ইউরোপে আসার স্বপ্ন ধূলিসাৎ হলো এক বাংলাদেশি যুবকের
১৮ অক্টোবর ২০১৭
নির্যাতন, তিনবার দাস হিসেবে বিক্রি হওয়া, এমনকি নিজ আত্মীয়কে মরতে দেখার অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশে ফিরেছেন খালিদ হোসেন৷ অথচ স্বপ্ন দেখেছিলেন, উজ্জ্বল ভবিষ্যতের৷ মনে করেছিলেন, সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইটালি পৌঁছানো সময়ের ব্যাপার মাত্র৷
বিজ্ঞাপন
বহু রোহিঙ্গা শরণার্থী যেমন সংঘাতপ্রবণ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে এসেছেন নিরাপদ জীবনের আশায়, তেমনই আরো জীবনের আশায় অনেক বাংলাদেশিও পাড়ি দিয়েছেন ইউরোপে৷ ইউরোপে যাওয়াটা যদিও মোটেই সহজ নয়৷
এই যেমন খালেদ হোসেনের কথাই ধরুন৷ এই তরুণ দক্ষিণ এশিয়ার আরো অনেকের মতো লিবিয়া হয়ে ইউরোপে প্রবেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন৷ সেই স্বপ্ন পূরণ করতেই তিনি একদিন হাজির হন লিবিয়ার সমুদ্র উপকূলে৷ সমুদ্র পাড় হলেই ইটালি৷ তাই আশায় বুক বাঁধেন তিনি, উঠে বসেন একটি নৌকায়৷ হোসেনের কথায়, ‘‘আমি উদ্দীপ্ত ছিলাম এটা ভেবে যে, কয়েক ঘণ্টা পরেই ইটালি পৌঁছাবো৷ ভেবেছিলাম, আমার পরিবারের সব আর্থিক সমস্যা তখন মিটে যাবে৷ পঙ্গু বাবার কাছে প্রমাণ করবো যে, আমি ফেলনা নয়৷''
শরণার্থী সংকটের কিছু আইকনিক ছবি
ইউরোপে ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে বিপুল সংখ্যক অভিবাসী প্রবেশের ছবি গোটা বিশ্বে ছড়িয়েছে এবং মানুষের মতামত সৃষ্টিতে প্রভাব বিস্তার করেছে৷ অভিবাসন এবং অভিবাসনের ফলে সৃষ্ট ভোগান্তির এত ছবি আগে দেখেনি বিশ্ব৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/E. Morenatti
লক্ষ্য: টিকে থাকা
অনিশ্চিত যাত্রার ধকল সামলাতে হয় শারীরিক এবং মানসিকভাবে৷ ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচতে হাজার হাজার সিরীয় নাগরিক তুরস্ক হয়ে গ্রিসে জড়ো হয়েছেন৷ সে দেশের তিনটি দ্বীপে এখনো দশ হাজারের মতো শরণার্থী বসবাস করছেন৷ চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস অবধি ছয় হাজার নতুন শরণার্থী এসেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Messinis
পায়ে হেঁটে ইউরোপে
২০১৫ এবং ২০১৬ সালে এক মিলিয়নের বেশি মানুষ গ্রিস ও তুরস্ক থেকে পশ্চিম ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করেছে৷ ম্যাসিডোনিয়া, সার্বিয়া, হাঙ্গেরি, অর্থাৎ বলকান রুট ব্যবহার করে তাদের এই যাত্রার অধিকাংশই ছিল পায়ে হেঁটে৷ অভিবাসীদের এই যাত্রা বন্ধ হয়ে যায়, যখন রুটটি আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয় এবং কয়েকটি দেশ সীমান্তে বেড়া দিয়ে দেয়৷
ছবি: Getty Images/J. Mitchell
বৈশ্বিক আতঙ্ক
এই ছবিটি গোটা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছে৷ তিন বছর বয়সি সিরীয় শিশু আয়লান কুর্দির মরদেহ তুরস্কে সমুদ্রতটে ভেসে ওঠে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে৷ ছবিটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে এবং শরণার্থী সংকটের প্রতীকে পরিণত হয়৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/DHA
বিশৃঙ্খলা এবং হতাশা
শেষ সময়ের ভিড়৷ ইউরোপে প্রবেশের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শুনে ক্রোয়েশিয়াতে এভাবে ট্রেনে এবং বাসে উঠতে দেখা যায় অসংখ্য শরণার্থীকে৷ ২০১৫ সালের অক্টোবরে হাঙ্গেরি সীমান্ত বন্ধ করে দেয় এবং শরণার্থীদের জন্য কন্টেইনার ক্যাম্প তৈরি করে৷
ছবি: Getty Images/J. J. Mitchell
বিবেকবর্জিত সাংবাদিকতা
হাঙ্গেরির এক সাংবাদিক এক শরণার্থীকে ল্যাং মেরে ফেলে দেয়ার ভিডিও নিয়ে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে সমালোচনার ঝড় ওঠে৷ সার্বিয়ার সীমান্ত সংলগ্ন হাঙ্গেরির একটি এলাকার সেই ঘটনায় আলোচিত সাংবাদিকের চাকুরি চলে যায়৷
ছবি: Reuters/M. Djurica
উন্মুক্ত সীমান্ত নয়
২০১৬ সালের মার্চে বলকান রুট আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেয়ার পর সীমান্তগুলোতে আরো আবেগপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়৷ হাজার হাজার শরণার্থী বিভিন্ন সীমান্তে আটকা পড়ে এবং তাদের সঙ্গে বর্বর আচরণের খবর পাওয়া যায় বিভিন্ন স্থান থেকে৷ অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবে সীমান্ত পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করে৷
ধুলা এবং রক্তে ঢাকা এক শিশু৷ পাঁচবছর বয়সি ওমরানের এই ছবিটি প্রকাশ হয় ২০১৬ সালে৷ আয়লান কুর্দির ছবির মতো এই ছবিটিও গোটা বিশ্বকে আরেকবার নাড়িয়ে দেয়৷ সিরীয়ায় গৃহযুদ্ধ কতটা বিভৎস পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে এবং সিরীয়রা কতটা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে, তার এক প্রতীক হয়ে ওঠে ছবিটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Aleppo Media Center
অজানা নতুন ঠিকানা
গ্রিক-ম্যাসিডোনিয়া সীমান্তের ইডোমিনিতে নিজের মেয়েকে কোলে নিয়ে বৃষ্টির মধ্যে রাস্তায় হাঁটছেন এক সিরীয় নাগরিক৷ ইউরোপে তাঁর পরিবার নিরাপদ থাকবে, এমনটাই প্রত্যাশা ছিল তাঁর৷ ডাবলিন রেগুলেশন অনুযায়ী, একজন শরণার্থী প্রথম ইউরোপের যে দেশে প্রবেশ করেন, সে দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করতে হবে৷ ফলে যারা আরো ভেতরে প্রবেশ করেছিলেন, তাদের অনেককে ফেরত পাঠানো হয়েছে৷
ছবি: Reuters/Y. Behrakis
সহযোগিতার আশা
বিপুল সংখ্যক শরণার্থী প্রবেশের কারণে জার্মানি অভিবাসন নীতি আরো কড়া করে ফেললেও এখনো শরণার্থীদের প্রথম পছন্দ জার্মানি৷ ইউরোপের আর কোনো দেশ জার্মানির মতো এত বিপুল সংখ্যক শরণার্থী নেয়নি৷ ২০১৫ সালে সঙ্কট শুরুর পর থেকে দেশটি ১২ লক্ষ শরণার্থী নিয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Hoppe
ভূমধ্যসাগরে ডুবে মরা
ইউরোপে শরণার্থী প্রবেশের সংখ্যা চলতি বছর কমেছে, তবে থেমে যায়নি৷ বরং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ডুবে মরছে অনেকে৷ বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা এবং সরকারের হিসেব অনুযায়ী, চলতি বছর এখন অবধি সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে মারা গেছে প্রায় দু’হাজার মানুষ৷ গতবছর এই সংখ্যা ছিল ৫ হাজার৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/E. Morenatti
10 ছবি1 | 10
কিন্তু খালেদের স্বপ্ন দুঃসপ্নে পরিণত হতে বেশি সময় লাগেনি৷ ছোট্ট নৌকায় তাঁর সঙ্গে শতাধিক যাত্রী উঠেছিলেন৷ এঁদের মধ্যে আফ্রিকার অনেক মানুষ ছিলেন, ছিলেন হোসেনের নিজের এলাকা বিয়ানিবাজারের বেশ কয়েকজন৷ ৩০ ফুট লম্বা প্লাস্টিকের নৌকাটি ইটালির উদ্দেশ্যে মাত্র ঘণ্টা তিনেক চলার পর ভেঙে যায়, শুরু করে ডুবতে৷
হোসেন জানান, মুহূর্তের মধ্যে নৌকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ কেউ কেউ সাগরের পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন৷ কেউ কেউ আবার নৌকার পাটাতনে থাকা পেট্রোলের প্লাস্টিকের ক্যানগুলো খালি করতে শুরু করেন৷ আশা সেগুলোতে ভেসে জীবন বাঁচাবেন৷ এই হুড়াহুড়িতে তাঁর চোখের সামনেই মারা যান এক বাংলাদেশি৷
‘‘পেট্রোলের মধ্যে আমাদের পা ডুবে পুড়ে যাচ্ছিল৷ তখন আমার চাচাতো ভাই ফরিদ পানিতে ঝাঁপ দেয়৷ দূরে একটা জাহাজ দেখে সেদিকে সাঁতরানোর চেষ্টা করে সে৷ কিন্তু অল্পক্ষণেই মারা যায়৷''
চোখের সামনে নিজের আত্মীয়কে মরতে দেখার অভিজ্ঞতা ছিল ভয়ংকর৷ নিজে অবশ্য প্রাণে বেঁচে যান খালেদ৷ লিবিয়ার একটি গ্যাং সমুদ্র থেকে তাঁকে উদ্ধার করেছিল৷ জীবন বাঁচলেও ভোগান্তির শেষ হয় না৷ লিবিয়ার সেই গ্যাং তাঁকে একটি কনস্ট্রাকশন ক্যাম্পে দাস হিসেবে বিক্রি করে৷ অন্তত তিনবার বিক্রি হওয়ার পর ছেলের মুক্তির জন্য পঙ্গু বাবা ১২ হাজার মার্কিন ডলার জোগাড় করে লিবিয়া পাঠান৷ অবশেষে মুক্তি মেলে খালেদের৷ দেশে ফিরে যান তিনি৷
অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে উদ্বেগ এবং উদ্যোগ
জার্মানিতে প্রতিদিনই বাড়ছে অভিবাসনপ্রত্যাশী৷ আঙ্গেলা ম্যার্কেলও বলেছেন, বছর শেষে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে৷ জার্মানির ওপর চাপ এত বেশি না রেখে, ইইউভুক্ত অন্য দেশগুলোকেও শরণার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/L. Zavoral
সমালোচনা ও চাপের মুখে ম্যার্কেল
অভিবাসন প্রত্যাশীদের ব্যাপারে ম্যার্কেল সরকারের উদ্যোগ ইইউভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি৷ তারপরও জার্মানিতে ম্যার্কেল সমালোচিত৷ সরকার বিরোধীদের একটা অংশ মনে করে, ম্যার্কেল প্রশাসন ধীরে চলো নীতি অবলম্বন করে সংকট ঘণীভূত করছে৷ জার্মানিতে শরণার্থী বিরোধী ক্ষোভও দেখা দিয়েছে৷ সব মিলিয়ে শরণার্থী ইস্যু নিয়ে বেশ চাপে আছে ম্যার্কেল সরকার৷
ছবি: Reuters/H. Hanschke
সবচেয়ে বড় সংকট!
ক’দিন আগেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় সংকট মনে করা হতো গ্রিসের অর্থনৈতিক বিপর্যয়কে৷ সেই বিপর্যয় এখনো কাটেনি৷ তবে আতঙ্কে আরো বড় হয়ে উঠেছে শরণার্থী সংকট৷ জার্মানিতে প্রতিদিনই আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সংখ্যা বৃদ্ধির চাপ৷ জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল একাধিকবার বলেছেন, ইউরোপে গ্রিসের চেয়ে বড় সংকট হয়ে দেখা দিতে পারে শরণার্থী ইস্যু৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Dilkoff
করণীয়
বর্তমান হারে চলতে থাকলে ২০১৫ সালে আগত শরণার্থীর সংখ্যা যে বছর শেষে ৮ থেকে ১০ লাখ দাঁড়াবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷ রবিবার ম্যার্কেল বলেছেন, এতদিন শরণার্থীদের স্বাগত জানিয়ে এলেও এ হারে চাপ বাড়তে থাকলে আগামীতে জার্মানির পক্ষে খুব বেশি ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে না৷ ইইউভুক্ত অন্য সব দেশকে তাই দ্রুত আরো উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷ এ লক্ষ্যে জরুরি বৈঠক আয়োজনের জন্য ইইউ-র প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি৷
ছবি: Reuters/I. Fassbender
নড়েচড়ে বসছে ইইউ
ইউরোপীয় ইউনিয়ন শরণার্থী সংকট মোকাবিলার জন্য দু’সপ্তাহের মধ্যে সদস্য দেশগুলোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি বৈঠকের আয়োজন করবে৷ ইইউ-ও মনে করে, ব্যাপক হারে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আগমন সংকটকে ভয়াবহ করে তুলছে৷
ছবি: Getty Images/Afp/A. Tzortzinis
জার্মানিতে শরণার্থী বিরোধী ক্ষোভ
জার্মানির কিছু অঞ্চলে শরণার্থীদের প্রতি ক্ষোভ, অসন্তোষ বেশ বেড়েছে৷ শরণার্থী শিবিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেই চলেছে৷ এ পর্যন্ত ১০০টি এমন ঘটনা ঘটেছে৷ গত সপ্তাহান্তে ড্রেসডেনের কাছের হাইডেনাউ শহরে শরণার্থীবিরোধীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে৷ সংঘর্ষে ৩০ জন পুলিশ আহত হয়৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/J. Meyer
সাধারণ মানুষ শরণার্থীদের পাশে
জার্মানির অধিকাংশ মানুষই শরণার্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল৷ নানা স্থানে সাধারণ মানুষ স্বেচ্ছায় শরণার্থীদের সহায়তায় এগিয়ে আসছে৷ ড্রেসডেনে শরণার্থীবিরোধী বিক্ষোভের পর ৫ হাজার মানুষ নেমে আসে রাস্তায়৷ শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় যুদ্ধ কিংবা অভাবের তাড়ণায় মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং এশিয়া থেকে আসা অসহায় মানুষদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছেন তাঁরা৷ ওপরে শরণার্থীদের জন্য আয়োজিত এক মেলার ছবি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/L. Zavoral
কেউ খাওয়াচ্ছেন স্যুপ
ভিলহাইমের এই তরুণী ঘরে তৈরি ভেজিটেবল স্যুপ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন শরণার্থী শিবিরে৷ নিজে উপস্থিত থেকে সেই স্যুপ খাইয়েছেন শরণার্থীদের৷
ছবি: picture-alliance/dpa/G. Fischer
কেউ শেখাচ্ছেন ভাষা
ছবির এই দুই অভিবাসনপ্রত্যাশী এসেছেন সোমালিয়া থেকে৷ বায়ার্নের থানহাউসেনে পৌঁছানোর পর জার্মান ভাষাও শিখতে শুরু করেছেন৷ সাবেক এক জার্মান শিক্ষক নিজের উদ্যোগে স্কুল খুলে ভাষা শেখাচ্ছেন শরণার্থীদের৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Puchner
নাচো-গাও
ড্রেসডেনে নব্যনাৎসি বিরোধী সংগঠন ‘ড্রেসডেন নাৎসিফ্রাই’ শরণার্থীদের জন্য অভিবনব এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল৷ অনুষ্ঠানে অভিবাসনপ্রত্যাশী এবং তাঁদের প্রতি সহানুভূতিশীল জার্মানরা একসঙ্গে নেচেছেন, গেয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Willnow
প্রবাসেই সুখী
অনেক শরণার্থীই শুরু করেছেন নতুন জীবন৷ শঙ্কা, উৎকণ্ঠা, অনিশ্চয়তা সরিয়ে সুযোগ পেলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে আনন্দও করছেন তাঁরা৷ সিরিয়া থেকে আসা এই পরিবারটি অবসর সময়ে চলে যায় সমুদ্র সৈকতে৷ প্রবাসেও তাঁরা বেশ সুখী৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Marks
10 ছবি1 | 10
খালেদ হোসেনের মতো এমন অবস্থা আরো অনেকের হয়েছে৷ যদিও দালালরা সেসব ঘটনা চেপে গিয়ে বরং দুয়েকটি সাফল্যের গল্প শুনিয়ে বাংলাদেশি তরুণদের এমন কঠিন যাত্রায় উদ্বুদ্ধ করে৷ শুধুমাত্র খালেদের এলাকা বিয়ানিবাজার থেকেই গত এক বছরে হাজারখানেক তরুণ এভাবে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন৷ আর গোটা বাংলাদেশের হিসেব করলে সংখ্যাটা আরো অনেক বেশি৷