1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপীয় ইউনিয়নে ‘ইন্টারনেট ডিভাইড’

২৫ ডিসেম্বর ২০১১

ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত দেশগুলোতে বসবাসরত পঞ্চাশ কোটি মানুষের প্রায় এক-চতুর্থাংশ কখনো ইন্টারনেট ব্যবহার করেননি৷ তাছাড়া ইউরোপের উত্তরের বাসিন্দারা যতটা ইন্টারনেট-বৎসল, দক্ষিণ এবং পূর্বের বাসিন্দারা ঠিক তার উল্টো৷

আলবেনিয়ার রাজধানী তিরানার একটি ইন্টারনেট ক্যাফেছবি: Mimoza Dhima

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইন্টারনেট ব্যবহার বিষয়ক এক জরিপে বেরিয়ে এসেছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য৷ এতে দেখা যাচ্ছে, ইউরোপের ১০ কোটি মানুষের মধ্যে ২৪ শতাংশ কখনোই ইন্টারনেটে প্রবেশ করেননি৷ ইইউভুক্ত ২৭টি দেশের ১৬ থেকে ৭৪ বছর বয়সি মানুষের মধ্যে জরিপ পরিচালনা করে জোটটি৷ গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে ইইউ পরিসংখ্যান দপ্তর জানিয়েছে, বর্তমানে অনেক মানুষের পক্ষেই ইন্টারনেট ছাড়া জীবনযাপন এক রকম অসম্ভব৷ তথাপি ইউরোপের কিছু সংখ্যক মানুষ, যে সংখ্যাটি নেহাত ফেলনা নয়, কখনো ইন্টারনেট ব্যবহার করেনি৷

ইউরোপে নারীদের তুলনায় পুরুষরা আবার কিছুটা বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করছে৷ ইন্টারনেট-বৎসলদের দলে থাকা পুরুষদের তিন-চতুর্থাংশ সপ্তাহে একদিন অন্তত ওয়েব দুনিয়ায় পা রাখে৷ অন্যদিকে, নারীদের ক্ষেত্রে এই হার ৬৫ শতাংশ৷

চীনে ইন্টারনেট ব্যবহার এখন সর্বোচ্চছবি: AP

ইইউ'র প্রতিবেদনে, এই অঞ্চলের দুই অংশের মধ্যে একটি ব্যবধান ফুটে উঠেছে৷ সমৃদ্ধশালী উত্তর আর দরিদ্র দক্ষিণের মধ্যকার ব্যবধান৷ উত্তরে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যেমন বেশি, দক্ষিণে তেমনই কম৷ উদাহরণ হিসেবে রোমানিয়া'র কথা ধরা যাক৷ সেদেশের ৫৪ শতাংশ মানুষ কখনোই ইন্টারনেট ব্যবহার করেনি৷ বাড়ি, ইন্টারনেট ক্যাফে কিংবা স্মার্ট ফোন - কোথাও ইন্টারনেট ব্যবহার করেনা রোমানিয়ার অর্ধেকের বেশি জনগণ৷ বুলগেরিয়া, গ্রিস, সাইপ্রাস এবং পর্তুগালের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী'র বাড়িতে কোন ইন্টারনেট সংযোগ নেই৷

অন্যদিকে, ইউরোপের মধ্যে সুইডেনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি৷ সেদেশের মোট জনগোষ্ঠীর মাত্র ৫ শতাংশ ইন্টারনেট থেকে দূরে আছে৷ লুক্সেমবুর্গ এবং ডেনমার্কের নব্বই শতাংশের বেশি নাগরিক ইন্টারনেট ব্যবহার করে৷

বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশের বর্ষীয়ান জনগোষ্ঠীর চাহিদা ভিন্ন৷ এই গোষ্ঠীর কাছে বর্তমান যুগের ইন্টারনেট বিশেষ গুরুত্ব বহন করে না৷ এস্টনিয়ার ইন্টারনেট গুরু লিনার ভিক ইইউ'র প্রতিবেদন সম্পর্কে ডয়চে ভেলেকে বলেন, এই প্রতিবেদনে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই৷ আপনি যদি বিভিন্ন দেশের সামাজিক কাঠামোর দিকে তাকান, তাহলে দেখতে পাবেন, সমাজের বর্ষীয়ান গোষ্ঠীর মধ্যে ইলেকট্রনিক সেবা ব্যবহারের তেমন ইচ্ছা বা চাহিদা নেই৷ বরং স্থানীয় কমিউনিটি বর্ষীয়ানদের চাহিদা মেটাতে সক্ষম৷

ইউরোপে ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা বাড়াতে আরো বিনিয়োগ প্রয়োজন, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নও পরিকাঠামোগত খাতে উন্নয়নে অর্থ ব্যয়ে উদ্যোগ নিচ্ছে৷ আগামী পাঁচ বছরের জন্য জোটটি এই খাতে খরচ করছে ১.২ বিলিয়ন ইউরো৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ