1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপবাসীর ওজন বাড়ছে

নুরুননাহার সাত্তার২৬ নভেম্বর ২০১৩

ইউরোপে অতিরিক্ত ওজনের মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে৷ আর এ সব মানুষের মধ্যে নানা রোগ-বালাই ছড়িয়ে পড়ছে৷ জাতিসংঘ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বেশ কিছুদিন আগেই এই বিষয়ে সাবধানবাণী উচ্চারণ করেছে৷

Curry Sausage Bildnummer 4243027 © koi88 - Fotolia.com Land Deutschland Repräsentative Kategorie Essen & Trinken Essen Fleisch Konzeptionelle Kategorie Wohlbefinden Gesundheit Ernährung
ছবি: Fotolia/koi88

অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা বিবেচনায় এক নম্বরে রয়েছে হাঙ্গেরি, তারপর যথাক্রমে ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, মাল্টা এবং লুক্সেমবুর্গ৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে এদের অবস্থা সবচেয়ে সঙ্গিন৷

তবে পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, তুলনামূলকভাবে জার্মানির অবস্থা তেমন একটা খারাপ নয়৷ জার্মানিতে মানুষের বয়সের সাথে সাথে ওজনও বাড়ে৷ ইদানীং অবশ্য কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে মোটা হওয়ার প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ বর্তমানে কিশোর-কিশোরীদের অতিরিক্ত ওজনের সংখ্যা প্রায় চার মিলিয়ন৷ জার্মানিতে ১৯৯০ সালের পর থেকে ১৭ বছর বয়সি কিশোর-কিশোরীদের অতিরিক্ত মোটা হওয়ার সংখ্যা বেড়ে শতকরা ৫০ হয়েছে৷ অন্যদিকে, অ্যামেরিকা এবং ব্রিটেনে অতিরিক্ত মোটা কিশোর-কিশোরীর সংখ্যা আগের মতোই রয়েছে, অর্থাৎ শতকরা ৬০ ভাগের ওপরে৷

ছবি: DW/L. Tarek

পরিমাণ মতো খান, ওজন কমান

মোটা রোগীরা যখন ডাক্তারের কাছে যান, ডাক্তাররা প্রথমেই ওজন কমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন৷ অতিরিক্ত ওজনের মানুষদেরই উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিস হবার আশঙ্কা থাকে৷ প্রতিদিন খাবারে তালিকায় দুধ বা দুধ জাতীয় খাবার রাখতে হবে৷ নিয়মিত খেতে হবে তাজা শাক-সবজি, রুটি, নুডলসসহ বিভিন্ন শস্যদানা, আলু ইত্যাদি৷ তবে মাছ, মাংশ, ডিমের প্রয়োজন প্রতিদিন নেই, সপ্তাহে এক বা দু'দিন হলেই যথেষ্ট৷

জার্মানির খাদ্য সংস্থা জানিয়েছে, খাবার উপভোগ করা মানেই কিন্তু মোটা হওয়া নয়৷ ওজন ঠিক রাখতে হলে মনে রাখতে হবে রান্না করার সময় কম তাপ, অল্প সেদ্ধ, কম তেল আর কম পানি ব্যবহার করার কথা৷ এসব দিকে লক্ষ্য রাখলেই কেবল খাবারের আসল স্বাদ ও পুষ্টি ধরে রাখা সম্ভব৷

খেলাধুলা ও ব্যায়াম করা জরুরি

তাছাড়া কিশোর-কিশোরীদের ওজন কমানোর জন্য অ্যামেরিকার স্কুলগুলোর মতো আরো বেশি খেলাধুলা এবং ব্যায়ামের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন জার্মানির বখুম শহরের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ব্যার্নহার্ড গিসে৷

সকালের নাস্তা গুরুত্বপূর্ণ

বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালের নাস্তা ভালো করে করতে হবে৷ সেক্ষেত্রে দিনে একবেলা কম খেলেও সমস্যা নেই৷ পাশাপাশি ফাস্ট ফুড খাওয়া কমাতে হবে এবং সপ্তাহে অন্তত দু'দিন ব্যায়াম করা প্রয়োজন৷ ওজন কমানোর জন্য শুধু খাদ্যাভাসের পরিবর্তন করলেই হবে না, করতে হবে প্রচুর হাঁটা-চলা এবং ব্যায়াম৷ এছাড়াও পান করতে হবে প্রচুর পানি৷ একমাত্র তবেই কাঙ্খিত স্বাস্থ্য পাওয়া সম্ভব৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ