কারিকুলাম' প্রণয়ন করেছে৷ প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা থেকে শুরু করে জুনিয়র স্কুল, মাধ্যমিক স্কুল ও উচ্চমাধ্যমিকসহ সকল প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে৷ এখন ৯২ শতাংশ পাশ করছে৷ পরবর্তীতে কম করে হলেও ৯৮ ভাগ পাশ করবে এটাই আমাদের লক্ষ্য৷'' বাংলাদেশ সরকার ‘নারী ও কন্যাশিশুদের স্বাক্ষরতা ও শিক্ষা: টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি' শীর্ষক ইউনেস্কোর এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করে৷
অ্যাসিড সন্ত্রাস!
একটা সময় বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রায়ই আসতো নারীর ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপের খবর৷ এমন বর্বরোচিত হামলা এখনও হয় কিছু দেশে৷ কয়েকটি দেশ ঘুরে জার্মান ফটোগ্রাফার অ্যান-ক্রিস্টিন ভোর্ল-এর তোলা ছবি নিয়ে আজকের ছবিঘর৷
ছবি: DW/M. Griebeler
বাংলাদেশের ফরিদা
ফরিদার স্বামী ছিলেন ড্রাগ এবং জুয়ায় আসক্ত৷ ঋণের দায়ে একসময় বাড়িটাও বিক্রি করে দেয় নেশাগ্রস্ত লোকটি৷ রেগেমেগে ফরিদা বলেছিলেন, এমন স্বামীর সঙ্গে আর ঘর করবেন না৷ সেই রাতেই হলো সর্বনাশ৷ ঘুমন্ত ফরিদার ওপর অ্যাসিড ঢেলে দরজা বন্ধ করে দিল পাষণ্ড স্বামী৷ যন্ত্রণায় চিৎকার করছিলেন ফরিদা৷ প্রতিবেশীরা এসে দরজা ভেঙে উদ্ধার করে তাঁকে৷
ছবি: Ann-Christine Woehrl/Echo Photo Agency
মায়ের স্নেহে, বোনের আদরে...
অ্যাসিডে ঝলসে যাওয়ার সময় ফরিদা ছিলেন ২৪ বছরের তরুণী৷ ১৭টি অস্ত্রোপচারের পর এখন কিছুটা সুস্থ৷ তবে সারা গায়ে রয়েছে দগদগে ঘায়ের চিহ্ন৷ পুড়ে যাওয়া জায়গাগুলোর ত্বক মসৃণ রাখতে প্রতিদিন মালিশ করে দেন মা৷ নিজের কোনো বাড়ি নেই বলে মায়ের সাথেই বোনের বাড়িতে থাকেন ফরিদা৷
ছবি: Ann-Christine Woehrl/Echo Photo Agency
উগান্ডার ফ্লাভিয়া
ফ্লাভিয়ার ওপর এক আগন্তুক অ্যাসিড ছুড়ে মেরেছিল ৫ বছর আগে৷ আজও ফ্লাভিয়া জানেন না, কে, কেন তাঁর ওপর হামলা চালালো৷ বিকৃত চেহারা নিয়ে অনেকদিন ঘরেই ছিলেন৷ বাইরে যেতেন না৷ এক সময় ফ্লাভিয়ার মনে হলো, ‘‘এভাবে ঘরের কোণে পড়ে থাকার মানে হয় না৷ জীবন এগিয়ে চলে৷ আমাকেও বেরোতে হবে৷’’
ছবি: Ann-Christine Woehrl/Echo Photo Agency
আনন্দময় নতুন জীবন
এখন প্রতি সপ্তাহে একবার সালসা নাচতে যায় ফ্লাভিয়া৷ আগের সেই রূপ নেই, তাতে কী, বন্ধুদের কাছে তো রূপের চেয়ে গুণের কদর বেশি! ফ্লাভিয়া খুব ভালো নাচ জানেন৷ তাই একবার শুরু করলে বিশ্রামের সুযোগই পান না৷ এভাবে পরিবার আর বন্ধুদের সহায়তায় আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ফ্লাভিয়া৷
ছবি: Ann-Christine Woehrl/Echo Photo Agency
ভারতের নীহারি
নীহারির বয়স তখন ১৯৷ একরাতে আত্মহত্যা করার জন্য আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন নিজের শরীরে৷ স্বামীর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন থেকে মুক্তি পাওয়া জরুরি মনে হয়েছিল তখন৷
ছবি: Ann-Christine Woehrl/Echo Photo Agency
নতুন রূপ
যে ঘরটিতে বসে নীহারি তাঁর চুল ঠিক করছেন এটা ছিল বাবা-মায়ের শোবার ঘর৷ এখানেই নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন৷ দেয়াশলাইয়ের বাক্সে একটা কাঠিই ছিল৷ তা দিয়েই আগুন জ্বালিয়েছিলেন শরীরে৷ তবে এখন আর দুর্বল মনের মেয়েটি নেই নীহারি৷ নিজেকে সামলে নিয়ে একটা সংস্থা গড়েছেন৷ সংস্থাটির নাম, ‘পোড়া মেয়েদের রূপ’৷
ছবি: Ann-Christine Woehrl/Echo Photo Agency
পাকিস্তানের নুসরাত
দু-দুবার অ্যাসিড ছোড়া হয়েছে নুসরাতের ওপর৷ প্রথমে স্বামী আর তারপর দেবর৷ ভাগ্যগুণে বেঁচে আছেন নুসরাত৷ ভালোই আছেন এখন৷
ছবি: Ann-Christine Woehrl/Echo Photo Agency
আশার আলো
দু-দুবার অ্যাসিড হামলার শিকার হওয়ায় মাথার অনেকটা চুলও হারিয়েছেন নুসরাত৷ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে মাথার ক্ষতস্থান পুরোপুরি সারিয়ে চুল এবং আগের হেয়ারস্টাইল ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি৷
ছবি: Ann-Christine Woehrl/Echo Photo Agency
বন্ধুদের মাঝে...
নিজের ভাবনা, যন্ত্রণার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে কিংবা গল্প করতে প্রায়ই অ্যাসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন (এএসএফ)-এ যান নুসরাত৷ সেখানে এমন অনেকেই আসেন যাঁদের জীবনও অ্যাসিডে ঝলসে যেতে বসেছিল৷ এখন সকলেই জানেন, তাঁরা আর একা নন৷
ছবি: Ann-Christine Woehrl/Echo Photo Agency
9 ছবি1 | 9
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্নাতক পর্যায়ে নারী শিক্ষাকে উত্সাহিত করতে ‘প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা-সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড' গঠন করেছি৷ এই ফান্ডে সরকার এক হাজার কোটি টাকা সিড মানি প্রদান করেছে৷ ইতোমধ্যেই এই ফান্ড থেকে স্নাতক ও সমপর্যায়ের ১ লাখ ২৯ হাজার ৮১০ জন ছাত্রীকে প্রায় ৭৩ কোটি টাকার উপবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে৷ এতে নারীরা স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে৷ ছাত্রদের তালিকাও করা হয়েছে৷ আগামীতে ছাত্রদের উপবৃত্তি দেয়া হবে৷ নারী কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘আমরা মেয়েদের নতুন নতুন পেশায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছি৷ সব পেশায়ই মেয়েদের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে৷''
এছাড়া বেকার নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে৷ আত্ম-কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে৷ নারী উদ্যোক্তা সৃজনে জামানতবিহীন ঋণ দেওয়া হচ্ছে৷ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার ক্ষেত্রে নারীদের জন্য ৬০ শতাংশ কোটা বরাদ্দ রাখার বিষয়টিও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী৷
শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘বিশ্বের প্রতিটি শিশু, বিশেষ করে কন্যাশিশুকে শিক্ষাদান আমাদের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ৷ আজও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মেয়েরা স্কুলে যেতে বিভিন্ন প্রতিকূলতার শিকার হয়৷ তাদের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়৷ আমরা এর অবসান চাই৷ এটাই হোক আজকের এই সম্মেলনে আমাদের দৃপ্তশপথ৷''
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘বাংলাদেশ এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছে৷ এখন প্রতিটি শিশু স্কুলে যেতে পারছে৷''