ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি বর্ণবাদী আচরণ এবং হয়রানি বাড়ছে৷ ইউরোপিয়ান এজেন্সি ফর ফান্ডামেন্টাল রাইটস (এফআরএ)-র এক গবেষণায় এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে৷
বিজ্ঞাপন
সংস্থাটি ইউরোপের ১৩টি দেশে প্রথম ও দ্বিতীয় প্রজন্মের কৃষ্ণাঙ্গ অভিবাসীদের নিয়ে করা জরিপের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করে ৷ গবেষণায় দেখা গেছে, ইউরোপের দেশ জার্মানি, অস্ট্রিয়া এবং ফিনল্যান্ডের কৃষ্ণাঙ্গ অভিবাসীরা গায়ের রংয়ের কারণে বেশি বৈষম্য এবং হয়রানির শিকার হচ্ছেন৷
সংস্থাটি জানায়, ছয় বছর আগে এ বিষয়ে সর্বশেষ গবষণাটি করা হয়েছিল৷ আর এবারের গবেষণাটিতে অংশগ্রহণকারীদের কাছে তাদের সর্বশেষ ১২ মাসের অভিজ্ঞতার কথা জানতে চাওয়া হয়৷ ফলাফল বলছে, ইউরোপের এই দেশগুলোতে গবেষণা চলার সর্বশেষ ১২ মাসে বর্ণ বৈষম্যের শিকার হয়েছেন বলে মনে করা ব্যক্তির সংখ্যা তার আগের গবেষনার তুলনায় ১০ ভাগ বেড়েছে৷
জার্মানি এবং অস্ট্রিয়াতে ৬৪ ভাগ অংশগ্রহণকারী বর্ণবাদী বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে মনে করছেন৷ ছয় বছর আগে জার্মানিতে এই সংখ্যা ছিল ৩৩ ভাগ এবং অস্ট্রিয়াতে ছিল ৪২ ভাগ৷ তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশ ফিনল্যান্ড৷ এই দেশটির গবেষণায় অংশগ্রহনকারী ৫৪ ভাগ এমন বৈষম্যের শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছেন৷
গবেষণা সংস্থাটির পরিচালক মিশায়েল ও‘ফ্লাহেরটি বলেন, ‘‘তার আগে পরিচালিত গবেষণার পর থেকে এই পরিস্থিতির কোনো উন্নতি ঘটেনি এ বিষয়টি খুব দুঃখজনক৷ বরং গায়ের রংয়ের কারণে আফ্রিকান বংশদ্ভোতরা আরো বেশি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন৷’’
বর্ণবাদের বিরুদ্ধে কার্টুন
যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হলেও ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলন যখন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে, তখন নতুন করে আলোচনায় উঠে আসে বর্ণবাদবিরোধী নানা কার্টুন৷ বিশ্বের নানা প্রান্তের কার্টুনিস্টের তেমনই কিছু সৃষ্টি নিয়ে এই ছবিঘর৷
সবার জন্য রঙিন দুনিয়া
পৃথিবী নানা বর্ণের সমাহার হলেও কিছু মানুষ বরাবরই বৈষম্যের শিকার হন৷ দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্পী ইয়ং সিক ওহ এই কার্টুনে এই বক্তব্যই ফুটিয়ে তুলেছেন৷ বিশ্ব থেকে এখনও বর্ণবাদ নির্মূল করা সম্ভব হয়নি৷ কেবল কৃষ্ণাঙ্গ নয়, কোথাও নারী, কোথাও ভিন্ন ধর্মাবলম্বী আবার কোথাও সমকামীদের ওপর নেমে আসছে বৈষম্যের খড়্গ৷
আপনিও রঙিন হতে পারেন
জার্মান কার্টুনিস্ট পিয়ার ভেডারভিলে এর এই কার্টুনে দেখা যাচ্ছে ধূসর একটি প্রেক্ষাপটে দুই কালো রঙের পাখি অন্য ডালে বসা রঙিন পাখিকে দেখে অবাক হচ্ছে৷ এক পাখি অন্যটিকে বলছে, ‘‘দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে অভিবাসীরা এখানকার জন্য মানানসই না৷‘‘ অথচ, রঙিন পাখি অন্যদের দৃষ্টিতে কতই না সুন্দর!
ছবি: -
বর্ণবাদী সুরকার
‘‘ইবোনি (এক ধরনের কালো কাঠ) আর আইভরি (হাতির দাঁত) আমার পিয়ানোতে পাশাপাশি মিলেমিশে থাকে৷ হে বিধাতা, আমরা পারি না কেন?’’ বিটলসের সাবেক শিব্পী পল ম্যাকার্টনি তার ইবোনি অ্যান্ড আইভরি গানে এই বিখ্যাত বাক্যটুকু সুরে সুরে গেয়েছিলেন৷ বেলজিয়ামের কার্টুনিস্ট কিম ডুখাটয়ও সম্ভবত এমন চিন্তা মাথায় রেখেই এই কার্টুনটি এঁকেছেন৷ একবার ভাবুন, পিয়ানোতে কালো না থাকলে সেটা কতটা বেসুরো হতে পারে!
ইউরোপীয় সঙ্গীতের প্রহসন
১৭৮৫ সালে কবি ফ্রিডরিখ শিলার ‘ওড টু জয়’ লিখে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়েছিলেন৷ পরবর্তীতে নিজের নবম সিম্ফোনিতে তাতে সুর যোগ করে অন্য মাত্রা দিয়েছিলেন লুডভিগ ফান বীঠোফেন৷ ১৯৮৫ সাল থেকে এই গানটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের আনুষ্ঠানিক সঙ্গীত৷ ইউরোপের সীমান্তে শরণার্থীদের আটকাতে কাঁটাতারসহ নানা পদ্ধতি কিভাবে এই সঙ্গীতের পরিপন্থি, তা এই কার্টুনে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷
স্বাগত (শর্ত প্রযোজ্য)
দারিদ্র্য, শোষণ, যুদ্ধ, ইত্যাদি নানা কারণে মানুষ নিজের জন্মভূমি ছেড়ে আসেন৷ তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের বৈধ উপায়ে কোনো দেশে স্বাগত জানানো হয় না৷ ফলে রাবারের নৌকায় সাগর পাড়ি দিয়ে বা পায়ে হেঁটে অনেকেই উন্নত জীবনের খোঁজে অন্য দেশে পাড়ি জমান৷ ইয়ান টমাশোফের এই কার্টুনে দেখানো হয়েছে, শরণার্থীদের স্বাগত জানানো হলেও কিভাবে আগে তাদের সেই দেশের কাছে নিজেদের উপযোগিতা প্রমাণ করতে হয়৷
দুমুখো চরিত্র
গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে সাংবিধানিক আইন অনুসারেই বর্ণবাদ বা অন্য যেকোনো বৈষম্য নিষিদ্ধ৷ কিন্তু অনেকক্ষেত্রেই অনেক দেশে জ্ঞানী-মানি ব্যক্তিদেরও আচরণে সুপ্ত ‘কট্টর ডানপন্থি’ চিন্তাভাবনা টের পাওয়া যায়৷ ব্যার্ন্ড পোলেনৎস তার কার্টুনে দেখিয়েছেন, স্যুট পরা এক ভদ্রলোকের মাথার মধ্য়ে লাঠিয়াল এক গুন্ডা বাস করছে, উঁকি দিয়ে সব দেখেও নিচ্ছে৷
ছবি: -
গোপন বর্ণবাদ
এই কার্টুনটি এঁকেছেন ইরানের শিল্পী সায়েদ সাদেঘি৷ কার্টুনে দেখা যাচ্ছে এক দল ধূসর-কালো পেন্সিলের মধ্যে একটি সাদা হুড পরা পেন্সিল৷ এর মাধ্যমে কার্টুনিস্ট কুখ্যাত কু ক্লাক্স ক্ল্যানকে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ এই গোপন সংগঠনটি মার্কিন গৃহযুদ্ধ (১৮৬১-১৮৬৫) শেষে দাসপ্রথা বাতিলের পরও তা মেনে নিতে চায়নি৷ শুরুতে কৃষ্ণাঙ্গ ও পরবর্তীতে ইহুদি, কমিউনিস্ট এবং সমকামীদের হত্যা করেছে সংগঠনের সদস্যরা৷
রোজা পার্কসের প্রতি শ্রদ্ধা
মার্কিন সমাজে জাতিগত বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক রোজা পার্কসের প্রতি সম্মান জানিয়ে এই কার্টুন এঁকেছেন মার্কিন কার্টুনিস্ট লরেন ফিশম্যান৷ বাসে শেতাঙ্গদের জন্য নির্ধারিত আসন ছেড়ে উঠতে অস্বীকৃতি জানানোয় ১৯৫৫ সালে গ্রেপ্তার করা হয় রোজা পার্কসকে৷ সেই ঘটনার ৭০ বছর পরও এখনও মার্কিন সমাজে বর্ণবাদ একটি বড় সংকট হিসাবে বিদ্যমান৷
জীবন রঙিন
বৈচিত্র্য়ই জীবনকে রঙিন করে তোলে৷ ইয়োহানেস ফেরমিয়ারের বিখ্যাত চিত্রকর্ম ‘গার্ল উইথ দ্য পার্ল ইয়াররিংস’ ওপর ভিত্তি করে এই কার্টুন এঁকেছেন জার্মানির গউইডো ক্যুন৷ এই চিত্রকর্মটিকে ‘উত্তরের মোনালিসা’ হিসাবেও আখ্যা দেয়া হয়৷ তবে কার্টুনে মূল চরিত্রটিকে বিভিন্ন রঙের ত্বক দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷
ছবি: -
কাল্পনিক সহাবস্থান
সমাজে আরো বেশি সহনশীলতার আহ্বান জানাতে চান তুর্কি কার্টুনিস্ট বুরাক এরগিন৷ বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের চড়াও হওয়ার খবর যখন সংবাদপত্রে প্রায়ই শিরোনাম হয়, বুরাক তখন কার্টুনে এমন এক কাল্পনিক চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন যেখানে পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীরা একে অপরের দিকে ফুল নিয়ে কোলাকুলি করতে এগিয়ে যাচ্ছে৷
বিশ্বের যত রঙ
নানা জাতির রঙকে এই কার্টুনে ফুটিয়ে তুলেছেন ব্রাজিলের কার্টুনিস্ট ফ্রিলাহ৷ বিভিন্ন জাতির, বিভিন্ন রঙের মানুষ নিজেদের মধ্যে বিয়ে করা ও সন্তান উৎপাদনের ফলে ব্রাজিলে প্রায় সব রঙের মানুষের দেখা পাওয়া যায়৷ এটাই দেশটির সাংস্কৃতিক সম্পদের অংশ৷ কিন্তু তারপরও কৃষ্ণাঙ্গদের প্রায়ই বৈষম্যের শিকার হতে হয় দেশটিতে৷
ইয়িন ও ইয়াং
চীনের ঐতিহ্যবাহী ইয়িন-ইয়াং তত্ত্ব মনে ধারণ করলে বর্ণবাদ থাকারই কথা না৷ এই তত্ত্ব অনুসারে দুই ভিন্নধর্মী শক্তি পরস্পরকে সমানভাবে আকর্ষণ করে, কেউ কারো চেয়ে শ্রেষ্ঠ হিসাবে না৷ সাদা ও কালোতে ফুটিয়ে তোলা হয় ইয়িন-ইয়াং এর প্রতীককে৷ এই মন্তব্যই কার্টুনে ফুটিয়ে তুলেছেন কিউবার কার্টুনিস্ট মিগুয়েল মোরালেস৷
12 ছবি1 | 12
এদিকে গত পাঁচ বছরে বর্ণ বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে মনে করা ব্যক্তিদের সংখ্যাও বেড়েছে৷ গবেষণাটি বলছে, এই ১৩টি দেশে গত পাঁচ বছর বৈষম্যের শিকার হয়েছেন মনে করা ব্যাক্তির সংখ্যা ছয় ভাগ বেড়েছে৷ গবেষণায় গত পাঁচ বছর সময় বিবেচনায় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ৪৫ ভাগ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, তারা বর্ণবাদী বৈষম্যের শিকার হয়েছেন বলে মনে করছেন৷ তার আগের গবেষাণায় এই সংখ্যা ছিল ৩৯ ভাগ৷
এই ধাপেও জার্মানি, অস্ট্রিয়া এবং ফিনল্যান্ড শীর্ষে রয়েছে৷ আর জার্মানি রয়েছে তালিকার প্রথম স্থানে৷
এফআরএ-র পক্ষ থেকে ইসোস নামে একটি প্রতিষ্ঠান জরিপটি পরিচালনা করে৷ জরিপে ইউরোপের ১৫টি দেশের মোট ১৬ হাজার ১২৪জন অভিবাসী এবং অভিবাসী বংশোদ্ভূত ব্যক্তির সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়৷ জরিপের এই ফলাফলের উপর বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন তৈরি করছে এফআরএ৷ ২০২১ সারে অক্টোর থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে জরিপটি পরিচালনা করা হয়৷
‘ইউরাপে কৃষ্ণাঙ্গ হওয়া' শিরোনামে উল্লেখিত এই প্রতিদেবনটি জরিপ থেকে তৈরি করা প্রথম প্রতিবেদন৷ জরিপে সাব-সাহারা আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া অথবা অংশগ্রহণকারীদের বাবা কিংবা মা দুজনের কোনো একজন ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, ইটালি, লুক্সেমবার্গ, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, স্পেন এবং সুইডেনে জন্মগ্রহণ করেছেন এমন ছয় হাজার ৭৫২জনের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে৷
এদিকে গত পাঁচ বছরে বর্ণবাদী হয়রানির শিকার হওয়ার ঘটনা তার আগে করা গবষণার ফলাফলের পর্যায়ে রয়েছে৷ শতকরা ৩০ ভাগ উত্তরদাতা বলছেন তারা বর্ণবাদী হয়রানির শিকার হয়েছেন৷ এই সংখ্যা জার্মানিতে সবচেয়ে বেশি, ৫৪ ভাগ৷ এরপরের অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে রয়েছে ফিনল্যান্ড এবং অস্ট্রিয়া৷
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পর্তুগাল এবং সুইডেনে এ ধরনের ঘটনা সবচেয়ে কম ঘটছে৷
আরআর/এসিবি (রয়টার্স)
কারা হলেন ২০২২ সালের সেরা কৃষ্ণাঙ্গ তারকা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংগীত, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াক্ষেত্রের সেরা কৃষ্ণাঙ্গ তারকা হলেন কারা? কারা পেলেন বিইটি অ্যাওয়ার্ডস ২০২২? দেখুন ছবিঘরে৷
অ্যামেরিকান সংগীত শিল্পী মুনি লংয়ের পারফর্ম আর পোশাকও নজর কাড়ে লস অ্যাঞ্জেলেসের মাইক্রোসফট থিয়েটারে আগত দর্শকদের৷
ছবি: David Swanson/REUTERS
সেরা অ্যালবাম
বর্ষসেরা অ্যালবামের খেতাব জিতেছে সিল্ক সনিক৷ ‘এন ইভিনিং উইথ সিল্ক সনিকের’ জন্য এই পুরস্কার জিতলেন অ্যান্ডারসন প্যাক ও বুর্নো মার্স৷
ছবি: David Swanson/REUTERS
সেরা গায়িকা
সেরা গায়িকার পুরস্কার জেতা ম্যারি জে ব্লাইজ জানাচ্ছেন তার অনুভূতির কথা৷
ছবি: David Swanson/REUTERS
সেরা নবাগত
সেরা নবাগতের পুরস্কারে বিস্মিত র্যাপার লাটো৷ ২০১৬ সালে গানের ভুবনে যাত্রা শুরু তার৷
ছবি: David Swanson/REUTERS
সেরা নারী আরঅ্যান্ডবি/পপ শিল্পী
এই ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছেন জ্যাজমিন সালিভ্যান৷ পুরস্কারের মঞ্চে অনুভূতি ব্যক্ত করতে দেখা যাচ্ছে তাকে৷
ছবি: David Swanson/REUTERS
সেরা যৌথ
জাস্টিন বিবারের সঙ্গে কাজ করে এসেন্সের জন্য সেরা যৌথ কাজের পুরস্কার পেয়েছেন টেমস৷ নাইজেরিয়ার এই শিল্পী জিতেছেন আন্তর্জাতিক ক্যাটাগরিতে এ বছরের সেরা খেতাবও৷
ছবি: David Swanson/REUTERS
আরো যারা
এ বছর সেরা চলচ্চিত্রের খেতাব পেয়েছে কিং রিচার্ড৷ মূল চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতা হয়েছেন উইল স্মিথ৷ ‘পাওয়ার বুক টু:ঘোস্ট’-এ অভিনয়ে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন ম্যারি জে ব্লাইজ৷ মার্সাই মার্টিন পেয়েছেন সেরা তরুণ তারকা অ্যাওয়ার্ড৷ নারী ক্যাটাগরিতে টেনিস তারকা নাওমি ওসাকা আর পুরুষদের ক্যাটাগরিতে বাস্কেটবলের স্টিফেন কারি হয়েছেন সেরা খেলোয়াড়৷
ছবি: Warner Bros/Hollywood Archive/Picturelux/imago images