1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তেল বিক্রির গ্যারান্টি দিতে হবে!

২৪ মে ২০১৮

পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইরান ও মার্কিন প্রশাসনের সংঘাতের মাঝে ইউরোপ নিজস্ব স্বার্থ বজায় রাখার চেষ্টা করছে৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াশিংটনে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন৷ ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ইউরোপের উপর কিছু শর্ত আরোপ করেছেন৷

ছবি: Mehr News

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেই পরমাণু চুক্তি মেনে চলার ৭টি শর্ত তুলে ধরেছেন৷ অ্যামেরিকা চুক্তি ত্যাগ করলেও ইউরোপ এই সব শর্ত মানলে ইরানও সেই চুক্তি মেনে চলতে প্রস্তুত৷ বুধবার তাঁর ওয়েবসাইটে এই শর্তগুলি প্রকাশ করা হয়৷ যেমন ইরান আগের মতোই পেট্রোলিয়াম বিক্রি করতে পারবে, এই মর্মে ইউরোপকে গ্যারেন্টি দিতে হবে৷ মার্কিন প্রশাসন এ ক্ষেত্রে কোনো ক্ষতিসাধন করলে ইরান থেকে তেল কিনে ইউরোপীয়দের ক্ষতিপূরণ করতে হবে৷ ইউরোপীয় ব্যাংকগুলিকে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য নিশ্চিত করতে হবে৷ তাছাড়া ইরানের দূরপাল্লার ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ও মধ্যপ্রাচ্যে সে দেশের প্রভাব প্রতিপত্তি নিয়ে কোনো রকম আলোচনার অবকাশ নেই৷ ইউরোপকে এই মর্মে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে৷ খামেনেই বলেন, তাঁর দেশ জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের সঙ্গে কোনো বিরোধ চায় না৷ কিন্তু তাদের উপর আস্থাও রাখা যাচ্ছে না৷ মোটকথা ইউরোপ ইরানের দাবি না মানলে ইরান আবার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুরু করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি৷ অ্যামেরিকা গত দু'বছর ধরে বার বার পরমাণু চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলে খামেনেই অভিযোগ করেন৷

ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিকে কেন্দ্র করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যে বিরোধ যে কতটা চরমে পৌঁছেছে, জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস তাঁর প্রথম ওয়াশিংটন সফরে তা টের পেলেন৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন-এর সঙ্গে আলোচনার পর তিনি বলেন, দুই পক্ষ এই প্রশ্নে আপোশ মীমাংসা থেকে অনেক দূরে রয়েছে৷ ইউরোপ ও অ্যামেরিকা এক্ষেত্রে একেবারে ভিন্ন পথে এগোচ্ছে বলে মনে করেন মাস৷ তবে তিনি মার্কিন নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছেন, যে ইউরোপ ইরানের প্রশ্নে অত্যন্ত ঐক্যবদ্ধ রয়েছে৷ মার্কিন প্রশাসন ইরান সংক্রান্ত পদক্ষেপগুলি সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন৷

উল্লেখ্য, পম্পেও সোমবার মার্কিন প্রশাসনের ইরান সংক্রান্ত কৌশলগত নীতি প্রকাশ করেন৷ এ প্রসঙ্গে তিনি ইরানের উপর ‘ইতিহাসের সবচেয়ে কড়া নিষেধাজ্ঞা’ চাপানোর হুমকি দিয়েছেন৷ এদিকে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বৃহস্পতিবার চীনের রাজধানী বেইজিং-এ বলেন,জার্মানি ও চীন ইরান চুক্তি মেনে চলবে৷

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহম্মদ জাভাদ জরিফ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও-র বক্তব্য উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, অত্যন্ত ‘যুক্তিহীন ও অশোভন’ এই বক্তব্য সম্পর্কে ইরান প্রতিক্রিয়া দেখানোরও প্রয়োজন বোধ করছে না৷ তিনিও ইউরোপের সঙ্গে সংলাপের উপর জোর দিয়েছেন৷

ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন-ইভ ল্য দ্রিয়ঁ ইরান সম্পর্কে মার্কিন প্রশাসনের কড়া মনোভাব সম্পর্কে সাবধান করে দিয়েছেন৷ তাঁর মতে, এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা আরও বিপন্ন হচ্ছে৷ তাঁর মতে, ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপালে সংলাপের পথ সুগম হবে না৷ উলটে সে দেশের রক্ষণশীল মহলের ক্ষমতা আরও বেড়ে যাবে এবং প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি আরও দুর্বল হয়ে পড়বেন৷ অথচ তিনিই আলোচনা করতে চেয়েছিলেন৷ ইরান সম্পর্কে মার্কিন প্রশাসনের সংশয়গুলি মেনে নিলেও ল্য দ্রিয়ঁ বলেন, ফ্রান্স পরমাণু চুক্তি মেনে চলবে৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ