1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নৌযানে হামলার সিদ্ধান্ত অনুমোদন

১৯ মে ২০১৫

ভূমধ্যসাগরে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মিছিল এবং মৃত্যু রুখতে কঠোর হবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৷ এই অঞ্চলের দেশগুলোর প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মানবপাচারকারীদের নৌযানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন৷

Bootsflüchtlinge Lampedusa Immigranten Flüchtlinge Europa Syrien
ছবি: picture alliance/ZUMAPRESS

সোমবার ব্রাসেলসে ইইউ দেশগুলোর প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা দীর্ঘ এক বৈঠক শেষে বিষয়টি চূড়ান্ত করেন৷ আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে শত শত মানুষ ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করতে গিয়ে সাগরে ডুবে মারা যাচ্ছেন৷ গত মাসেও লিবিয়া থেকে ইটালির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করা একটি নৌযান সাগরে ডুবে যায়৷ নৌযানটির অন্তত ৯০০ যাত্রী ডুবে মারা যান৷

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের প্রথম চার মাসে ৫১ হাজার মানুষ ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করেছে৷ এ সময়ে সাগরে ডুবে মারা গেছেন অন্তত ১৮শ' জন৷ এছাড়া গত ১৮ মাসে মারা গেছেন ৫ হাজারের মতো মানুষ৷

সব মিলিয়ে ইউরোপের কয়েকটি দেশের ওপর অভিবাসনপ্রত্যাশীদের চাপ এবং ভূমধ্যসাগরে মৃত্যুর ঘটনায় ইইউ-র সমালোচনা বেড়েই চলেছে৷ সমালোচনার মুখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউ৷ ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে ইইউ-র পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিভাগের প্রধান ফেডেরিকা মোগেরিনি বলেন, ‘‘আমাদের যেহেতু দ্রুত কাজ শুরু করার রাজনৈতিক ইচ্ছা এবং প্রতিজ্ঞা আছে, তাই আমরা মনে করি, কাজটা ঠিকভাবে করতে পারবো৷''

আপাতত মানবপাচার সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহে গোয়েন্দাদের সক্রিয় করবে ইইউ৷ তারপর শুরু হবে মানবপাচারের কাজে ব্যবহৃত নৌযানগুলোর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান৷ মোগেরিনি জানান, সামরিক অভিযান আগামী জুন মাসে শুরু হতে পারে৷

তবে অভিযান শুরু করার আগে ইইউ-কে জাতিসংঘের সবুজ সংকেত পেতে হবে৷ বিশেষ করে আন্তর্জাতিক এবং লিবীয় জলসীমায় প্রবেশ করে মানবপাচারকারীদের নৌযান আটক বা ধ্বংস করার বিষয়ে জাতিসংঘের আগাম অনুমোদন নিতেই হবে ইইউ-কে৷

সাগরে মৃত্যু বন্ধ করার লক্ষ্যে নৌযানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েও সমালোচনার মুখে পড়েছে ইইউ৷ ক্যাথলিকদের জার্মানি ভিত্তিক সাহায্য সংস্থা ‘মিজেরিয়র' ইইউ-র এ সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছে৷ মিজেরিয়র-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মার্টিন ব্র্যোকেলমান সাইমন বলেছেন, যু্দ্ধ, সহিংসতা আর দারিদ্র্য থেকে বাঁচতেই অনেক মানুষ ইউরোপে আসছে, সুতরাং, এখানে মানবপাচারকারীরা প্রধান সমস্যা নয়৷ এই সত্যকে উপেক্ষা করে মানবপাচারকারীদের প্রতিহত করার কথা বলে নৌযানে হামলার পরিকল্পনা করছে বলে ইইউ-এর সমালোচনা করেছেন তিনি৷

অন্যদিকে ইইউ-কে দ্রুত অভিযান শুরুর তাগিদ দিয়েছে উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট ন্যাটো৷ ন্যাটোর আশঙ্কা, আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে অবাধে অভিবাসনপ্রত্যাশী এলে এই সুযোগে অনেক আইএস জঙ্গিও ইউরোপে ঢুকে পড়বে৷ ইইউ-কে দ্রুত কাজ শুরু করার অনুরোধ জানিয়ে ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেনস ষ্টোলেনবার্গ বলেছেন, ‘‘দেরি করলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আড়ালে অনেক আইএস জঙ্গিও ইউরোপে ঢুকে পড়তে পারে৷''

এসিবি/ জেডএইচ (রয়টার্স, এএফপি, এপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ