1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
বিজ্ঞানসুইজারল্যান্ড

ইউরোপিয়ান বাইসনদের ফেরানোর চেষ্টা

৩ মে ২০২৩

ইউরোপের সবচেয়ে বড় স্তন্যপায়ী প্রাণী বাইসন৷ ইউরোপিয়ান বাইসনেরা দেখতে উত্তর অ্যামেরিকার বাইসনদের চেয়ে একটু ভিন্ন৷

এক সময় ইউরোপে চরে বেড়াতো বুনো বাইসন
এক সময় ইউরোপে চরে বেড়াতো বুনো বাইসনছবি: SWR

ইউরোপিয়ান বাইসনেরা একসময় বর্তমান সুইজারল্যান্ডের ভূমিতে চরে বেড়াতো৷ কিন্তু মধ্যযুগের পর আর তাদের দেখা যায়নি৷ তবে এবার বাইসনদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে৷

সুইজারল্যান্ডের ভেলশেনরোর শহরের ইউরা পর্বতমালা এলাকার রেঞ্জার বেনইয়ামিন ব্রুনার জানান, ‘‘ইউরোপিয়ান বাইসনেরা বন্যপ্রাণী৷ আপনি যদি সামনে থেকে দেখেন, দেখবেন তাদের মাথা শরীরের মতোই সরু৷ অন্যদিকে উত্তর অ্যামেরিকার বাইসনদের সমতলে দেখা যায়৷ তারা একটু আকারে ছোট ও মোটা, কারণ সেখানে লম্বা আর সরু হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ নয়৷''

ব্রুনার একটি চিড়িয়াখানা থেকে ইউরোপিয়ান বাইসনদের সেখানে নিয়ে গেছেন৷ তাদেরকে ১০০ হেক্টরের একটি ঘেরের মধ্যে রাখা হয়েছে৷ সেখানে তারা বনের মতো জীবনযাপনে অভ্যস্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

মানুষের সঙ্গেও বাইসনদের অভ্যস্ত হতে হবে৷ পর্যটকরা ঘেরের ভেতর যেতে পারেন৷ তবে তারা বাইসনদের কাছে যেতে বা তাদের ছুঁয়ে দেখতে পারেন না৷ অন্তত ৫০ মিটার দূরে থাকতে হয়৷

পাঁচ বছরের মধ্যে ঘেরের বেড়া তুলে দিয়ে বাইসনদের মুক্তভাবে চলাফেরা করতে দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে৷

এটি রেঞ্জার বেনইয়ামিন ব্রুনার ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক অটো হলৎসগাঙের স্বপ্ন৷ হলৎসগাঙ বলেন, ‘‘অতীতে সুইজারল্যান্ডে ইউরোপিয়ান বাইসনরা ছিল, কিন্তু মধ্যযুগের পর তাদের আর দেখা যায়নি৷ তারা বনের অংশ এবং তাদের ছাড়া বন পরিপূর্ণতা পায় না৷''

তবে অনেকে তাদের মতো করে ভাবেন না৷ বরং এই পরিকল্পনা নিয়ে অনেক কৃষক শঙ্কিত৷ যেমন এডগার কুপার অত্র এলাকায় আর কোনো বন্যপ্রাণী চান না৷

কৃষক এসোসিয়েশনের নেতা এডগার কুপার বলছেন, ‘‘লাল হরিণ ফিরে আসছে, নেকড়েরা আছে - বন্য শুয়োরেরাও অনেক ক্ষতি করে৷ আমাদের আর কোনো বন্যপ্রাণীর প্রয়োজন নেই৷ বিশেষ করে এমন কোনো প্রাণী নয়, যাদের ইচ্ছে করে নিয়ে আসা হচ্ছে৷''

কয়েক হাজার বছর ধরে বর্তমান সুইজারল্যান্ডের ভূমিতে ইউরোপিয়ান বাইসনেরা বাস করেছে৷ মানুষ তাদের না মারা পর্যন্ত তারা ছিল৷ তাই বাইসনদের কেন আবার বনে ফিরিয়ে আনা হবে না?

ইউরোপে বাইসন ফেরানোর প্রকল্প

04:32

This browser does not support the video element.

কুপার বলেন, ‘‘এখানে একসময় ডাইনোসররাও ছিল৷ আমরা কৃষকরা জানি, ঘাস খাওয়া পশুরা কেমন আচরণ করে৷ আমরা গরুর কথা জানি, তারা যেখানে সহজে পাওয়া যায়, সেখান থেকে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করে৷ বাইসনেরাও তাই করার চেষ্টা করবে৷ তারা আমাদের শস্য খাবে৷ তারা আমাদের গবাদি পশুর খাওয়ার জিনিস খেয়ে ফেলবে৷'' 

হলৎসগাঙ ও ব্রুনার মনে করছেন তাদের নেয়া প্রকল্পের কারণে ইউরোপিয়ান বাইসনেরা টিকে থাকবে৷ কারণ ইনব্রিডিং বা আন্তর্জননের কারণে তারা হুমকির আশঙ্কায় আছে৷ তাই আরও ষাঁড় প্রয়োজন যারা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়৷ অদলবদল করলে জেনেটিক রোগের ঝুঁকি কমতে পারে৷

বাইসন রেঞ্জার ব্রুনার বলেন, ‘‘১০০ বছর আগে মাত্র ১২টি বাইসন ছিল যারা প্রজননে সক্ষম৷ বলতে পারেন অনেক বড় একটা সমস্যা৷ এরপর পোল্যান্ডে প্রজনন কর্মসূচি শুরু হয়৷ এর মাধ্যমে ষাঁড়কে প্রজননে জড়ানোর ফলে বাইসনের সংখ্যা আবার বাড়া শুরু করে৷''

ইউরোপের সবচেয়ে বড় স্তন্যপায়ী প্রাণীরা আবার ফিরে আসতে পারে৷ তাদের জন্য অনেক জায়গা আছে বলে মনে করছেন রেঞ্জার ব্রুনার৷ কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, মানুষ কি তা হতে দিবে?

হেনিং ভিন্টার/জেডএইচ

পর্তুগালে সি-হর্স বাঁচানোর উদ্যোগ

04:26

This browser does not support the video element.

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ